তাজুল ইসলাম নয়ন॥ বরাবরের মত এবারও সুপ্রিমকোটে পরাজয়। এই পরাজয় কিন্তু দলের বা আওয়ামী লীগের পরাজয় নয়। এই পরাজয় হলো দলীয় সমর্থক ও আইনজীবি নেতাদের। কারণ তারা এতো দাম্বিক ও অর্থলোভী হয়েগেছেন যে, তাদের চোখে কোন মানুষই মানুষ আর নতুন আইনজীবি দলে ভিড়ানোর কাজে কোন ইচ্ছা নেই বরং যদি কেউ দলে ভিড়তে নিজ ইচ্ছা থেকে চায় তাহলে তার জীবনের ও সময়ের বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন।
হাইকোট, সুপ্রিমকোট ও ট্যাক্সেসবার নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই এই দিকটি প্রতিয়মান হয়। কারণ এখানে ব্যবসায়ী চরিত্রের বহিপ্রকাশ ঘটে। এখানে যারা বর্তমানে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছেন তারা সরকার এবং দলের প্রয়োজন নিয়ে চিন্তা করেন না বরং চিন্তা করে নিজের প্রয়োজন ও আগামীর উচ্চাকাংখা নিয়ে, তারা চিন্তা করেন ব্যবসা নিয়ে। তারা তাদের ব্যবসায়ের মাধ্যমে কোন সুনাম নয় বরং দুনার্ম অর্জনসহ নানাবিধ অপকর্ম চালিয়ে যান। যার খেসারতও দিতে হয় আওয়ামী লীগকে। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করে বিশাল পদ নিয়ে বসে থাকেন নিজের আখের গোছানোর প্রয়োজনে। তবে আমাদের দাবি এই সকল পুরোনোদের দিয়ে আর হবে না বরং নতুন তরুন উদ্যোমি ও কর্মঠ দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণদের দিয়ে আগামীর পরিকল্পনা সাজালে দ্বিগুন ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। এখনও আওয়ামী লীগের সদস্য সংখ্যা বেশী কিন্তু কোন্দল ও নেতাদের নেতিবাচক আচরণের কারণে ঐক্যে ফাটল ধরে এই বিরুপ ফল এবং দলের কাঁধে হারের বোঝা চাপানো।
তারপরও বলব সময় থাকতে সংশোধন হয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিন এবং নেতাদের সকল ব্যবসার দিকে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে সংশোধনের প্রক্রিয়ায় এনে আগামীর বিজয় নিশ্চিত করুন। বিএনপিকে সাধুবাদ জানাই এইজন্য যে, তাদের দলের মেধ্য বিভাজন ও দুর্নিতি থাকলেও সুপ্রিম, হাইকোট ও ্েট্যাক্সবার এ কোন বিবেধ নেই। তাই তাদের দল নয় বরং আইনজীবি ঐক্যের বিজয় হয়েছে।