বাংলাদেশ পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতির জন্য যে কঠোর সাধনা ও দুরদর্শী সুদুরপ্রসারী বিচক্ষণতা কাজ করেছে তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এগিয়ে যাওয়া এবং ঐ পথে যে কাটা ছিল এবং উদরতার ফাকে ভুলের মাশুল ছিল তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাটিয়ে ওঠে নতুন এক পরিচ্ছন্ন এবং নিখুত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া। একঝাক তরুন এবং বৃদ্ধ ও টগবগে যুবকের সমন্বয়ে সামনে এগিয়ে চলা নীতির বহি:প্রকাশ মাত্র। এখানেও সেই পুরোনো কথার যুক্তিযুক্ত প্রাসঙ্গিকতা লক্ষ করা যায় “ঠেকলে তিন মাথার কাছে যাইয়ো।” এই নিতিতে তিন মাথা থেকে শুরু করে যুবক এবং দৃঢ়চেতা তরুন মনের বিকাশ প্রতিয়মান হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ একক কোন নেতার নের্তৃত্বের ফসল নয়। সকলের গ্রহণযোগ্য মতামতের নির্যাসটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুরদর্শীতায় এবং বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথের সঙ্গে মিলিয়ে বর্তমান যুগের চাহিদাপুরণের কাজে বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র।
যে দলটি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মদিয়েছে এবং সাড়ে সাতকোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করেছে সেই দলটিই আবার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং সমতাভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে সফলতা দেখিয়েছি। একের পর এক ধারাবহিক উন্নয়ন সাধন করে ছিনিয়ে এনেছে বিশ্ব স্বীকৃতি আর জাতিকে দেখিয়েছে নতুন এক সুস্থির আশা। সেই আশায় আজ দেশের মানুষ ও দেশ একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী বাস্তব কে ছুতে। বাংলাদেশে কোন দল মত ও ভেদাভেদ ছিল না কারণ এদেশের সকল মানুষই স্বাধীনতাকামী। কিন্তু এর বিরোধী শক্তির পক্ষে যারা ছিল তারা লোভ এবং লালসার বশবর্তী হয়ে অন্যকেও লোভ লালসান জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে ফায়দা লুটে নিয়েছিল। নিজের বলতে কিছুই না কারণ এইখানে আমরা অল্পদিনের জন্য বিদেশী হিসেবে বসবাস করছি মাত্র। তবে স্বাধীনতার শত্রুরা তাদের প্রতিশোধ পরায়নতার সম্পূর্ণ ফায়দা হাসিল করেছিল এবং বাংলাদেশকে তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে পিছনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। যে অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসার সমস্ত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল এবং আরো পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু তা হয়নি কারণ সৃষ্টিকর্তা আবার বঙ্গবন্ধুর ন্যায় তাঁরই কন্যাকে বেঁছে নিয়েছেন এবং এদেরই অশুভ শক্তির চক্রান্তের মাধ্যমে সুযোগ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে হারানো পথ উদ্ধার করে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। এখানেই দুরদর্শীতা ও পরিপক্কতা একসঙ্গে কাজ করেছে। সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন ডিজিটাল সুচনায় স্বচ্ছ আয়নার ন্যায় অপশক্তির সকল নেতিবাচক পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়েছে। এই পরিকল্পনার বিষবাস্প এখন ঐসকল অন্ধকারে গজানো রাজনৈতিক দলগুলোকে চিরতরে নি:শেষ করে দিচ্ছে। বিধির বাম হলো সৃষ্টিকর্তা এখন ঐ অন্ধকারাচ্ছন্ন দলগুলোর অপকর্মগুলি বিশেষ করে বিদেশের মাটিতেই প্রকাশ করে দিচ্ছে যাতে দেশের মানুষ হুশ ও জ্ঞান ফিরে পেয়ে সত্য এবং বাস্তবতায় ফিরে আসতে পারে।
