টিআইএন॥ বৃহস্পতিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু অত্যন্ত গোপনে সিসিটিভির মাধ্যমে বাড়ি থেকেই তিনি বৈঠকের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। লন্ডনে বসে তারেক জিয়াও বৈঠকের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।
পরিকল্পনাটি ছিল তারেক জিয়ার। বেগম জিয়া ও তারেক দেখতে চেয়েছিলেন, তাদের ছাড়া বৈঠকে সিনিয়র নেতারা কী প্রতিক্রিয়া দেখান। বেগম জিয়া দন্ডিত হলে কার কী ভূমিকা তা বুঝতেই আড়াল থেকে বৈঠক পর্যবেক্ষণের কৌশল নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের শুরুতেই ড. মঈন খান বলেন, আন্দোলনের কৌশল কী হবে, তাঁর কিছুই আমরা জানি না কেন? কে দলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে?
এরকম কিছু প্রশ্ন করলে ব্যারিস্টার মওদুদ তাঁকে থামিয়ে একটা সিসিটিভি ক্যামেরা দেখিয়ে বলেন, ওপরওয়ালা, সব দেখছে, আস্তে। মওদুদের এই কথার পর সবাই বুঝতে পারে এই বৈঠকের আসল রহস্য।
বেগম জিয়া বন্দনায়, আর তারেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বিএনপি নেতারা। বেগম জিয়া আর তারেকেকে রীতিমতো ধোঁকা দিলেন দলের সিনিয়র নেতারা।