খালেদা জিয়ার চেহারা বড় ভয়ঙ্কর

ইসরাত জাহান লাকী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লিখাটি খুবহু তোলে ধরা হলো॥ ঢাকা থেকে আমাকে এক বিএনপি নেতা ক্রুদ্ধ হয়ে টেলিফোন করেছেন। বলেছেন, ‘আপনাকে কোনো কথা বলা মুশকিল। বললেই আপনি আপনার কলামে তা লিখে ফেলবেন।’ বলেছি, আপনি যা বলবেন তা তো রাজনৈতিক বিষয় নিশ্চয়ই। তা নিয়ে লিখতে নিষেধ করছেন? তিনি বললেন, ‘না, নিষেধ করছি না। কিন্তু সেই সঙ্গে আমার নামটাও জড়িয়ে দিয়ে আমাকে বিতর্কে ফেলবেন।’ আমি তাকে অভয় দিলাম, তিনি যা বলবেন, তা আলোচনার বিষয়বস্তু হলে নিশ্চয়ই আলোচনা করব। নাম উল্লেখ করব না। Gaffer chudhuri
তিনি বললেন, ‘খালেদা জিয়ার বিচার ও কারাদন্ড সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়েছি। তাতে আপনি আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কোনো লেখায় স্বীকার করেননি যে, এটা আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি। খালেদা জিয়া জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্যই আওয়ামী লীগ সরকারের এই চক্রান্ত। এটা অস্বীকার করা কি নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা?’
বিএনপি নেতার ক্রোধের মুখে বিচলিত হইনি। তাকে বলেছি, আমি নিরপেক্ষ কলামিস্ট- এ কথা কখনও দাবি করিনি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল সম্পর্কে আমার নিরপেক্ষতা নেই। আমার নিরপেক্ষতা দলীয় রাজনীতির ব্যাপারে, নীতির রাজনীতির ব্যাপারে। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনা করি; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটির প্রতি আমার রয়েছে অকৃত্রিম সমর্থন।
বিএনপি নেতা বললেন, ‘তাই বলে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিচার প্রহসনে শাস্তি দেওয়া হবে, তা আপনি সমর্থন করবেন?’ বলেছি, এটা মিথ্যা মামলা নয় বলেই আমার বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকেই যা লেখার লিখেছি। বিএনপি আমলের দুর্নীতির দুর্গ হাওয়া ভবনের কথা কে না জানে? তারেক রহমানের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজনীতি ও দুর্নীতির কথা সর্বজনবিদিত। এগুলোর বিচার হলে কি তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশোধ বলব? তবে এমন হতে পারে, খালেদা জিয়া হয়তো ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিবাজ নন। কিন্তু পুত্র তারেক, কোকো ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বেপরোয়া দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়েছেন। দশ বছর রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন। সেই জেনারেল এরশাদের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য বিচার ও শাস্তি হতে পারে- সে ক্ষেত্রে খালেদা ও হাসিনা কোনো অন্যায় করলে সেই বিচার এড়াবেন কীভাবে? তাছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলোও আওয়ামী লীগ সরকার দেয়নি। দিয়েছিল মইন-ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
বিএনপি নেতা সোৎসাহে বললেন, এ রকম দুর্নীতির মামলা তো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও তারা দিয়েছিল। বিশেষ করে নাইকোর মামলার কথা উল্লেখ করতে হয়। কই, সেসব মামলায় তো শেখ হাসিনার বিচার হলো না। বরং আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে কমিশন বসিয়ে মামলাগুলো মিথ্যা বলে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। কই, বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়, তা তো প্রত্যাহার করা হয়নি!
নেতাকে বলেছি, আপনি রাজনীতি করেন আর রাজনৈতিক খেলাটা বোঝেননি? যদি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতো এবং সরকার গঠন করত, তাহলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দুর্নীতির মামলা কমিশন বসিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রত্যাহার করে নিত। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে রুজু করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করত কি? হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হলেও বিএনপি তা প্রত্যাহার করত না। আওয়ামী লীগের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো নজির বিএনপির কুষ্ঠিতে লেখা নেই।
বিএনপি নেতাকে একটি উদাহরণ দেখিয়েছি- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানি ও জাপানের পরাজয় হয় এবং নুরেমবার্গ বিচারে তাদের নেতাদের ফাঁসি হয়। যদি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ব্রিটিশ জোটের পরাজয় হতো, তাহলে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে একই আদালতের বিচারে কাদের প্রাণদন্ড হতো, বলুন তো? চার্চিল, রুজভেল্টসহ তৎকালীন মিত্রপক্ষের নেতাদের কি নয়?
