প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো উচিত রাষ্ট্রপতি

টিআইএন॥ প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ দেওয়া উচিত। গত মঙ্গলবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। nokol speace hamid
প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও এর সূদুরপ্রসারী পরিণতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে অর্জিত সাফল্য সমাজ ও দেশের কোনো উপকারে আসে না। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে শিক্ষক – ছাত্র – অভিভাবকদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বাবা-মা যদি সন্তানকে নকল সরবরাহ করেন সেটা খুবই লজ্জাজনক।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘যখন শোনা যায় যে, বাপ বা মা গিয়ে তার ছেলেরে নকল সাপ্লাই দেয়, এটা কী করে হয়? এর চেয়ে লজ্জাজনক, জঘন্য কী হতে পারে? তাহলে এই বাপ আর মা তার ছেলে বা মেয়েকে কী শিখাইতাছে? তারে কী বানাইতেছে? তারে দিয়া ভবিষ্যতে কী হবে? দেশের কী হবে? পাশাপাশি যে শিক্ষকরা শিখাইব ছেলে – মেয়েদেরকে, তারা নিজেরা যদি ছেলে – মেয়েদেরকে; তার ছেলে ভালো রেজাল্ট করছে, তার মার্কেট ভালো করার জন্য, প্রাইভেট পড়াইবার মার্কেট ভালো করবার জন্য সে যদি প্রশ্ন কইয়া দেয় যে, এই প্রশ্ন আইতাছে। তাহলে রেজাল্ট ভালো হবে, তার মার্কেট, বেশি বেশি প্রাইভেট ছাত্র পাইব। এসব চিন্তাভাবনা থেকে তারা এগুলি করতেছে। তাহলে তারা এই দেশ, জাতিকে কী দিচ্ছে? অহন কথা কইলে তো খারাপ কথা। কিন্তু আসলে দেশ ও জাতির স্বার্থে দে শুড গো টু ফায়ারিং স্কোয়াড। এটা তো খুব খারাপ কথা, কিন্তু তাদের ফায়ার স্কোয়াডে দেওয়া উচিত।’
রাষ্ট্রপ্রধান বর্তমানে প্রচলিত বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতি বদলানোর পক্ষে মতামত দেন। তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি আধুনিকায়ন করলে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো সম্ভব হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, শিশুদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে গিয়ে তাদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার বাসনা গড়ে না ওঠে সেদিকে অভিভাবক, শিক্ষকদের নজর দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.