ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী অস্থিতিশীলতার কারনে কসবা সীমান্ত হাটে আসেনি ভারতীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী অস্থিতিশীলতার কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্ত হাটের ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দোকান নিয়ে আসা স্থগিত রেখেছেন। ফলে দুদেশের এ সম্প্রীতি হাটটি ৩ সপ্তাহের পর চালু হলেও আসেনি ভারতীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা টিকেট কেটে প্রবেশ করে প্রতারিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পাট নিয়ে বসলেও ভারতীয় অংশের কোনো ব্যবসায়ীই আসেনি হাটে। না জেনে ভারতীয় কয়েকজন ক্রেতা টিকেট কেটে আসলেও ভারতীয় বিক্রেতারা দোকান নিয়ে না আসায় তারাও প্রবেশ করেনি। ক্ষমতার পালাবদলের কারনে ত্রিপুরা রাজ্যের সহিংসতার কথা ভেবে কেউই আসেনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভারতীয় পক্ষের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তের মুড়োবাড়ি এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা জাকির হোসেন জানান আগামী সপ্তাহ থেকে এ অবস্থা থাকবেনা। এখানে যারা ব্যবসা করতো তারা অধিকাংশই সিপিএম এর কর্মী সমর্থক। ক্ষমতার পালাবদলে এ হাটের ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও পরিবর্তন হবে বলে জানায়। আগামী সপ্তাহেই বিজেপি সমর্থকরা ব্যবসার পসরা সাজাবেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র নতুন রাজ্য সরকারের নিয়মেই করে দেয়া হবে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দোকান না থাকায় শত শত বাংলাদেশী নারী-পুরুষ সীমান্ত হাট থেকে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রথমত বিধান সভা নির্বাচনের জন্য দু সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছিল। এরপর তারা গত ৪ মার্চ রোববারও হাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়। কিন্তু আজ ১১ মার্চ যথারীতি হাট চালু হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয়রা আসেনি। এ ছাড়াও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানাননি। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.