বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর জন্য কি কোন আইন আছে… … নাকি নেই?

চৌধুরী কামাল ইকরাম॥ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানী কি পাবলিক ঠকানোর জন্যই কাজ শুরু করেছে? নাকি ইন্সুরেন্সের মুলনীতি ও লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সামঞ্জস্য রেখে পাবলিক সেবার জন্য কাজ করছে। এমনিতেই বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স কোম্পানী নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহের কমতি নেই এবং এই সন্দেহ মুলত বাস্তবতার মুখাপেক্ষি হয়েই বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তারপর মানুষ আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ইন্সুরেন্স করে থাকেন। সাধারণ মানুষ যেহেতু আইন পালনে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন সেখানে ঐ কোম্পানীগুলোর কি কোন দায়িত্ব নেই। বা সরকারের কি কোন দায়িত্ব নেই ঐ কোম্পানীগুলোর তদারকি করা। mercedes-benz-s600-pullman-maybach-2016-wallpaper-pic-image-photo-zigwheels-20022015_640x480[1]
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে আমার পরিচিতি একজন সম্মানীত ও নীতিবাদ উঁচু পর্যায়ের ব্যক্তি। যার সঙ্গে সরকার এবং প্রশাসন ও সাধারণ মানুষেরই নিবীর সম্পর্ক রয়েছে। সেই মানুষটির গাড়ির ইন্সুরেন্স করা হয় এই বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে। তবে এই মানুষটি নীতিবাদ ও সৎ আদর্শে সংগ্রামী জীবন যাপন করে যাচ্ছে এবং নীতি ও সততা রক্ষার জন্য প্রতি নিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
যখন গাড়িটি দুর্গটনায় পড়ে তখন তিনি যোগাযোগ করে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ম্যানেজারের সঙ্গে। ম্যানেজারের ব্যবসারে তিনি মুগ্ধ হয়ে বলে; আসলেই বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানীটি ভাল। আমার ধারণা ভুল ছিল। পরবর্তীতে তিনি সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে একটি ১৯ ডিসেম্বর নিজে গিয়ে কাগজ পত্র জমা দিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ঐ ইন্সুরেন্স কোম্পানী আর কোন যোগাযোগ না করায় তিনি নিজেই আবার যোগাযোগ করেন ফোনে। তখনও অমায়িক ব্যবহার আর ঐ ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তিনি নিজেই এই বিষয়টি দেখাশোনা করেন। অফিসের কোন কর্মী বা সহকর্মীকে এই দায়িত্ব দেননি। তারপরও দেরী হওয়ায় তিনি আবার ফোন করেন এবং ম্যানেজার বলেন যে, সামনা সামনি বলে আলোচনা করে এই বিষয়টি শেষ করতে হেড অফিস নির্দেশ দিয়েছেন। কারন ক্লেইমটা ছিল খুবই সামান্য টাকা।
পরবর্তীতে যখন দ্বীতিয় সাক্ষাৎ করতে তার অফিস রুমে যাওয়া হয়। তখন তিনি একটি নতুন আচরণ এবং তথ্যসুত্র উপস্থাপন করেন যা শুণে হতভম্ব এবং বিস্মিত ও নিস্তেজ হওয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর ছিল না। তখন তিনি বলেন আমি আর টাকা চাই না বা আমার আর ইচ্ছা নেই আপনাদের কোম্পানীর ইন্সুরেন্স সেবা গ্রহণ করার। সুতরাং আজই শেষ সম্পর্ক তবে আমার সততা এবং কর্মনিষ্ঠা অন্যদের এই রকম হয়রানী থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বোত্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে। বলে সম্মানের সহিত ছালাম দিয়ে অফিস থেকে বিদায় নেন।