আন্দোলন, নির্বাচন এবং কৌশল ও প্রশাসন বিচার বিভাগসহ সকল ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দূরদর্শীতাই যেন আকজের স্থিতিশীল সরকার এবং এর কাঠামোকে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে। বিশ্বও এখন এই মজবুত কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগামীর ফলপ্রসু জীবন এবং স্থিতিশীলতা দেখার ও ভোগ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বোপরি বিচক্ষণতা ও কঠোর মনোভাব এবং দৃঢ় সংকল্পে এগিয়ে যাওয়ায় পাশে থেকে বড় ভাই হিসেবে ভারত সরকার সহয়োগীতা অব্যাহত রেখেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং তৎপরর্বীতে যে অবদান রেখেছে তারচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে গত ৯বছরের সাফল্যে। আগামী দিনেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে একযুগে কাজ করে যাচ্ছে।
সদ্য রংপুর সিটি নির্বাচন ছিল একটি শিক্ষা ও দিক্ষা। যা দেখে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক শিশুশুলবতা এমনকি ঘুমের ঘোরে নেশাক্রান্তের মত পথ চলায় কিছু একটা হয়েছে বলে বিশ্বাস। একটি অনুর্বর মস্তিষ্কের দ্বারা দল পরিচালিত হলে যা হয় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো আজকের ২০ দলীয় জোটের অবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যারা উর্বর ছিল তারা ঐ অনুর্বরতার স্পর্শে এখন পচা ঘাঁয়ে আক্রান্ত হয়ে শেষ সময়ের হিসেব কষছে মাত্র। কিন্তু কি কিছুই করার ছিলনা এই উর্বর মস্তিষ্কগুলোর? ছিল কিন্তু তা হারিয়ে এখন দিশেহারা মৃত্যুপথ যাত্রীর ন্যায় কোনরকম উধ্বশ্বাস নিয়ে টানাপোরনে রত রয়েছেন মাত্র। রাজনৈতিক দূরদর্শীতা এবং উদার সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা দরকার। কিন্তু ২০ দলীয় জোট সেই জায়গায় জিরো ভুমিকাও রাখতে পারেনি। পেরেছে যা, তা হলো অন্যায় এবং নীতি বিসর্জন দিয়ে মিথ্যাকে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে। সত্যোর নৌকা সাতবার ডুবে এবং সাতবারই ভেসে উঠে; কিন্তু মিথ্যার নৌকা একবার ডুবলে আর ভেসে উঠতে পারে না। এই সত্যটি এখনও ২০দলীয় জোট উপলব্দি করতে পারেনি। আর যদি পেরে থাকে কিন্তু কিছু করার সুযোগ নেই, কারণ এক অনুর্বর মস্তিষ্ক আছর করে আছে ঐ উর্বরতায়।
২০ দলীয় জোট গত ৯ বছর আচ্ছন্ন ছিল জঙ্গিপনা, দুর্নীতি এবং সন্ত্রস কে মিথ্যা কথার বুলি দিয়ে বাস্তবরূপ দিতে। আর ঐ সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে পুরোনো কৌশলে আবার নতুন জঙ্গি আক্রমন বাংলার মাটিতে শুরু করে; কিন্তু কি ফল…যে হিতে বিপরীত। তাও বুঝতে বড্ড দেরী করে ফেলেছে; যার পরিণতি হলো অপরিপক্ক রাজনীতির চর্চা। অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ দ্বারাতো আর অগ্রসরমান উন্নয়ন চর্চা সম্ভব নয়। সেই আলোকেই আজকের জেল এবং দলের দাফন। এখনও যারা ঐ দলের আশ্রয়ে এবং নতুন আশা নিয়ে এগুচ্ছেন…. তাদের জন্য দয়া হয় এইজন্য যে, জ্ঞান ও শক্তি এবং দিশা বিরাজমান থাকা অবস্থায়ও ব্যবহার ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চর্চা না করে পুরুনো সেই গুণেধরা নীতি ও বর্তমান নেতিবাচকতাকে আকঁড়ে ধরে এগুচ্ছেন। কি লাভ মৃত এবং দাফন ও কাফনে জড়ানো ঐ ২০ দলীয় জোট নিয়ে। সত্য এবং উন্নয়ন স্বচক্ষে দেখে আগামীর রুপরেখায় নিজেকে নিয়োজিত করার এটাই উত্তম সময় ও সুযোগ।
