আবদুল আখের॥ নৌকাতেই ঘর-বাড়ী। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কোন রেওয়াজ নেই তাদের। দু’পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে নৌকাতে অনানুষ্ঠানিক বিয়ে হয় রবিবার (১১ মার্চ) দুপুরে। এ প্রথম আনুষ্ঠানিক বিয়ে অনুষ্ঠান। বর এসেছে। কাগজের ফুল দিয়ে সজ্জ্বিত করা হয়েছে জেলে পল্লীর আশ-পাশের নৌকাগুলো, খোলা আকাশের নীচে তৈরী করেছে তোরণ। জেলে পল্লীতে জাক ঝমক এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় মোঃ নয়ন ও আছমা বেগম। বর নয়ন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হাজীমারা গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে। কনে আছমা একই গ্রামের বাবুল সর্দারের মেয়ে। তারা বেশ কয়েক বছর যাবত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাটে বসবাস করছেন।
বিয়ের পর রাতে নৌকাতে বাসর হয়। গত রবিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ব্যতিক্রম এ বিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ উভয় পক্ষের দুই শতাধিক মেহমান অংশ নেন। মতিরহাট মেঘনা নদীর তীরে নিজেরা (জেলেদের) এ আয়োজন করা হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানও করেন তারা। এতে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে নাচ-গানে উৎপলিত করেছে জেলে পল্লীকে। ব্যতিক্রম এ আয়োজন দেখতে আসেন গ্রামের তরুণ-তরুণী আর গৃহ বধূরা। রাতভর আনন্দে মেতে উঠে জেলারা। এতে সার্বিক সহযোগীতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহদী হাছান লিটন, মতির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আলম, ব্যবসায়ী সারু মিয়া, মাছ ব্যবসায়ী ফয়েজ, মালেক মিয়া, মোঃ খোকন ও ফারুক হোসেন। মতির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আলম জানান, জেলেদের এমন বিয়ে আর হয়নি। মতিরহাটের জন্য এ আনুষ্ঠানিক বিয়ে প্রথম। স্থানীয়রা সহযোগীতা করলে এমন আনুষ্ঠানিক বিয়ে তাদের জীবনে রেওয়াজ হয়ে যাবে। এ বিয়ে এক ব্যতিক্রম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হয়েছে বলেও জানান এ শিক্ষক।