সীমানা পেরোলে মিয়ানমারকে ধোলাই দিয়ে ইয়াবার নেশা ছাড়িয়ে দিব :: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রবিউল, কক্সবাজার প্রতিনিধি॥ মিয়ানমারকে ধোলাই শিরোনামটি এবার একটু জাতির মাথা উচু করার মত উক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারে সীমান্তে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে বিজিবি কঠোর জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। সীমান্তের নিরাপত্তায় বিজিবি সর্বদা সতর্ক অবস্থায় পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে।sorostro montri spece
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের পার্শ্ববর্তী সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বিজিবি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মিয়ানমারের তমব্রু সীমান্তের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় আজ সকালে হঠাৎ করেই অতিরিক্তি সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার। মোতায়েন করে ভারী অস্ত্র, যা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। এছাড়া তমব্রু সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় করছে।
এর পরপরই বিজিবিও সতর্ক অবস্থান নেয়। সীমান্তে বিজিবিও তাদের জনবল বৃদ্ধি করেছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপি ও পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও এখনো ওপার থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা দেশকে ভালোবাসে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্ত লঙ্ঘন করলে কিংবা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে বিজিবি কঠোর জবাব দেবে। বিজিবির সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘মিয়ানমার অহেতুক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করেছে। আপনারা দেখেছেন মিয়ানমার মুখে যা বলে তা বাস্তবায়ন করে কম। তারপরও বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।’
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন, এনডিসি, পিএসসি প্রধান অতিথির সঙ্গে অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক ও বিজিবির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বোমাং সার্কেল রাজা প্রকৌশলী উচ প্রু চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন সৈনিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত থেকে সমাপনী কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.