সততা ও ন্যায়পরায়নতায় পূর্ণ এডভোকেট জীবন

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ নিন্দুকের দৃষ্টি সবসময় ভাল এবং সৎ ও আদর্শবান মানুষের দিকে। শয়তানের দৃষ্টি একই ভাল মানুষের দিকে। খারাপের প্রতি নিন্দুক এবং শয়তান দৃষ্টি দেয় না বরং দুজনেই খোদার ইচ্ছার jibon in honesty and love allবিরুদ্ধে কাজ করেন। ভাল মানুষকে মন্দ মানুষ বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন। একটি মানুষ কতটা ভাল হতে পারে, একটি মানুষ কতটা নম্র হতে পারে, একটি মানুষ কতটা বিনয়ি হতে পারে, একটি মানুষ কতটা পরিশ্রমী হতে পারে তা হয়তো এড.রাসেদুল কায়সার জীবন এর দিকে তাকালেই বুঝা যায়। আমি এডভোকেট জীবন সাহেব থেকে কোন সুযোগও নেয়নি এবং তার সঙ্গে কথোপকথনও হয়নি। ওনার ব্যস্তকার কারণে অনেক সময় ফোনও ধরতে পারে নি। কিন্তু এর জন্য আমি তাকে সবসময় শ্রদ্ধা করি যেন তিনি তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। আমার দরকার তাকে সহযোগীতা করা এবং প্রয়োজনে করব। নিন্দুকদের কাজ হলো স্বার্থ আদায়ের ফন্দিফিকির নিয়ে রাতদিন ব্যস্ত থাকা। যখনই কোন কাজে সামান্য স্বার্থের হানি ঘটে তখনই শুরু হয় নিন্দা, বদনাম এবং মিথ্যা কুৎসা রটানো। এই সবই সম্মান বৃদ্ধি করে বলে আমি মনে করি। সম্মান বৃদ্ধি হয় আল্লাহ তায়ালার দয়া এবং ভালবাসার বদৌলতে। নিন্দুক বা শয়তান এমনকি স্বার্থান্বেষী মানুষের ষড়যন্ত্রের দ্বারা সম্মান নষ্ট হয়নি এবং হবেও না বরং মজবুত ও বৃদ্ধিই পাবে।
সত্যি বলছি জীবন সাহেব সম্পর্কে যতটুকু জানি এবং এলাকার ৯০ভাগ মানুষের সঙ্গে কথা বলে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো তিনি কখনোই ছোটখাট কোন অন্যায়েও কাউকে প্রশ্রয় দেননি এবং দিতেও কেউ দেখেনি এমনকি শুনেওনি। সভ্যতার কোন প্রকার সংকট কখনোই জীবন সাহেবের মধ্যে দেখেনি। সব সময় প্রত্যেকটা কর্মীর খোঁজখবর রাখেন। তাই কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যূবলীগ, ছাত্রলীগ আজ বাংলাদেশের একটি অনন্য অধ্যায় রূপ লাভ করেছে। তবে আমি মনে করি ঐ খারাপ মানুষগুলো নিয়ে কিছু না লিখে কাজের মাধ্যমে জবাব দেয়ায় শ্রেয়। আরো বলি জীবন সাহেব সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবে না । কারণ তাকে আমি সেই ১৯৯৫সাল থেকেই চিনি। আরি তিনিও আমাকে চিনেন কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাদের একটু দুরত্ব রয়েছে। আর তা হলো কাজের ভিন্নতার জন্য। কিন্তু প্রয়োজনে উভয়ে উভয়ের কাছে অতি আপনজন এবং হৃদয়ের এক নিশর্ত বন্দন। তাই যখন কোন মানুষ কিছু লিখে তখনই প্রথমে আমি প্রতিবাদে সোচ্ছার হই এবং কিছু একটা লিখি। তবে জীবন সাহেবের ভাল কিছু লিখে শেষ করা যাবে না। আর প্রতিসপ্তাহেই কিছু না কিছু নতুন লিখা হয় এই জীবন সাহেবের এবং নেতা আনিছুল হক সাহেবের কর্মকান্ড নিয়ে।
শুধু এই টুকুই বলছি – যারা নুরুন্নবী আজমলের ছবির সাথে জনাব রাসেদুল কায়সার জীবন সাহেবকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই মিথ্যাচার করে বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন এবং কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এমনকি সাধারণ মানুষ সময়মতো এই মিথ্যাচারের সমুচিত জবাব অতিতে দিয়েছে এবং আগামীতে দিবে।
একটি কথা আছে এবং প্রচলিতভাবে ব্যবহার হয়; এই কথাটি মাঝে মাধ্যে আমার নেতা আনিছুল হক সাহেবও ব্যবহার করেন যা আজ আমিও লিখে ব্যবহার করলাম – কুকুরের লেজে ঘি লেপন করিয়া কয়েক হাজার বছর গবেষণা চালাইয়াছে – একদল গবেষক। তারপর গবষণার ফল যা আসিল – কুকুরের লেজ বাঁকা হইয়া থাকিবে। ইহা সোজা হইবার নয়! সুতরাং ইহা কর্তন করিয়া দিতে হইবে। সময় মতো তাহাই করা হইবে।
কুকুরের কাজ কুকুরে করিয়াছে তাই বলিয়া কুকুরকে শান্তি না দিয়ে ছাড়িয়া দিয়া আরো সর্বনাশের হাত থেকে কসবা আখাউড়াবাসীকে রক্ষা করাই এখন আমাদের সকলের ঈমানী দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.