ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত ৬ মার্চ সকালে কসবা টি.আলী বাড়ির মোড় এলাকা থেকে কসবা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২০০ কেজি গাঁজা ভর্তি ২ প্রাইভেটকার চালককে আটক করে রহস্যজনকভাবে মাত্র ৪০ কেজি গাঁজা দিয়ে এ.এস.আই সালাউদ্দিন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ প্রাইভেটকার চালক চট্টগ্রাম হাটহাজারি ফতেহাবাদ গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে হাসান মিয়া (৩০) ও পটুয়াখালীর বাউখল উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে আল-আমিন (৩৩) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। গত ৮ মার্চ গ্রেফতারকৃত ২ প্রাইভেটকার চালককে ৩ দিনের রিমান্ড এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে গাঁজার পরিমান ছিলো ২০০ কেজি। এদিকে থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে?
জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর এলাকা থেকে ২টি প্রাইভেটকার ভর্তি ২০০ কেজি ভারতীয় গাঁজা ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় পৌর এলাকার টি.আলী বাড়ির মোড়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার এস.আই শ্যামল মজুমদার ও এ.এস.আই সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ২০০ কেজি গাঁজাসহ ২ প্রাইভেটকার চালককে আটক করে। পরে উদ্ধারকৃত গাঁজা থেকে মাত্র ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই চালককে জড়িয়ে মামলা করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন ও ডিবি পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন সিজারে উল্লেখিত মালের সাথে গরমিল রয়েছে। পরবর্তীতে থানার পূর্ব পাশের্^ পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অপর দিকে তথ্য গোপন করে ১৬০ কেজি গাঁজা আত্মস্বাৎ ও কারচুপির অভিযোগে কসবা থানার এস. আই মনির হোসেন-১, এস.আই শ্যামল মজুমদার, এ.এস.আই সালাউদ্দিন, এ.এস.আই ফারুক ও কন্সষ্টেবল শাহজাহান এবং আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডি.আই.জি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম (বার) এর নির্দেশে বরখাস্তকৃতদের জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। থানা পুলিশ দুই চালককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রাইভেটকার ২টি থানায় জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে কসবা থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ বেলাল হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম সাংবাদিকদের জানান ১৬০ কেজি গাঁজা কারচুপির অভিযোগে ও কর্তব্য কাজে অবহেলার কারনে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ৬ পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। ২ প্রাইভেট চালককে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মোঃ ইকবাল হোসেন সার্বিকভাবে তদন্ত করছেন।