শান্তি এবং স্থীতিশীলতায় এখন গরম হাওয়া

Vector-Smart-Objectশীতের এই পড়ন্ত বেলায় যেন একটু উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং শহুরে, গ্রামে এমনকি কর্মময় জীবনে। সর্বত্রই যেন গরম হাওয়া দোলা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শীতের শেষে গরম আসবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই স্বাভাবিক নিয়মের সঙ্গে আরেকটি বিশৃঙ্খল ও মনুষ্য সৃষ্টি কুটচালের গরম হাওয়া প্রবেশ করতে চাচ্ছে। এই দুষিত হাওয়া দোলা দিয়ে যাচ্ছে নাগরিক মনে। এই হাওয়ায় বিনষ্ট হতে পারে আমাদের নাগরিক জীবনের নিশ্চয়তা এবং স্থীতিশীলতার। এখনই সময় এই গরম হওয়াকে কঠের হস্তে দমন করে আগামীর স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।
গত কয়েক দিনের সংবাদ যা পঠিত ও শোনিত তা থেকে যা বুঝা যায়; তা হলো একটি অন্যায়কে ঢাকা দিতে বা ধামা চাপা দিতে আরো হাজারটি অন্যায় সাধিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অস্থিতিশীল লোভী ও দেশী বিরোধী চক্র। এই চক্রান্তে শামিল করতে চাইছে বুদ্ধিজীবি ও স্বচ্ছ সরল মনের বোকা মানুষদের । যাদেরকে ব্যবহার করেই অতীতে সকল অপকর্ম এবং দেশকে পিছিয়ে দেয়ার কাজটুকু করেছিল। কিন্তু আজ সেই মানুষজন এখন একটু ভাবতে ও বুঝতে শিখেছে। এখন আর তারা কোরবানির গরু হতে রাজি নয়। তারপরও বলব মানব মনে কখন যে কি হয় তা বলা আমি অধমের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সজাগ ও সচেতন থেকে বিচক্ষণতার সঙ্গে এই অপ-তৎপরতাকে মোকাবিলা করুন।
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনতো আস্থার প্রতিক হিসেবে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এখন নিজের উপর বা নিজের অন্যায় ঢাকার জন্য কেন বিচার ব্যবস্থাকে মেনে নিতে পারেন না? একটু চিন্তা করেন সকলেই বলে এবং আপনিও বলেছেন আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু কেন আপনি এই কথাটির সত্যতা যতার্থভাবে মেনে নিতে পারছেন না? কেন ষড়যন্ত্র করে শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে চাইছেন? নিজের মনের অশান্তি বা অন্তজালা ও ক্ষমতার লোভ সামলাতে না পেরে জনগণের গাঢ়ে এর দায় দয়া করে চাপাবেন না। অতীতের মত জনগণকে নিস্পেষিত আর করবেন না। শিল পাটা ঘষা ঘষি কিন্তু মরিচের জীবন শেষ। এই মরিচের শেষ পরিণতিতে জনগণকে দাঁড় করাবেন না। জনগণ এখন সচেতন তাই শেষ যে সুযোগটুকু অবশিষ্ট রয়েছে সেটা ধ্বংস করে ধ্বংসাবশাসের চাপায় বিএনপিকে বিসর্জন দিয়ে দিয়েন না।
সামনে সময় অনেক আছে আর সেই সময়কে শুধরানোর মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান। তাহলে হয়ত অদুর ভবিষ্যতে জনগণ আবার আপনাদের উপর আস্থা রেখে দেশ সেবার দায়িত্ব দিতেও পারে। কিন্তু এই তড়িৎ উন্নয়ন যাত্রায় শোধরানো ব্যতিরেখে পরিক্ষীত হওয়ার আগ পর্যন্ত আপাতত শেখ হাসিনার সরকারই জন ভরসায় পরিণত হয়েছে এবং এই ভরসার সাফল্যও দেখতে পেয়েছে। তাই সফলতা চলমান রাখাই এখন জনগণের কাজ আর এই কাজটি জনগণই সম্পন্ন করবেন পারদর্শীতার সঙ্গে।
এই কয়েক দিন অনেক নতুন কিছু ঘটল যা জাতি হিসেবে সানন্দে গ্রহন করে এই পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ এবং সহযোগীতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গিকারই প্রতিফলিত হয়েছে সর্বত্র। সিলেটের সেই সমাবেশ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্রধান বিচারপতি নির্বাচন, পুলিশ প্রধান নির্বাচন সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জনগণের জন্য একটি চমকে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক লিখালিখি এমনকি অনুমান নির্ভর মতামতসহ বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনার কমতি ছিল না। কিন্তু সেই আলোচনা ও সমালোচনার ইতি টেনে এখন সর্বজন গৃহীত ব্যক্তিদের হাতে উপযুক্ত দায়িত্ব অর্পন করে শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভা পরিপক্কতার আরেকটি প্রমান উপস্থিত করেছেন জাতির সামনে।
আগামী নির্বাচনের সকল ধোয়াসা কাটিয়ে একটি দিক নির্দেশনা দিয়ে জাতির সামনে নির্বাচনী মহড়ায় অবতীর্ণ হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় এবং স্বাধীনতা অর্জনকারী দল আওয়ামী লীগ। ১৬ কোটি মানুষের জন্য পেনশন স্কীম ঘোষনা করতে যাচ্ছে এই সরকার। আর এই ঘোষণা করাটি ছিল একটি ওয়াদা। আশা করি অচিরেই এই ওয়াদার বাস্তবায়ন হবে এবং জনগনের চাওয়া ও পাওয়ার সকল হিসেব নিকেশ বাস্তবে দৃশ্যমান হয়ে আগামীর স্থীতি বৃদ্ধি পাবে।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরো কঠোর এবং আরো যতœশীল হয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। বিনা কারণে কারো মুখাপেক্ষি হয়ে দুর্নামের খতিয়ান বৃদ্ধিতে নিরুৎসাহিত থাকতে হবে। সুনাম অর্জনের খতিয়ার বৃদ্ধিতে সকলেই দৃপ্ত ও বলীয়ান থেকে সরকারের আকাঙ্খা ও ইচ্ছাকে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়ে সরকার + জনগণ + সকল বাহিনীগুলো এক ঐক্যের সম্মিলনে ঐক্যবদ্দ হয়ে মুজিবীয় আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমাদের অঙ্গিকার হউক এক ও অভিন্ন এবং চেতনা হউক মুক্তিযোদ্ধের ও শপথ হউক ৫২এর ভাষা আন্দোলনের অন্তনিহীত তাৎপর্যের; আলিঙ্গন হউক ভাই এবং ভাইয়ের, বোন এবং বোনের, মা এবং মায়ের, বাবা এবং বাবার। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে তবে স্থীতিশীলতা বিনষ্টকারীরা উচ্ছেদ হবে। গরম বাতাস বা হাওয়া শীতল হয়ে সার্বজনীন কল্যাণের তরে ঐক্যের আলিঙ্গনে মুক্ত বাতায়নের ডিজিটাল কর্মযজ্ঞে বিশ্ব নেতৃত্বের দাবিদার হবে। এই কামনা এবং বিশ্বাস নিয়ে আগামী সখ্যায় নতুন কিছু নিয়ে আার প্রত্যাশায় রইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.