তাজুল ইসলাম নয়ন॥ তারেক রহমান রাজনীতি এবং দেশের জন্য শুধু যে ভয়ঙ্করই নয় তার প্রমান অজ¯্র। বিশেষ করে বিদেশী মিডিয়ার মাধ্যমে এমনকি বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে তার অনেক বিশেষনের সঙ্গেই জাতি আজ পরিচিত। সকল পরিচিত উপাধির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো কোটা সংস্কারে অনুঘটন তারেক রহমান। তিনি পিছন থেকে ইন্দন যুগিয়ে দেশের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি শ্রেণী এমনকি ভাল ও মন্দ মিশানো নেতাদের ব্যবহার করে আগুনে পানি এবং ঘী একসঙ্গে মিশিয়ে ডেলেছেন। যার স্ফুলিঙ্গ দেশবাসী দেখেছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই মানুষ টের পেয়েছে কে খলনায়ক। কিভাবে তিনি এই ঘৃণ্য কাজটুকু করিয়েছেন। ফোনালাপ প্রকাশ পেয়েছে এমনকি অর্থনৈতিক খরচের ফর্দও জনসম্মুর্খ্যে এসেছে। সবই এখন দৃশ্যমান।
তবে মেধাবী এবং মেধাহীন ছাত্র/ছাত্রী সমাজ কি পেয়েছে তা ভাবার বিষয়। একজন মেধাহীন নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন সন্ত্রাসী, অর্থ পাচারকারী, ফেরারী আসামী এবং পলাতক দোষী ব্যক্তির কাছ থেকে এরচেয়ে ভালো আর কি জাতি আশা করতে পারে। হ্যা পারে আরেকটি কাজ যা হলো গাছে উঠিয়ে মই নিয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং জঙ্গলের জংলী বাশ দিয়ে প্রখর রোদ পুতে রেখে জীবন নাশ করা। একটি ভিডিও এখন সোস্যাল মিডিয়াই ভাইরাল। তা হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে চাঙ্গা করে ক্ষমতা যাওয়ার ফয়দা লোটার হাতিয়ারে পরিণত করতে যাওয়া পরিকল্পনা অংশ: — ঢাবির সাদা প্যানেলের শিক্ষক মানুনের সঙ্গে তারেক রহমানের ফোনালাপ শুনুন… তারপর বিচার বিশ্লেষণ ও গভেশানায় এই জাতির সামনে তুলে ধরুন। https://www.facebook.com/manusman6654/videos/720254041697764/
মামুন সাহেব শিক্ষিত এবং জাতির বিবেক তৈরীতে পরিক্ষীত সৈনিক; তিনি কিনা মি: পার্সেন্টিজ এর সঙ্গে আলাপচারিতায় এত ভীত এবং কাজুভাব ও বণিতার আশ্রয় নিয়েছেন যা জাতির জন্য লজ্জ্বার। তিনি কিভাবে এখন একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন তাই ভেবে দেখার বিষয়। এই বিষয়ে একটি গভেষনা চালিয়ে ঐ নতজানু কাপুরষদের এতবড় দায়িত্বের রাখার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই। একজন অশিক্ষিত ও কুখ্যাত মানুষকে কেন এত ভয় ও কিসের জন্য এত হতভম্বতা। কিভাবে ঐ মানুষটি একটি জাতির বিবেকের গাড়ে খড়গ চাপান তা আমার বোধগম্য নয়। ক্ষমতা এবং পদের লোভ মানুষকে কত নীচে নামাতে পারে তা ঐ মামুন রুপী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আচরণে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। আমাদের রাজনীতি এবং শিক্ষানীতি এখন কোথায় আছে; আর পুর্বের সরকারগুলো কোথায় নিয়ো গিয়েছিলো। এই যদি হয় তাহলে মানুষ গড়ার কারিঘর হিসেবে যারা আজা স্বপ্নদ্রষ্টা তারাতো অতীতের সমুজ্জ্বল পদে আর নেই। তাই নুতন করে চিন্তা ও ভাবনায় প্রয়োজন নতুনত্ব আনয়ন করা।
আমাদের গর্বের ধন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোথায় ছিলো? কোটা প্রথার গনজোয়ার বা আনাগোনায় যে ষড়যন্ত্র প্রবাহমান ছিল সেখানে কেন আগাম পুর্বাভাস পাওয়া গেলো না। গঠনা গঠার পর ষড়যন্ত্রের প্রকাশ কিন্তু যথেষ্ট নয়। আমরা অতীতে হারিয়েছে জাতীর পিতাকে এবং বর্তমানে আর সেই পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই বার বার সজাগ করার পরও কেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘৃণ্য কাজের আগাম সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে নাই। এই দায়ভার এখন কার উপর বর্তাবে তা জাতির বিবেকই বলে দিবে। তবে দোষারোপ নয় বরং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং এর ব্যপ্তি বৃদ্ধি করে কোন কিছুকে ছোট না ভেবে বা গুরুত্ব না দিয়ে চোখ কান খোলা রাখুন এবং জাতিকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে দিন। যার যার দায়িত্ব পালন করুন এবং আগামী নিশ্চয়তা বিধানে ভুমিকা রাখুন।
কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি- জামাত শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বর্তমান দেশপ্রেমিক সরকারকে উৎখাতের চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারনে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত মাঠে মারা গেল। কিন্তু এই চক্রান্তের পুনরাবৃত্তি আর জাতি দেখতে চায় না। এমন সুযোগ আর জাতি কারো হাতে তুলে দিতে চায় না। বরং সময় থাকতে সবকিছুই মোকাবেলা করে শত্রুর নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান রাখতে চায়।