আসল ঘটনা হলো ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কাছে সততা এবং চুক্তির শর্তের কোন মূল্য নেই বরং তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ক্লায়েন্টের সঙ্গে দু:ব্যবহার এমনকি হুমকি ধমকি উপস্থাপন করেন। তবে জানা দরকার কোন কোন সময় পচা সামুকেও পা কেটে যায়। যখন ফাষ্ট পার্টি ইন্সুরেন্স হয় তখন গাড়িটি নতুন গাড়ি হিসেবে গ্রহন করা হয়। তারপর যখন ক্লেইম আসে তখন গাড়িটিকে পুরোনো গাড়ি হিসেবে গ্রহন করে ওয়ান থার্ড পরিশোধ করতে সর্বোত্ত চেষ্টা করে। এখানে আমার প্রশ্ন তাহলে প্রথমেই কেন ইন্সুরেন্স কোম্পানী তাদের ঐ গোপন কথা প্রথমে প্রকাশ করে না। যদি করত তাহলে ভোক্তা বুঝে শুনেই ইন্সুরেন্স করত। দ্বিতীয় হলো এই ওয়ান থার্ড হিডেন পলিসির মাধ্যমে জনগণকে অসৎ বা অসাধা উপায় অবলম্বনে বাধ্য করা হয় কি না? কারণ জনগণ চাইবে তার ক্লেইম বা খরচের সমস্ত টাকা ফেরত পাইতে কিন্তু যখনই ঐ ওয়ান থার্ড পলিডি এডপ্ট হবে তখনই জনগণ তার ইষ্টিমিটেড কষ্ট তিনগুন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করবে। এই ব্যবস্থার অবসান কবে হবে এবং সরকার এর বিরুদ্ধে কি অবস্থান নিবে তাই দেখার বিষয়।
সততা এবং সৎ মানুষদের ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা জানার কোন উপায় কি ইন্সুরেন্স ও সরকারের নিকট মজুত আছে; আর যদি না থাকে তাহলে কি মজুত করার কোন আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?
জনাব ম্যানেজার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে গিয়ে এবং যুগ্ম সচিবের নাম ব্যবহার করেছেন যিনি এই কোম্পানীতে ক্লেইম করে তিনভাগের একভাগ থেকে কম টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে ঘরে ফিরেছেন। তাহলে বুঝুন একজন যুগ্মসচিব যিনি এই ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ক্ষমতার কাছে পরাজিত হয়েছেন সেখানে আপনি সাধারণ মানুষ আর কি? যাক ঐ ম্যানেজারের হুমকির কথা বাদই না দিলাম। আইন তো বাংলাদেশে রয়েছে আর এই দেশের সরকারতো জনগণের সরকার। ক্ষমাশালীদের নয়। সুতরাং যেহেতু আমার সরকার নিরীহ মানুষের সরকার সেহেতু নিরীহ মানুষদের উপকারে ঐ ক্ষমতাধর মানুষের কিন্তু ক্ষমতা ব্যবহার রোধ হবেই। এই হেন অবস্থায় মহৎ পেশা এবং মহৎ সেবার নামে অসাধু ব্যবসা পরিচালনাকরীদের বিরুদ্ধে সরকার এবং এই সরকারের অ¯্র নিরীহ জনগণ আজ সোচ্ছার হবে এবং হবেই। তাই আগামী দিনে নিরীহ শ্রেণীনর বিজয় আশা করে এবং নাতিদীর্ঘ প্রমানের ফিরিস্তি দিয়ে লেখার প্রত্যাশা করছি। আমাদের ওয়েব, ফেইসবুক পেইজ, গ্রুপ, বাংলাদেশ ফেইসবুক ফেন্ডস্ সোসাইটি পেইজ এবং গ্রুপসহ নানা মাধ্যমে এই লিখটি প্রচারিত ও প্রকাশিত হবে। আগামীর নাতিদীর্ঘ লিখার জন্য আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন।
আসছে আগামী সংখ্যায় পত্রিকায়, ফেইসবুক পেইজে, গ্রুপে এবং সরকারী পর্যায়ে… অপেক্ষায় রাখব না … কথা দিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.