২০দলীয় জোট নেত্রী এবং জেল ও তাদের আপোষ দফারফা কি প্রমান করেনা তাদের দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুধুই ব্যক্তিস্বার্থের জন্য। জনগণ এবং রাষ্ট্রের জন্য কিছুই না বরং অপবাধ এবং পিছিয়ে পড়া বিশৃঙ্খলাই যেন ঐ দুই নেতার কুখ্যাত বা সুখ্যাত যাই বলিনা কেন, তাই তাদের অনুর্বর মস্তিষ্কের কাজ বা ফসল। আজ সকল কিছুতেই ধরাশায়ী হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েও রক্ষা পাচ্ছে না। এই করুন পরিণতি কিন্তু একদিনে হয়নি বরং দিনে দিনে সৃষ্টি করেছে আর তা এখন মাথার উপর বজ্রাঘাত হিসেবে আঘাত করে যাচ্ছে মাত্র। আজ কত কথার জন্মই না হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন কিছুই হচ্ছে না। আইন, কানুন এবং জনতার ভালবাসা সবই বিফলে যাচ্ছে ঐ কৃতকর্মের কুফলের কাছে। তাই রাজনীতির গুরু বর্তমান আওয়ামী লীগের কাছে নতজানু হয়ে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে আসুন ইতিবাচক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে। হয়তো আবার খোদা তায়ালা সেবার দায়িত্ব দিতেও পারে।
বিশ্ব এখন দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস ও নেতিবাচক রাজনীতি চায় না। বিশ্ব চায় ইতিবাচক রাজনীতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীল অবস্থা। আর এই লক্ষ্যে একশতভাগ সফলতা অর্জন করেছে বর্তমান সরকার। সেই জন্যই বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এখন এই সরকারের ক্রম ধারাবাহিকতা অব্যাহত দেখার প্রত্যাশায়। এরই নিমিত্তে সকল নেতার মনোভাব একজায়গায় স্থির; যাতে রাষ্ট ক্ষমতায় শেখ হাসিনা থেকেই নির্বাচন করে আগামী সরকার উপহার দিতে পারে। কারন এরই মধ্যে যা কিছু অর্জন তার সবটুকু ইতিবাচকভাবে আগামীর কাজে লাগানোর জন্য সকলের সামগ্রীক প্রয়াস। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি ধরে রাখা যাবে না এবং বিশ্ব বাণিজ্য যে শৃঙ্খলা এবং ইতিবাচক মনোভাব বিরাজমান তা বিনষ্ট হয়ে ধ্বংসষজ্ঞে পরিণত হওয়ার আশংকা দৃশ্যমান। তাই কেউই চাই না শেখ হাসিনা পরাজিত হউক।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন এই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য মরিয়া। মানুষ এখন আর কোন দল বোঝে না; মানুষ বোঝে শেখ হাসিনা এবং উন্নয়ন। যা ৭১ সালে দৃশ্যমান ছিল, তখন মানুষ শুধু বুঝত বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম। আজ সেই ¯্রােতে এই দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। আশার কথা হলো সততা এবং আন্তরিকতা ও দুরদর্শী জ্ঞানসম্পন্ন দেশদরদী নেতা বা নেত্রীর জন্য মানুষ জীবন বাজী রাখবে এটাই স্বাভাবিক। আজকে যা উন্নয়ন হয়েছে এবং আগামীতে তা দৃশ্যমান স্বীকৃতির পর্যায়ে; তা বিসর্জন দিতে কেউ চাইবে, তা আমারতো নয় বরং কোন পাগলেও কামনা করবে না। আজ সময় এসেছে ঐক্যের জোয়াগে গাঁ ভাসানোর। আজ সুযোগ হয়েছে দল, মত ও পথের বিবেদ বিসর্জন দিয়ে চলমান উন্নয়ন গতিতে নিজেকে জড়িয়ে গর্ববোধ করার। পাতিলে পাতিলে ও ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদের দিন শেষ। এখন উন্নয়ন এবং দেশ ও নিজেকে একসুত্রে গাঁথার এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অধিকার উন্নত ও উন্নয়নশীল মর্যাদা নিয়ে নের্তৃত্ব দেয়ার। আসুন সকলে মিলেমিশে সকল ক্ষেত্রে বিচক্ষনতা ও উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় সামিল হই। নিজেদের অধিকার নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত করি এবং সরকারকে সহযোগীতা করি যাতে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আমরা ভোগ করতে পারি আমাদের স্বীকৃত অধিকার। হয়ত এই অধিকার প্রাপ্য ছিল আরো অনেক আগেই। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস আমরা বঞ্চিত হই বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে। তোমার জন্মুদিতে আজ আমাদের অগ্রযাত্রায় তোমাকেই রাখছি শীরধার্য করে। ধন্য তোমাতে বাংলাদেশ এবং তোমার রক্তে আজ বিশ্ব।