সুশীলদের দুষ্ট ফাঁদ ও নতুন বাংলাদেশ

প্রশান্তি নিউজ ডেক্স॥ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে নিভৃত জীবন যাপনকারী বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান এবং ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের নতুন প্রকাশিতব্য বইতে একটা মজার তথ্য পাওয়া গেছে। খসড়া পান্ডুলিপিতে মঈন ইউ আহমেদ ‘শেখ হাসিনাকে ‘বিচক্ষণ, দেশপ্রেমিক এবং রাষ্ট্রনায়োকচিত গুণাবলী সম্পন্ন রাজনীতিবীদ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অন্যদিক বেগম জিয়াকে ‘পরিবার কেন্দ্রিক, অস্থির এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।’ প্রকাশিতব্য মঈন ইউ আহমেদের দ্বিতীয় গ্রন্থটি বিশ্লেণমূলক। susil dusto fad
এই বইতে ওয়ান-ইলেভেনের ব্যর্থতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছেন। পান্ডুলিপিতে তিনি সুশীল সমাজের কঠোর সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘আমাদের সুশীল সমাজ ক্ষমতালোভী, স্বার্থপর এবং জনবিচ্ছিন্ন।’ খসড়া পান্ডুলিপির দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলেছেন।
মঈন ইউ আহমেদ বলেন ‘দেশে শক্তিশালী এবং ক্রিয়াশীল একটি সুশীল সমাজ দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে তাদের রাজনীতি থেকে অবসরে পাঠানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। এই সুশীল সমাজের নিয়ন্ত্রনে ছিলো দেশের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা ও ইংরেজী দৈনিক। তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা এবং আমার অন্তত তিন দফা বৈঠকে তারা বার বার দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে রাজনীতি থেকে বিদায় করতে বলেন।’
তিনি লিখেছেন ‘সুশীলদের দুষ্ট ফাঁদে পা দেয়াটা ছিলো সেনাপ্রধান হিসেবে আমার ভুল সিদ্ধান্ত। পরবর্তীতে দেখলাম, এরা শুধু নিজের স্বার্থই বোঝেন, জনগণের কথা কিছুই ভাবেন না। এরা অত্যন্ত লোভী, পদ-পদবী এবং নানা সুযোগ সুবিধার জন্য এদের নিয়মিত তদবির আমার মোহ ভঙ্গ ঘটায়।’ দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মঈন ইউ আহমদ বলেন ‘শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার কোন যৌক্তিক এবং আইনগত কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু বেগম জিয়াকে এককভাবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব ছিলো না। তখন আমরা পুরনো কিছু মামলা দিয়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করি। কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আমরা সুস্পষ্ট দূর্নীতির অভিযোগ পাই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে কোন বিচারেই মামলা যোগ্য ছিলো।’
পরিশেষে সাবেক জেনারেলের লিখা বই সংগ্রহের প্রত্যাশা রাখি। আর এই দুষ্ট ষড়যন্ত্রের ফসল হলো আজকের নির্বাচিত পাকাপোক্ত সরকার ব্যবস্থা এবং স্থিতিশীল উদীয়মাত্র অগ্রসর রাজনীতি। ফলাফল এখন জনতার ঘরে এবং উপকারভোগী জনতা এখন সত্যের সন্ধানে এবং দুর্লভ ও অমূল্য আগামীর দ্বারপ্রান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.