এই লিখাটি লিখতে মনে সায় দেয়নি কিন্তু তারপরও লিখলাম। কোটা একটি সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া। আর মেধা হলো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি দান। এই দান হলো সার্বজনীন মঙ্গলের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার লক্ষ্যে। মেধাবি, মেধা এবং এর বিকাশ কিন্তু কারো অর্জন বা গুণ এমনকি মালিকানাও নিজের নয়। সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার প্রতিফলন। সেই জ্ঞান বা যাকে আমরা মেধা বা মেধাবি বলে পৃথিবীতে ব্যবহার করি সেই দানসকল কেবল মাত্র সৃষ্টির কল্যাণের তরে ব্যবহৃতই হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু বর্তমানে তার বেশীরভাগই ব্যবহৃত হয় ব্যক্তি এবং স্বজনপ্রীতির প্রয়োজনে। সার্বজনীনতার স্বকীয়তা হারিয়ে শুণ্যের কোটায় চলে আসার দ্বারপ্রান্তে এই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত গুণ বা দানটি। যদি কেউ লিখাটা পড়ে আঘাত পান তাহলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি মেধাবী, জ্ঞানী এর কোনটিই নয়। আমি সাধারণ এবং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি একজন অতি সাধারণ মানুষ (আশরাফুল মাকলুকাত)। আমার উপলব্দিতে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় বোঝার জ্ঞান এবং গুণ মাঝে মাঝে পরিলক্ষিত হয় বিধায় কাজ, কথা, সৃজনশীলতায় বাহ্যিক দৃষ্টিলোকের অবতারণা করে যেতে চাই।
মেধাবি সমাজ দেখেছি, মেধার বিকাশ দেখেছি, মেধার ¯্রােত বা জোয়ার দেখেছি কিন্তু ভাটা দেখেনি। তবে এইবার ভাটার নমুনা দেখতে পেয়েছি। যা আমাকে মর্মাহতই করেনি বরং আতংকিতও করেছে বটে। আমি আমার ৪৬ বছরের অতীত এবং বর্তমানে মেধার আগ্নেয়গীরি দেখিনী। ভাবতে পারিনি মেধাবীরা রাজপথে জালাও পোড়াও কাজে লিপ্ত হবে। হ্যা জন্মের পুর্বেও অনেক মেধাবীর জীবন প্রদিপ নিভে যেতে শুনেছি, যে কাহীনি আজও আমাদেরকে উদ্বেলিত এবং উৎসাহিত করে তা হলো ভাষা এবং স্বাধীকার আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা নামক শব্দটি ছিনিয়ে এনেছিল; আমরা এখন সেই স্বাধীনতার অপব্যবহারেই লিপ্ত। মেধাবি দেখেছি এবং বিখ্যাতদের কাছে গিয়ে গল্প ও আলাপ চারিতায় শুনেছি তাদের জীবন অধ্যায় বা কাহিনী। কোথাও এমন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের স্বাক্ষর বা ছাপ খুজে পাইনি। পেয়েছি, ন¤্রতা, ভদ্রতা, অমায়িকতা এবং বিসর্জনের সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানিক আকারের অজ¯্র দৃষ্টান্ত। মেধাবিদের মেধার ঘর্ষণও দেখেছি; যা থেকে বের হয়েছিল আজকের বাংলাদেশ, সাম্য, ন্যায্যতা এবং মানব বা সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত সেবার মানুসিকতার বাস্তব দৃষ্টান্ত। দেখেছি সচিব, দেখেছি পুলিশ কর্মকর্তা, দেখেছি আর্মি, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবী এবং সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী; পাশাপাশি দেখেছি মানুষ গড়ার সেই শ্রদ্ধাভাজন কারিগরদেরকে। কোথাও দেখিনি আজকের রূড় বাস্তবতার রূপ।
