নাজমুল হক সজল, বিশেষ প্রতিনিধি, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া॥ ৭১ রের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা স্মরণ ও দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে কসবায় সর্বত্র মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে বিনাউটি ইউ/পির সৈয়দাবাদ এ.এস. মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় সকাল ৮.০০টায় জাতীয় পদাতা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় দিবসটির কর্মসূচি। প্রধান অতিথি জনাব সৈয়দ সামসুল কাউনাইন (কুতুব) সভাপতি বিদ্যালয় পরিষদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ অতিথি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য জনাব মজিবুর রহমান মানিক। শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আলী মনছুর খাঁন (বি.এস.সি, বি.এড)। প্রধান শিক্ষক তার বক্তিতায় ছাত্র/ছাত্রীদেরকে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন মহান নেতা বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম না হলে আমরা আজ ১টি লাল সবুজের পতাকা পেতাম না। সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উদ্ভোদ্য হওয়ার আহ্বান জানায়। আলোচনা শেষে কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা হামতনাত, দেশান্তবোধক গান, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এদিকে বাদৈর সাবের সাদত উচ্চ বিদ্যালয় সকাল ৮ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় দিবসটির কর্মসূচি। শুরুতেই স্কাউট শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্কাউটদেরকে নিয়ে শুরু করেন বিশেষ কুচ-কাউয়াজ। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাভাপতি জনাব তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নুরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল খায়ের। ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এম.এ করিম। তিনি বলেন ত্রিশ লক্ষ লোকের লোকের তাজা রক্ত দিয়ে আমারা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে সঠিক মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস জানার জন্য আহ্বান জানান। দেশ আজ এগিয়ে চলেছে আমরা সবাই এই এগিয়ে যাওয়ার ধারাকে রক্ষা করতে হবে। প্রধান অতিথি জনাব তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলে স্বাধীনতা রক্ষা করা বড় কঠিন কাজ। জামাত, শিবির, বিএনপি, চায়না আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক। তাই তারা জালাও পুরাও এর রাজনীতি করে। তিনি সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস এবং বাংলার জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বেশি বেশি ইতিহাস জানার আহ্বান জানান। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। এদিকে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কর্মসূচির উদ্ভোদন করেন জনাব মুজিবুল হক। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি জনাব আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। গান, কবিতা ও বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে দিবসটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.এম বিদ্যানিকেতন মনকাশাইর সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি শুরু করেন। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জনাব মাহমুদা বেগম। ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে বক্তব্য প্রতিযোগীতা ও বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদেরকে বিশেষ পুরুষ্কারের মাধ্যমে দিবসটির সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post