নাৎসি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন মিত্রপক্ষের নেতারা। তারাই বিচারক নিযুক্ত করেছেন। অর্থাৎ তারাই বিচার করেছেন এবং অভিযুক্তদের তারাই শাস্তি দিয়েছেন। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানদের বিচারে ও দন্ডদানে তা হয়নি। তাদের অভিযুক্ত করেছে আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী সেনা প্রভাবিত সরকার। তাদের বিচার করেছেন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেশের সাধারণ আদালত। বিএনপি বলতে চাইছে, এই নিম্ন আদালতের রায়কে প্রভাবিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যদি তাই হয় অর্থাৎ সরকার নিম্ন আদালতের রায়কে প্রভাবিত করে থাকে, তাহলে উচ্চ আদালতে সুবিচার পাওয়ার জন্য আপিল করার দুয়ার তো খোলা আছে।
নাকি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টও বিএনপির ওপর সুবিচার করবে না? দেশের উচ্চ আদালতের বিচার ও বিচারকদের ওপরও যদি বিএনপির আস্থা না থাকে, তাহলে সুবিচার কোথায় পাওয়া যাবে? অথচ ৮ ফেব্রুয়ারির রায়ের আগের দিনও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের প্রশাসন, সামরিক বাহিনী সবকিছু বিএনপির পক্ষে। তাহলে তার দাবিমতো বিচার বিভাগও তার পক্ষে। এই বিচার বিভাগের কাছ থেকে সুবিচারের বেশি কিছু পেতে বিএনপি নেতাদের ভয় কোথায়?
এটা যে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশোধের রাজনীতি নয় তার প্রমাণ, এই দুর্নীতির মামলায় বিএনপিকে ঝুলিয়েছে একটি সেনা প্রভাবিত অরাজনৈতিক সরকার এবং মামলার বিচার ও দন্ডও দিয়েছেন দেশের সাধারণ আদালত। এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধেও উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে এবং বিএনপির আইনজীবীরা সেই আপিল করার উদ্যোগও নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সেনা প্রভাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ের করা মামলাগুলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দিয়েছে। বিএনপি নেতাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করেনি। সেগুলো ঝুলিয়ে রেখেছে এবং নির্বাচনী বছরে এসে তার রায় ঘোষণা করানো হয়েছে এমনভাবে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে গেলেও নেতৃত্বহীন অবস্থায় যায় ও পরাজিত হয়। এই অভিযোগটিও ধোপে টেকে না। মামলাগুলো সরকার ঝুলিয়ে রাখেনি। মামলার বিভিন্ন তারিখে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির থাকা, তার আইনজীবীদের বারবার সময় চাওয়া, তারেক রহমানের বিদেশে পালিয়ে থেকে আদালতের সমন অগ্রাহ্য করা- সব মিলিয়ে ৯ বছর ধরে মামলাগুলো ঝুলে রয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধের রাজনীতি করলে এই বিচার দ্রুততর করার ব্যবস্থা করে বিএনপি নেত্রীকে জেলে আগেই পাঠানোর ব্যবস্থা করত। তা তারা করেনি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে যা করতে পারত তাহলো, তারা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি ও অন্যান্য মামলার যথার্থতা সম্পর্কে কমিশন বসিয়ে তদন্ত করেছে। তারপর মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে বিএনপির অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের মামলাগুলো সম্পর্কে কমিশন বসিয়ে তদন্ত করে সেগুলো যথার্থ না হলে বাতিল করার ব্যবস্থা করতে পারত। কিন্তু কোনো গণতান্ত্রিক দেশেও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তার প্রতিপক্ষ অথবা শত্রুপক্ষ সম্পর্কে তা কি করে? তাছাড়া তারেক রহমানের হাওয়া ভবন যে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরাট আড্ডাখানা ছিল, তা তো ওপেন সিক্রেট। তাকে ধামাচাপা দেওয়া যেত কীভাবে? একটি মামলায় নয়, একাধিক মামলায় তারেক রহমান এখন আদালতের বিচারে দোষী সাব্যস্ত। এ ক্ষেত্রে সরকারের কী করার আছে?