মেধাবি সমাজের বিস্ফোরন হলো বরফ গলানো সেই শীতলতার আবহে নতুন কিছু সৃষ্টি, উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূর্ত প্রতিক। কিন্তু দেখেছি মেধাবী আগ্নেয়গীরির অগ্নুৎপাত। তবে এও দেখিনি মেধাবিরা বিশৃঙ্খলতায় লিপ্ত এবং অধিকার আদায় সংগ্রামে জাগ্রত। মেধাবিদের দেখেছি বই, টেবিল, স্কুল, কলেজ এবং খাওয়া দাওয়ার সংঙ্গে নিমজ্জিত থাকতে। তবে কখনো কখনো খাওয়া দাওয়াতে উদাসীন ভাব প্রমানীত। মেধাবিদের দেখিনি বেকার জীবনে ধাবমান থাকতে। দেখেছি পড়ালেখা ও কর্মজীবনে নিমজ্জ্বিত হয়ে আগামীর দ্বার উন্মোচনে ব্যস্ত থাকতে। এখনো দেখি ছোট ভাইদের মেধার শিখরণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এর সেই শিশুসুলভতা এবং শিক্ষার সঙ্গে বসবাস। ডা: ছোটভাইকেও দেখেছি মেধার বিকাশের তাড়নায় রাতজেগে পড়া এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। ছাত্রজীবন, এবং কর্মজীবনে দেখিনাই অধিকার এবং সংগ্রামমুখি চিন্তা চেতনায় নিমজ্জি¦ত হতে। যত মেধাবিদের সঙ্গেই আলাপ, পরিচয়, সম্পর্ক এবং সামাজিক ও অফিসিয়াল কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগ হয়েছে দেখিনি তাদের অতীত ও বর্তমানে আজকের এই মেধার বিস্ফোরণ। তাই মেধাবি প্রমানের বাইরে এসে যে রূপ লাবণ্য দেখিয়েছেন আমাদের তরুন স্বঘোষিত মেধাবি প্রজন্ম তা আগামীর জন্য একটি নেতিবাচক দৃষ্টান্তই বহন করবে বলে বিশ্বাস করি।
আমি কোটা প্রথার পক্ষে এবং বিপক্ষে কোনটিতেই অবস্থান করি না। তবে সংবিধান এর আলোকে এবং সরকারের ইতিবাচক সাম্য বজার রাখার লক্ষে যে আইন বা সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছিল তার পক্ষ্যে। তবে যখনই সরকার এই সুযোগ বিলুপ্তি ঘোষণা করবে তখনই সাধুবাধ জানানোর জন্য কলম চলবে। তবে একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বর্তমানে যত নিয়োগ হচ্ছে বা হবে সেই নিয়োগ এর ক্ষেত্রে কোটা প্রথা কোন প্রভাব ফেলেনি। কারণ বর্তমানে কোটা অধিকারী লোক খুজে পাওয়া যায়নি। আর যারাই কোটা প্রথায় সুযোগ পায় তারা কিন্তু সংবিধানকে মজবুত বা বাস্তবে রূপদান করারই নিমিত্তে ব্যবহৃত হয় এবং লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই কর্মক্ষেত্রে যোগদান করে। কোন কোন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৭২% মেধা তালিকার ভিত্তিতে সংকারী নিয়োগ হয়েছে। আবার মেধার ভিত্তিতে ৩৬তম বিসিএস এ ৭০.৩৮ভাগ নিয়োগ হয়েছে। তাহলে কেন এই ষড়যন্ত্র বা আন্দোল ও ভাংচুর। এর পিছনে কি কোন অশুভ চক্রের হাত রয়েছে? চিলে কান নিয়েছে শুনে কানে হাত না দিয়ে আমরা কেন চিলের পিছনে দৌঁড়াচ্ছি? সারা দেশে আজকে যারা রাস্তায় তারা কি সবাই মেধাবী? তারা কি সবাই ছাত্র/ছাত্রী? যদি সবাই মেধাবি হয় তাহলে অতি মঙ্গলের আলিঙ্গন এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার এক ঐশ্বরিক হাতিয়ারও বটে। তবে প্রশ্ন থাকে যে, সংবিধান যে সুযোগটুকু তৈরী করে দিয়েছিল বৈষম্য দুরীকরণের লক্ষ্যে তা বিলুপ্তি ঘটিয়ে সাম্যের বিপরীতে নেতিবাচক প্রতিফলনই দৃশ্যমান হওয়াটা কি আইনের বিপরিতার্থক এবং অন্যায় দৃষ্টিভঙ্গির স্বাক্ষর বহন করে না? আরেকটি বিষয় স্পষ্ট যে, সম্মান এবং সুযোগ ও প্রাপ্য অধিকার দেয়ার লক্ষ্যে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের জন্য তা যথার্থই যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তবিক।