ঢাকার রাস্তায় গাছ…

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ ঢাকার সৌন্দয্য বর্ধন কে না চাই? আর এই সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে ব্যায় হচ্ছে রাষ্ট্রের সময়, শ্রম, টাকা এবং মূল্যাবান জায়গা। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছু করে যাচ্ছে যা দেখে মনে দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনায় নয় বরং স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনায়। এই স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় যা হয় তা ক্ষনস্থায়ী এবং অপচয়। এই অপচয় রোধে এগিয়ে আসা সকলেরই উচিত। কারন কয়দিন পর পর সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রমের ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। tajul Islam kutubpalong
গ্রীণ ঢাকাও একটি উপকরন হতে পারে যদি পরিকল্পিত সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে একে অন্তভূক্তি করা যায়। ঢাকার রাস্তায় গাছ দেখা যায় এবং রোড ডিভাইডারের মাঝখানেও গাছ দেখা যায়। তবে এর স্থায়ী বেশীদিন হয় না। কখনো মারা যায় অবার কখনো রুগ্ন জীবনের সঙ্গি হয়ে অসৌন্দর্য্য বৃদ্ধি কল্পে সহায়তা করে। কখনো কখনো আবার স্বল্প বাতাসে উল্টে গিয়ে জীবন এবং যন্ত্রেও ক্ষতি সাধন করে থাকে। যার ফলে সময় ও অর্থের অপচয় হয়। এখানেও পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে ফলজ বৃক্ষ রোপন করা যেতে পারে।
মাঝে মাঝে দেখা যায় যে গাছের মূল বেশী নীচে যায় না। কারণ ডিভাইডারের মাঝখানে অল্প মাটি ভরাট করে গাছ রোপন করা হয়। কিন্তু নিচের অংশের সঙ্গে গাছের শিকর যুক্ত করার কোন উপায় থাকে না। এই ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বা উন্নয়ন ও উন্নত দেশের দৃশ্যমান সহায়তা নিতে পারি। যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেন এবং করেছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারি। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের রোড ডিভাইডারের মাঝখানের গাছ লাগানো হয় সমান্তরাল রাস্তার গভিরে এবং সেখান থেকেই গাছ শক্তি এবং রসত যোগার করে জীবন রক্ষা করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
রাস্তার সমান্তরাল লাগানো গাছগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং উপকারী। যার জন্য বছর বছর পরিকল্পনা করতে হয় না এবং সৌন্দয্যের বিপরীতে অসৌন্দর্য্য পরিলক্ষিত হয় না। পাশাপাশি ফল ও ফুলে নতুন এক সৌন্দয্যের মাত্রা যোগ করে। দরিদ্র অথবা ধনী সবাই মিলে ঐ ফল ভোগ করে থাকে। যদি গ্রীণ ঢাকা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে হয়তো ঢাকা ফিরে পাবে প্রাণ এবং মানুষ ফিরে পাবে একটি জীবনের দীশা। তৃণমূল ফিরে পাবে চড়া বাজারের চাপে পড়া থেকে রক্ষা। বছরে বার মাসেই ফলের বা ফসলের স্বাদ নেয়ার সুযোগ।
আসুন আমরা নিজ দায়িত্বে কিছু একটা করি যাতে ঢাকা হতে পারে গ্রীণ ও প্রকৃতি হতে পারে অমলিন আর মানুষ পেতে পারে স্বাদ আহলাদ পুরণের নিশ্চয়তা। পরিকল্পনা ও পরিচর্যা বাস্তবায়ন এর স্থায়ীত্ব হউক দীর্ঘস্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় হয়ে দীর্ঘস্থায়ী পথের বাস্তবায়ন সুগম করি। সকলে মিলেই এই দেশকে সম্বৃদ্ধ ও শান্তির এবং স্থিতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ঢাকার রাস্তায় সারিবদ্ধ ফলজ গাছের দৃশ্যমান সুফল ঘরে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এবং বাস্তবে দৃশ্যমান উপভোগ্য সৌন্দয্য ভোগ বিলাসে মত্ত হই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.