আওয়ামী লীগ সরকার অবশ্য বিএনপি নেত্রীর এই কারাদন্ড হওয়াতে রাজনৈতিক সুবিধাভোগী। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য তার কলকাঠি নাড়ার আবশ্যক নেই। আর কোন রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষ বেকায়দায় পড়লে এই সুবিধা না নেয়? ভারতে কয়েকজন জাঁদরেল কংগ্রেস নেতা দুর্নীতির মামলায় জেল গমনে তার সুবিধা লুটেছে বিজেপি সরকার। বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে বিজেপির বিরোধী দলগুলোর নেতা ও মন্ত্রীদের জেল গমনের রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে বিজেপি। সে জন্য কেউ এ কথা বলেনি যে, বিজেপিই আদালতকে প্রভাবিত করে অন্যায়ভাবে এই বিচার ও সাজার ব্যবস্থা করেছে।
একটি রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষ অপর রাজনৈতিক দলের প্রতি উদার হতে পারে। গণতান্ত্রিক দেশে তা হয়েও থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে বিএনপির যে রাজনৈতিক চরিত্র, তাতে এই দলটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সহাবস্থানের সুযোগ কোথায়? জন্মাবধি বিএনপির আওয়ামী লীগের প্রতি আচরণ শত্রুতার। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে জেনারেল জিয়াউর রহমানের সংশ্নিষ্টতা আজ প্রশ্নাতীত। তারপরও বিএনপির হত্যার রাজনীতি শেষ হয়নি। খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা। এই হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান, তার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ও আরও অনেকের সংশ্নিষ্টতা থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং তার মামলা চলছে। সেই মামলাগুলোও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
বিএনপির বন্ধু নেতাকে বলেছি, এখন আপনারা খালেদা জিয়ার কারাদন্ড লাভের জন্য শেখ হাসিনার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন, অসুস্থ নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় শাস্তি দেওয়ার জন্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা গ্রহণের জন্য তাকে দায়ী করছেন। কিন্তু আপনারা ক্ষমতায় থাকতে শেখ হাসিনাকে তো জেলে পাঠানো নয়, তার সহনেতাদের সহ একেবারে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার করার চেষ্টা হয়েছিল। নিষ্ঠুর প্রতিহিংসার রাজনীতি কে করেছেন- শেখ হাসিনা, না খালেদা জিয়া?
খালেদা জিয়া যে ক’দিনই জেলে থাকুন, সুস্থ থাকুন, জেল থেকে বেরিয়ে বিএনপিকে আবার সুস্থ শরীরে নেতৃত্ব দিন- এই কামনা করি। তাকে ও তার দলকে মনে রাখতে হবে, তারা রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ; শত্রুপক্ষ নয়। কিন্তু জন্মাবধি আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠ থেকে তাড়ানোর জন্য তারা দেশের স্বাধীনতার শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছেন, তার চেহারা বড় ভয়ঙ্কর।
কারা গমনের আগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া প্রায় কেঁদে বলেছেন, ‘আমি অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়েছি। এক পুত্রকে হারিয়েছি। অন্য পুত্র নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে বিদেশে পড়ে আছে’ ইত্যাদি। কিন্তু তার এই অবস্থার জন্য তো আওয়ামী লীগ দায়ী নয়। জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছেন তারই সেনা সহযোগীদের চক্রান্তে। তার এক পুত্র মারা গেছেন রোগভোগে। কেউ তাকে হত্যা করেনি। তার বড় ছেলে জেলে নির্যাতিত হয়েছেন এক-এগারোর সরকারের আমলে। কিছু সেনাসদস্য এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। তবু যে কারণেই খালেদা জিয়া বিধবা এবং পুত্রহারা হয়ে থাকেন, তিনি দেশের মানুষের সহানুভূতি অবশ্যই পেতে পারেন।
কিন্তু এই মানবিক সহানুভূতি, সমবেদনা কি খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের মধ্যে আছে? শেখ হাসিনার পিতা-মাতা, ভাই, ভাইয়ের বউসহ দশ বছরের শিশু রাসেলকে পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যার পেছনে জেনারেল জিয়াউর রহমানেরও যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। তা তো খালেদা জিয়া অগ্রাহ্য করেছেনই। তার ওপর এই হত্যাকান্ডের দিবসকে নিজের বানোয়াট জন্মদিন ঘোষণা করে বছরের পর বছর উৎসব করতে পারলেন? নিজের পুত্রদের জন্য তার মাতৃহৃদয় কাঁদছে। আর দশ বছরের শিশু রাসেলের নির্মম হত্যার দিবসে উৎসবে মেতে জন্মদিনের কেক কাটলেন কীভাবে? আজ তার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করতে গিয়ে আমার মতো অনেকের মনে যদি এই প্রশ্ন জাগে, তা কি অন্যায় হবে?
বিএনপি নেতাকে বলেছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে আপনারা দেখা করেছেন। ভালো কথা। তারা আপনাদের জিজ্ঞেস করেছেন, ‘খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে কারাদন্ড হওয়ার পর আপনারা একই দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে দন্ডিত এক ব্যক্তিকে দলের অ্যাকটিং চেয়ারপারসনের পদে বসালেন কেন?’ আপনারা এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তার সঙ্গে কথা আর বাড়াইনি। লেখক: কলামিস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published.