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে কোন কিছু পাওয়ার জন্যে নয়; ভুলে গেলে চলবে না সবাই সেদিন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েনি; পড়েছিল এই মুক্তিযোদ্ধারাই এবং জীবনও দিয়েছিল তারা। শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা বর্তমানে জীবিত ও যারা পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন (তাদের পরিবারের সদস্যরা) কেউ দাবি করেনি কোটা বা ভাতা অথবা রাষ্ট্রীয় কোন সম্মান। কিন্তু রাষ্ট্র তাদের অবদানের জন্য যা ব্যবস্থা করেছিল তা ছিল ঐতিহাসিক এক স্বীকৃতি ও দৃষ্টান্ত। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ গঠনে নিয়োজিত হয়, কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সময়ে ঐ মুক্তিযোদ্ধাদের সেই স্পিরিট এর বাহ্যিক মৃত্যু ঘটিয়ে বিরোধীতাকারীরা ফায়দা হাসিল করে আসছিল। ফলশ্রুতিতে মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষা, জমিতে কাজ এবং রিক্সা চালিয়ে এমনকি দারোয়ানের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছিল। তাদের কোন আকাঙ্খা বা ইচ্ছা ছিলনা এমনকি উচ্ছভিলাসী অভীপ্রায়ও ছিল না। তাহলে কেন তারা নিস্পেষিত এবং বঞ্চিত হয়েছিল? কি অপরাধ ছিল তাদের?
যাই হোক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন এবং প্রাপ্যটুকু দিয়েছেন। কিন্তু কি দেশবিরোধী চক্র তা মেনে নিয়েছিল? না তারা মেনে নিতে পারেনি এমনকি যোগ্য ও প্রাপ্ত সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য মরিয়া ছিল। কারণ এই যোদ্ধাদের কারণেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে এসেছিল এই দেশে এমনকি দায়িত্বও নিয়েছিল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রর্ত্যয়ে। হয়তো তিনি করে যেতে পারেননি কিন্তু পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন। যা আজ তাঁর কন্যা বাস্তবায়ীত করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক চমক। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও এর পরিবারবর্গ কোন কিছুই আশা বা দাবি করেননি সেখানে কেন ঐ নোংরামিপনার মাধ্যমে বিশেষ সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হলো? সারা দেশে খোজ নিয়ে জানা যায় যে, কোটা অধিকারী চাকুরী জীবির সংখ্যা খুবই নগন্য। কিন্ত এর নেতিবাচক প্রচারণা ছিল বেশী। আর এই প্রচারণার পিছনে ছিল মেধাহীন সম্পদশালী ষড়যন্ত্রকারী দেশবিরোধী মানুষগুলো। প্রকৃতপক্ষে মেধাবী বা ছাত্র-ছাত্রীরা ছিল কলুর বলদের মত খেটে যাওয়া পরিস্থিতির স্বিকার বা ছাগলের তিন বাচ্চার দুধ না খেয়ে লাফানোটির মতো। তবে ছাত্র/ ছাত্র ভাই বোনেরা মনে কষ্ট না নিয়ে একটু ভেবে দেখো কি করেছো? আমি বলি না তোমরা খারাপ তবে বলতে চাই কোন কিছু করার আগে ভেবে চিন্তে এগুনো ভালো। কারণ আগামী দিনের নের্তৃত্ব তোমাদের হাতে। তাই তোমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে, সম্মান করতে হবে এবং রক্ষাও করতে হবে। হ্যা তোমরা যাই করোনা কেন তা যেন হয় মানবের কল্যানের তরে।
