শেখ কামাল সুমন॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রোববার ২০ দলীয় জোটের বৈঠক, ১ লা ফেব্রুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক এবং ৮ই ফেব্রুয়ারির আগে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের আচরণ, বক্তব্য ও মামলার দ্রুতগতি সহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে বিএনপি নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নেতিবাচক রায় হতে পারে। রায়কে কেন্দ্র করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ধরপাকড় করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। আলোচনায় বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন বিএনপি নেতারা। জোটের ডাকা বৈঠকে এ বিষয়ে মতামত নেবে বিএনপি।
গত শনিবার রাত সোয়া নয়টা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক চলাকালীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার গণমাধ্যমের কাছে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন।
এতে তিনি বলেন, ‘গত ২৫শে জানুয়ারি গত বৃহস্পতিবার ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীগণের বক্তব্য হঠাৎ সমাপ্ত ঘোষণা করে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার জন্য দ্রুত রায় ঘোষণা সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই দেশবাসী মনে করে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘সরকার প্রধান থেকে শুরু করে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের মন্ত্রীগণ এই মামলার রায় এবং তৎপরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে সরকার ও সরকারি দলের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা যে ভাষায় বলে চলেছেন- তাতে প্রমাণিত হয় যে, মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকলেও তার রায় কি হবে তা সরকার ও সরকারি দলের জানা আছে বলেই মনে হয় ‘ মির্জা ফখরুল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বিচারের নামে সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।