তাজুল ইসলাম নয়ন॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জুন -৪ এর প্রধান কর্মকর্তা- জনাব গুল্লার——– সাহেব বলেন বাংলাদেশ এখনও ডিজিটাল হয় নাই। তার আক্ষেপ কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। তিনি যে পদে অধিষ্ঠিত সেই পদের প্রতিও মনে হয় ওনি সন্দিহান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই কাজ করেন। ৩০/১/২০১৮ রোজ মঙ্গল সকাল ১০.৩০ এ তার সঙ্গে আমার কথা হয়।
আমার যাওয়ার কারণ ছিল জন্ম সনদের কাগজ ও কালি এবং বানান ভূল এর বিষয়ে একটি সন্তোষজনক সমাধানকল্পে। কিন্তু ওনার উদাসিনতা এবং গা ছাড়া ভাবের কথায় সন্তুষ্ট হওয়াতো দুরের কথা বরং সরকার ও উন্নয়ন বিরোধী বা অবজ্ঞা করা কথার জন্য নিজের মনে অনেক মনোকষ্ট নিয়েই ফিরলাম। আমার সরকার এটা আমার অহংকার এবং গর্ব। এই গর্ব নিয়েই পথ চলি এবং কথা বলি আর সেই আলোকেই কাজ করি। উন্নয়নের গতি তরান্বিত করাই আমার এক ও অভিন্ন লক্ষ্য। কিন্তু ঐ কর্মকর্তার বিদ্রুপার্ত্তক কথা বার্তায় মনে হলো ওনি যেন ঘরের শত্রু বিভিশন হিসেবেই কাজ করছেন। যিনারা এই সরকারের উন্নয়ন গতি তরান্বিত করবেন এবং যাদের মাধ্যমে জনগণ সুফল ভোগ করবে সেই তিনারাই যদি হন সরকার এবং উন্নয়ন বিমুখী, তাহলে হবে কি করে। এখন ভাবা দরকার ঐ সকল লোকজনদের বিরুদ্ধে।
আমি বিস্তারিত বলছি কারণ আগাছা পরিস্কার না করলে আগামীর সুখ, শান্তি এবং উন্নয়ন গতি তরান্বিত হবে না। তাই এখনই সময় আগাছা পরিস্কার করার। প্রসঙ্গ হলো জন্ম সনদ নিতে গিয়ে যা পেলাম তা হলে অস্পষ্ট এবং ভুল ও কালি ওঠে গিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। এই দেখে তিনদিন পর সংশোধনের লক্ষ্যে ঐ মিরপুর ১০ গোল চত্তরের (জুন ৪) অফিসে যাওয়া এবং উপযুক্ত লোক না পাওয়ায় জনাব গোল্লার ….. সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে ও কথা বলতে চাওয়া। তখন ওনি ছিলেন না। কিছুক্ষন পরে ওনি আসলেন এবং আমি আমার পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলাম। ওনি আনমনাভাব নিয়ে শুনলেন এবং বললেন নাম্বরটা লিখে রাখেন বা ভাল করে স্ক্যান করে রাখেন। আমি বললাম এইটাতো স্ক্যনও হয়না এবং ফটোকপিতেও আসে না। আপনি কি প্রিন্টারের কালি কেনার বিষয়টি একটু দেখবেন; কারন এই কালিগুলি দুই নম্বার বা রিফিল করা। তাই প্রিন্টের পরে সব ওঠে যায়। আমি বললাম এই রকম অভিযোগ সকলের তাই দয়া করে কি ব্যবস্থা নিবেন। কারণ আমাদের সরকার এর উন্নয়ন প্রতিফলিত হয় আপনাদের চকৎকার কাজের মাধ্যমে। তখন ওনি বলেন সরকার কিছুই করে নাই। ডিজিটালতো হয় নাই কম্পিউটারাইজড্ হয়েছে। আর সরকার এবং এর উন্নয়নের কথা শুনে একটু নাক ছটকালেন ও সরকারের প্রতি বিরুপাত্মক মনোভাব পোষণ করলেন।
আমি বললাম দেশের সসমÍ কিছুই ডিজিটাল হচ্ছে এবং একটি ইউনিয়ন থেকে যে সেবা পাওয়া যাচ্ছে সেই সেবা আপনার কাছ থেকেও পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু অব্যবস্থার জন্য পাওয়া যায়নি। তখন ওনি বলেন কালি কেনার দায়িত্ব আমার নয় এটা করে টেন্ডার পাওয়া কোম্পানী। তখন আমি বললাম ঐ কোম্পানী যদি ভাল কালি বা সাপ্লাই না দেয় সেটা নিয়ে আপত্তি তোলা বা টেন্ডার বাতিল করার ক্ষমতাতো আপনাদের রয়েছে এমনকি ফেরত দিয়ে ভাল কালির ব্যবস্থা করার বিষয়ে ত আপনিই যথেষ্ট। তিনি বলেন অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হয় নাই। তিনি আরো বলেন এই প্রিন্ট এর বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিলেইতো আর আমাদের কাছে আসে না; যার যার ব্যবস্থা সেই করতে পারে? এটা কি কোন যুক্তিসঙ্গত আচরণ হলো? একজন কর্মকর্তা কি এই ধরণের সমাধানের কথা বলতে পারেন? এটা কি তার চাকুরী বিধিতে আছে? অথবা জনগণের সেবক হয়ে বিবেকের তালিকার কোথায় আছে এমন বক্তব্য একটু বলবেন কি?
আরেকটি বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে যে, মশার ঔষুধ ক্রয় করা হয় এবং ছিটানো হয় তাতে কি কোন মথা কমেছে? কমে নাই কারণ ঐগুলি ভেজাল। আর ভেজাল সাপ্লাই দেয় সরকার। সমস্ত দোষারোপ সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে ওনারা বসে বসে সকল অনাচার করে যাচ্ছে? আমার প্রশ্ন সচেতন বিবেকের কাছে ঐ সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের এখন পদ থেকে বহিস্কার করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে কি …না….। সামনে আর ক্ষতি হতে দেয়া যায় না। যিনারা সরকার এবং রাষ্ট্র বিরোধী ভুমিকায় অবর্তীর্ন এবং জনগণকে নিয়ে তামাশা তামাশা খেলেন তাদের আর কোন নৈতিক এবং আইনি যোগ্যতা নেই ঐ পদে থেকে সুবিধা ভোগসহ যাবতীয় লোটপাটে সহায়তা করার। টেন্ডার কি সরকার ডাকে নাক সিটি করপোরেশন? টেন্ডারে লুট-পাট কে করে ঐ কর্পোরেশনের কর্মকর্তারই সরকার নয়। তাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনে এবং সরকারের ভাবমুর্তির সুরাক্ষার প্রয়োজনে এমনকি উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত সকল আবর্জনা পরিস্কার করে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির সুফল পৌঁছে দিতে হবে। এখনই সময় এবং সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
প্রশাসন এবং সরকারকে বলব এই খবরের সুত্র ধরে আশু ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ এবং অসন্তোষ দুর করতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পথ সুগম করতে হবে।