সৌরওয়ার্দী ওদ্যান থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হয়ে গেল এক ঐতিহাসিক সম্বর্ধনা। স্মরণকালের সর্ববৃহত এই গণসম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ৭ মার্চ। যাকে কেন্দ্র করে এই সম্বর্ধনা তিনি আর কেউ নন, তিনি হলে জাতির পিতার কন্যা এবং বাংগালীর শেষ ঠিকানা বিশ্ব মানবতার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের দরবারে এই সম্বর্ধনাটুকু ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকার এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখারই শামিল মাত্র। এইখানেই সেই বজ্যকণ্ঠের অমীয় বাণী উচ্চারিত হয়েছিল ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ, যার প্রতিটি কথার ইঞ্চি মেপে আজ জাতি এখানে এসে পৌঁছেছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জীত হয়েছে। অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে এবং পৃথিবীর সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে আমাদের টুঙ্গিপাড়ার সেই ছোট্ট মেয়ে শেখ হাসিনা। sarwardi waddan meetin 7th march
বকাবার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বাবারই ন্যায় তিনি এখন সমগ্র পৃথিবীর মানুষের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আর এতে সহযোগীতা করেছে তার বিশাল মন এবং আল্লাহর প্রতি উদার এবং অটল বিশ্বাস। পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন পুর্বপাকিস্থানের একটি অংশকে নিয়ে এবং সেই সফলতাও তিনি পেয়েছিলেন অতি অল্প সময়েই। সেই সফলতার একটি ফুটন্ত রক্তগোলাপ হলো আজকের বাংলাদেশ। উদিয়মান এই বাংলাদেশ এবং এর উন্নয়ন গতিকে কে থামাবে? কেউ না সেই মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণের একটি কথা হলো কেউ আমাদেরকে ধাবায়ে রাখতে পারবানা। হ্যা কেউ ধাবায়ে রাখতে পারবেনা এবং পারেনি।
শেখ হাসিনা বিশ্ব নের্তৃত্বের যে দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছেন তা অব্যাহত থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ আমরা আগামী দিনে দায়িত্ব নিয়েই সকলের সেবা করবো। অসহায়ের পাশে রয়েছে আল্লাহ এবং তার পরে শেখ হাসিনা। নিপিড়ীতের পাশে রয়েছে সৃষ্টিকতা এবং তারপরেই আছে শেখ হাসিনা। সুবিধা বঞ্চিতের পাশে রয়েছে খোদা তায়ালা এবং তার পরেই রয়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমান বিশ্বে শেখ হাসিনা একটি নাম যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ এবং সকল নিয়ামত ও সুরক্ষা। সৃষ্টিকর্তা বঙ্গবন্ধুকে বেছে নিয়েছিলেন বাঙালী জাতিকে উদ্ধার করার জন্য। আর এখন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনাকে বেছে নিয়েছে বাঙ্গালী জাতির সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের নিপিড়িত ও নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে শেখ শান্তনা ও আশ্রয়টুকু দেয়ার জন্য।
দিন দিনি তিনি সেই লক্ষ্যের শেষ সীমায় পৌছে যেতে সক্ষম হচ্ছেন। রোহিঙ্গা সমস্যার আড়ালের সকল অপরাজনীতি বিনাশ হয়েছে এবং শান্তির পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের শেষ সীমার লক্ষ্যে। আমরা আছি তাঁর সঙ্গে এবং থাকব আমৃত্যু। বঙ্গবন্ধু সেই ৭মার্চ ১৯৭১এ যে স্বপ্ন দেখেছিল আজ শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন দেখেন এই রেইসকোর্স ময়দানে দাড়িয়েই। সেদিনের ন্যায় আজও মানবতার নেত্রীকে সমর্থন ও সহযোগীতা করার মনোবৃত্তি নিয়ে স্মরণকালের এই বিশাল সম্বর্ধনায় জনতা জানান দিলো যে, আমরা সেই ’৭১এর চেতনায় আপনার সকল নির্দেশনা মেনে সামনে এগুবো। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। আগামীর প্রত্যাশা ও দিকনির্দেশনা শুনে সবাই এখন উজ্জিবীত এবং উদ্বেলীত। শতবাধা উপেক্ষা করে সেদিন নির¯্র বাঙালী ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সুর্য যাকে বাংলাদেশ মানচিত্রে প্রকাশ করেছি মাত্র।
কি নেই আমাদের এখন; সবই আছে; এখন আর আমরা নির¯্র নই। তাই সেদিনের চেয়ে এখন আমরা অনেক শক্তিশালী ও পরিপক্ক। তাই আমাদের দ্বারা এখন আর কোন-কিছুই অসম্ভব নই। সকল অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করতে সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনা এবং তাঁর বিশাল এই সন্তানতুল্য বাহিনীকে নিয়োজিত রেখেছেন মানব কল্যাণের তরে। শেখ হাসিনার মুলমন্ত্র, ক্ষমা, ভালবাসা, সততা, কঠোর পরিশ্রম, অদম্য সাহস আর আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও নির্ভরতা এবং এই দেশবাসীর ভালবাসা ও দোয়া এমনকি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
সকল প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে অভিষ্ট লক্ষ্যের শেষ প্রান্তে এবং জাতি পৌঁছে যাবে কাঙ্খিল স্বপ্নের সোনার বাংলায়। যা সৃষ্টির শুরুতে বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন এবং ’৭১এর ৭মার্চ তার ভাষনে প্রকাশ করেছিলেন। আমরা আমাদের এই সুনিশ্চিত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে কঠোর থেকে কঠোর সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনার কাছে। আর তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের কাছে। এই দুই প্রতিশ্রুতির সম্মিলনই হবে আমাদের আগামীর শুভ বিজয় এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার স্থিতি ও নিশ্চয়তা। আসুন আমরা এই ৭ই মার্চের ভাষণ এবং মর্মার্থ উপলব্দি করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। স্মরণকালের এই জনসমাগমের চোখের ভাষায় প্রকাশিত প্রতিশ্রুতির মর্যাদা রক্ষা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.