বাপ্রে॥ সিআইএ‘র তালিকায় শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের পর, তৃতীয় বিপজ্জনক ব্যক্তি তারেক রহমান, শীর্ষ জঙ্গি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ‘র তালিকায় তারেক রহমানের নাম পাওয়া যায় সিআইএ‘র সাবেক কর্মকর্তা জেরি চ্যান শিং লিদর কাছ থেকে পাওয়া গোপন নথিতে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে ইউএসএ টুডে জানায়, ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অপরাধে গত ১৫ মার্চ নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে আটক করার পর জেরি চ্যান শিং লিদর কাছ থেকে জব্দ করা পাঁচ হাজার গোপন নথির মধ্যে যুক্তরাজ্য-বিষয়ক অধ্যায়ে যুক্তরাজ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে তারেক রহমানের নাম পাওয়া যায়।
এর আগে সিআইএ‘র সূত্রে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে ২০০৩ সালে শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই সম্পর্কে বাংলাদেশকে বিশেষ বার্তা দিয়েছিল এফবিআই।
সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা জেরি চ্যান শিং লি’র নথি থেকে জানা যায়, তারেক রহমান সম্পর্কে সতর্ক থাকতে ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, লন্ডনে তারেক রহমানের অনুসারী কিছু বাঙালি যারা নিয়মিত ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করছেন, তাদের সহযোগিতায় যেকোন সময় বাংলাদেশে নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের ছক অঙ্কন করছেন। যা হবে বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তারেক রহমানকে এই পরিকল্পনায় দুটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতার তথ্যও পাওয়া যায় সেই নথিতে।
কিন্তু হঠাৎ করে কেনো সিআইএ তারেক রহমানের ওপর বিশেষ নজরদারি চালায় তার কারণও ওই নথিতেই লিপিবদ্ধ করা হয়। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি করা হয়।
বাংলাদেশের তারেক রহমানের ওপরও নজর রাখা হচ্ছিলো। নানা কারণেই তার ওপর নজরদারি অব্যাহত আছে। দীর্ঘ নজরদারির পর ২০১৫ সালে সিআইএ‘র চোখে তারেক রহমান বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তদন্তে ধরা পড়ে।
এছাড়া লন্ডনে অবস্থানের আগে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তারেক রহমানের নিয়মিত যোগাযোগ ও বৈঠকের তথ্যও পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় তারেক রহমানের পরোক্ষ নির্দেশনা ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়।
আটকের পর সিআইএ‘র ওই কর্মকর্তা যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ বিষয়ে তারেক রহমান সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য প্রদান করেন যাতে বলা হয়, তারেক রহমান শুধু বাংলাদেশ সরকারের জন্যই নয় যুক্তরাজ্য সরকারের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন। কেননা তিনি বাংলাদেশে সরকার পতনের স্বার্থে একই সাথে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ২০১৮ সালের যেকোন সময় তারেক রহমান সর্বোচ্চ ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ওই নথিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।