ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঘুষের বিনিময়ে পুলিশে চাকুরীর কথা বলে টাকা নেয়ার অপরাধে মোছা; ফুরকান নাহার (৪২) নামক এক মহিলা প্রতারককে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) রবিবার রাতে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরবাহাদুর গ্রামে। প্রতারক ফুরকান নাহার ওই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং একই গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে প্রতারিত মো.জহিরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়; প্রতারক মহিলা ফুরকান নাহার বাদীর চাচাত ভাই মো.জমসিদ খানের পূর্ব পরিচিত। জমসিদের মাধ্যমে পরিচয় হয় এই প্রতারক মহিলার সাথে । অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে পরিচয় আছে বলে মহিলা জানায়। ৫ লাখ টাকা দিলে পুলিশে চাকুরী দেয়ার ক্ষমতা আছে তার। চাচাত ভাই জমসিদ এবং প্রতারক মহিলার কথায় বিশ্বাস করে তার ছেলেকে পুলিশে চাকুরী দেয়ার জন্য কয়েক মাস পূর্বে মহিলাকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেয় জহিরুল ইসলাম । বাকি টাকা চাকুরী হওয়ার পর দেয়ার কথা থাকলেও চাকুরী না দিয়েই বাকি টাকা নিতে আসে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। জমসিদ এবং মহিলা জানায় চলতি বছরের আগামী ৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশে লোক নিবে সেখানে তার ছেলেকে চাকুরী দিবে । তার কথায় জহিরুল ইসলামের সন্দেহ হলে সে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহাম্মদ খানকে অবহিত করেন। পরে খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে খবর দিলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।