ইসরাত জাহান লাকী॥ এই খালেদ হাসান মতিন আসলে ভন্ড এবং চিটার, সে রুহুল মতিনের ছেলে এবং ছদ্র ও ভদ্রবেশী রাজাকার। তার বর্তমান লেবাসে নিজেকে আড়াল করে ভন্ডামীর নতুন রূপে সাজা মাত্র। জনতার টাকা মেরে গুলশানে ফ্লাট ক্রয় করেছিল এবং অন্তত ২০০ লোকের টাকা মেরে আমেরিকায় পালিয়েছিল। আবার এসে নিজে আত্মগোপন করে লুকিয়ে থেকে দুর্নীতি ও ধর্মীয় আবেশে জঙ্গী উৎপাদনের কারীঘর হিসেবে নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছিল। আমাদের প্রশাসন এবং কতিপয় উঁচু মহলবেশী লোকেরা তাকে প্রকারান্তরে সহায়তা করে গেছে।
আমার কাছে তার দুর্নীতির অসংখ্য প্রমান রয়েছে। কিভাবে নিরীহ ও গরীব মানুষদের বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে পালিয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই চিটার ও প্রতাককে চিনি। ২০০০ সালে এই প্রতারক বিভিন্ন দেশের লোক পাঠানোর নামে শুরু করে অর্থ আত্মসাতের ব্যবস্থা এবং সেইসময় জেবি কনসালটিং ফার্ম এর নাম দিয়ে ডিওএইচ এস এর ৪ নম্বর লেনের বাড়িতে শুরু করে আদম ব্যবসা। অনেকেই তার বাবা মায়ের স্মরনাপন্ন হয়েছিল; আশায় বুক বেধেছিল কিন্তু সবই গুরেবালিতে পরিণত হল। তখন সে রাশিয়া থেকে সুন্দরী নারে এনেও ব্যবসা পরিচালনা করেন শুরু অর্থের জন্য। সুতার ব্যবসা থেকে করা চোরাচালানী কনডম পর্যন্ত অবৈধ হোটেলে সাপ্লাই দেয়া তার কাজ ছিল। কিভাবে মানুষ প্রতারিত হয়েছে এবং অনেকে নি:ষ হয়ে আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবনও দিয়েছে। এমন অনেক কাহিনী এবং তার সহি করা চুক্তিপত্র (যা ১৫০ টাকার ষ্ট্যাম্পে) আমাদের কাছে রক্ষিত আছে। এই প্রতারকের উপযুক্ত শাস্থি হউক এবং জঙ্গি নির্মূলে আরে ধাপ এগিয়ে যাক দেশ। ফাসী দেয়ার আগে যদি পত্রিকার বিজ্ঞাপন দিয়ে এই প্রতারকের হাতে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেয়া হত তাহলে দেরিতে হলেও সরকার ঐ সকল নি:শ্ব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে ন্যায় বিচায় কায়েমের দৃষ্টান্ত আগামীর জন্য জলন্তভাবে ইতিহাসের পাতায় রক্ষিত থাকত। এই লম্পট ও চিটারের বিষয়ে আরো বিস্তারিত আসছে পত্রিকায়, ধারাবাহিকভাবে ছাপা হবে আদ্য-পান্ত ও তথ্য উপাত্যসহ।
পুলিশ প্রয়োজনে আমাদের সহায়তা পেতে পারে এই বাটপার সম্পর্কে আরো জানতে। আমরা সত্য উৎঘাটনে সহায়তা করতে প্রস্তুত।