প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন তা কিন্তু বিরল একটি জীবন্ত দৃষ্টান্ত। অতীতে কোন সরকারই করার সাহস পায়নি এবং করেনি কিন্তু শেখ হাসিনা নিজে করেছেন; তিনি আবার ৩০ পার্সেন কোটাও রেখেছিলেন, যদিও বাস্তবে ঐ কোটায় কোন প্রতিযোগী খুজে পাওয়া দুস্কর ছিল। তারপরও ঐ ৩০ভাগ কোটা নিয়ে অন্তজ্বালার কমতি ছিলো না বরং আন্দোলনের শ্ক্ষিাস্ফুলিঙ্গ বের হয়ে কোটা প্রথা জ্বলে পুড়ে আজ ছারখার। তবে এইখানেই শেখ হাসিনা অনন্য। তিনি সমস্ত কোটা প্রথাই বাদ দিলেন এবং সুন্দর এক দৃষ্টান্তমূলক ভাষন দিয়ে ঠান্ডা করলেন পরিবেশ এবং অন্তজ্বালা প্রশমিত করলেন ঐসকল নিন্দুকদের। যারা পরিশ্রীকাতরতায় অতি পারদর্শী। শেখ হাসিনার জয় হউক; এগিয়ে যাক ওনার দৃষ্টান্তমূলক জনকল্যাকর মঙ্গলময় চিন্তা এবং কার্য্যরে সমন্বয়।
কোটার একটি ছক উল্লেখ করতে চাই, যাতে করে বুঝতে পারি কোথায় আমাদের অন্তজ্বালা ছিল: মোট কোটা ১০০ভাগ; মেধাভিত্তিক নিয়োগ ৪৪ভাগ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ভাগ; প্রতিবন্ধী ১ভাগ; জেলা ১০ভাগ; নারী ১০ভাগ; মুক্তিযোদ্ধা ৩০ভাগ। এই হলো আমাদের কোটার বন্টন। কিন্তু কিসের উস্ফালনে আমরা রাজপথে। কিসের সংস্কার আমাদেরকে মল্লযুদ্ধে নামিয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ এবং বাস্তবতায় নিরিখে বের করে কাজে নেমে পড়ুন আগামীর প্রয়োজনে। সংসদে স্পিকার যেমন বারবার বলেন হ্যা জয়যুক্ত হয়েছে…………… ঠিক তেমনি আজ বলতে পারি শেখ হাসিনা জয়যুক্ত হয়েছে …….. কোটাবিরোধীরা পরাজিত হয়েছে….. । যাই হোক তিনি মানবতার মা, তিনি রাতজেগে হলের মেয়েদের চিন্তা করেছেন ….. কিন্তু প্রকৃত পিতা মাতারা কি করেছেন; নিজের ঔরসজাত সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ বা আদর্শীক শিক্ষা ও দিক্ষা না দিয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এখন কি নিজেরা দেখতে পেয়েছেন এবং লজ্জ্বা শরম ঢাকার নিমিত্তে কাপড়ে নাক আবৃত্ত করেছেন। সবই আমার এই বাস্তবিক দৃশ্যের আবর্ত্তে লিখা নিয়ে কষ্ট না পেয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এগুলে খুশী হব। কারণ আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। একজনের কষ্টে আমরা আরেকজন কষ্ট অনুভব করি এবং পাশে থেকে সেই কষ্ট লাগবে চেষ্টাও করি।
বর্তমানে এই কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যারা অর্থ এবং উস্কানী এমনকি পরামর্শ ও ইন্দন যুগিয়েছেন তারা এখন চিহ্নিত। কিন্তু যারা তাদের সরলতার জন্য জ্ঞান ব্যবহার না করার জন্য ঐ চক্রান্তের ফাদে পা দিয়েছেন তারা এখন কি করবেন? আমার বিশ্বাস আত্মার অনুশোচনা বলে একটি কথা রয়েছে এবং সেই অনুশোচনায় অনুতপ্ত হয়ে পরিবর্তন নিয়ে আগামীর কল্যাণকর পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চিহ্নিত ঐ কুচক্রিমহলের নুতন কোন ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে সচেতন হয়ে অগ্রসর হউন। শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং প্রতিনিয়ন নিজের ব্যক্তিজীবনে শিক্ষার প্রয়োগ এবং চর্চার মাধ্যমে ব্যবহার করুন। ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষা নিবে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সামনে আর কোন ভুলে পা না দিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জ্ঞানী এবং সচেতন সৃষ্টির সেরা জীবের কাজ হবে। আসুন আমরা শেখ হাসিনার সমুজ্জ্বল এবং সুদুর প্রসারী পরিকল্পনায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করি এবং গর্বের সঙ্গে ইতিহাসের স্বাক্ষী হই।