মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
৩০০টি আনিসুল হক খুঁজে নিন। তাহলেই আপনার নেতৃত্বে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হবে। হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাকেই বলছি! একজন মানুষ চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। এই মহাবিশ্বে যত প্রযুক্তির জিনিস, আবিষ্কার করেছেন কিন্তু একমাত্র মানুষ।
আর সেই মানুষের মাঝে যিনি নেতা, তিনি আবিস্কার করেন বুদ্ধিবৃত্তিক, বিচক্ষণ ও দক্ষ্য কর্মী। আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি- প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের মাঝে সেই গুণগুলো ছিল, যেমন আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাঝেও। আপনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার “কসবা-আখাউড়ায়” খবর নিলেই টের পাবেন।
আনিসুল হকের সৃজনশীলতায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, কাজে স্বচ্ছতা ও বাস্তব উদ্দীপনা উপলব্ধি করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজ দল তথা ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী বা রাজনীতিবিমুখদেরও নয়নের মণি আজ তাঁর কর্মগুণে।
আনিসুল হক একজন বিনয়ী ও অমায়িক ব্যবহার সম্পন্ন মানুষ হিসেবে জনগণের ভালোবাসায় প্রতিষ্ঠিত। দানশীলতা, পরোপকার আর উদারতা তাঁর চরিত্রকে করেছে মহিমান্বিত। রাজনীতি, আইন ব্যবসা ও সমাজকল্যাণমূলক কাজ এই তিনক্ষেত্রেই তিনি সফল। অমায়িক ব্যবহার, দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম আর সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে করেছে দৃঢ়। সৎ, যোগ্য, দক্ষ্য, দায়িত্বশীল নেতৃত্ব এবং আস্থা, বিশ্বাস ভালবাসায় তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সবার শ্রদ্ধার পাত্র।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে! এটা আপনার অনেক সৌভাগ্যের, অহংকার ও গৌরব করার ব্যাপার, যা আপনি জন্মগতভাবেই পেয়েছেন। পেয়েছেন আপনার বাবার মত নেতৃত্বগুণ, রয়েছে আপনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা।
সুতরাং, আপনি সহসাই আনিসুল হকের মত জনগনের নিবেদিত প্রাণদের খুঁজে বের করে দলের ও দেশের জন্য কাজে লাগিয়ে আপনার সম্মোহনী শক্তিতে উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাবেন। সবশেষে ইংরেজি একটি লাইন বলে আপনার ও আনিসুল হকের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
A leader is he, who knows the way, goes the way and shows the way.
ধন্যবাদান্তে,
তাজুল ইসলাম তাজ