এশাকে বলির পাঠা হিসেবে দেখতে চাইনা… স্বসম্মানে তাকে প্রতিষ্ঠীত করা হউক

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ এশা নামের অর্থ রাত। আর এই অর্থই এখন তাকে অন্ধকারে ডুবিয়েছে। তবে রাতের এবাদত, সকালের এবাদত, দুপুরের এবাদত এবং বিকেল ও সন্ধার এবাদতের বিধান কিন্তু এশাতে (রাতে) গিয়ে শেষ হয়। তাই এবাদতকারীরা যেমন মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রকে মেনে নিতে পারে না তেমনি সকল সচেতন মানুষ এশার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং তার বহিস্কার ও তার উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন সহ্য ও মেনে নিতে পারেনি। তাই চতুর্দিকে আওয়াজ উঠেছে এশার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে এবং একটি আদর্শ সংগঠনের ভাবমুর্তির পক্ষে। easha
এখানে প্রশ্ন এশা কি কোটা বিরোধী আন্দোলনের বলি হবে! না হতে দেব না…. স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া এত সহজ নয়। অবিলম্বে এশার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ যারা এশাকে অপমান করেছে এবং এশার নামে বানোয়াট তথ্য ছড়িয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এখানে উল্লেখ্য যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে দেখানো হয়েছে মিথ্যার গুজামিল কাহিনী। কিন্তু ঐ কাহিনীতে বা দৃশ্যায়নে কোন প্রমান হয়নি যে ঐশা ঐ কান্ডটি ঘটিয়েছে। বরং প্রমান হয়েছে ঐ ভিডিওটি মিথ্যা। যে কথা বলা হয়েছে, এশা রগ কেটেছে… তা সম্পূর্ণই মিথ্যা। কারণ ভিডিওতে কোন আলামত বা প্রমান পাওয়া যায়নি। প্রমান বিহীন কথা বলা আইনত অপরাধ আর এশার রক্তে রগ কাটার কোন আলামত নেই। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এশা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী এশা। এই দুইটির কোনটিতেই রগ কাটার ইতিহাস নেই। তবে আমার মনে হয় ঐ নের্তৃস্থানীয়রা জীবনে কচু বা মাছ কাটতে পারে কিনা তাও সন্দেহ আছে। যাদের সঙ্গে রগ কাটার ইতিহাস জড়িত সেই জঘন্য কোন দল বা পরিবারের সদস্যও এশা নয়। তাই এই নির্মম মিথ্যার বিচার হওয়া উচিত।
এশা যদি অপরাধী হয় তাহলে তার বিচার হতে কোন বাধা নেই। দেশে আইন ও আদালত রয়েছে। কিন্তু নিজ হাতে আইন তুলে নেয়ার কোন সুযোগ আমাদেরকে সংবিধান দেয় নাই। অপরাধিকে আইনের হাতে সোপর্দ করাই আইনের আদেশ। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে যে আইন ভঙ্গ হয়েছে তারও কঠোর বিচার হওয়া দরকার। জুতার মালা দেয়া, টেনে হিচরে কাপড় ছেড়া, নির্যাতন করা করা একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। এই অফেন্সের বিরুদ্ধে দাড়ানো মানবাধিকার কর্মীদের সহ আমাদের সকলের উচিত। যাদের নারীবাদের সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করাই মুল লক্ষ্য। যেহেতু নারী নির্যাতনের স্বীকার এশা সেহেতু আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এবং বিচার বিভাগের দায়িত্ব এখন এশাকে রক্ষা করা এবং তার সম্মান বৃদ্ধির দায়িত্ব নেয়া।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ যাবতীয় সহযোগী সংগঠনের সকলের দায়িত্ব এখন এশাকে রক্ষা করা এবং তার হারানো মান সম্মান ইজ্ঝত এবং পড়া লেখার অধিকারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা। পাশাপাশি ঐ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে আগামীর দৃষ্টান্ত হিসেবে জনমনে বিরাজমান করে রাখা। এশার মত আর কেউ যেন এইরকম পরিস্থিতির স্বীকার না হয় সেইদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে আগামীর জন্য কিছু একটা করাই হবে সরকার তথা বিবেকবান মানুষের নৈতিক ও ইমানী দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.