টিআইএন॥ আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জানা অজানা অনেক গল্প বা তথ্যই প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমগুলো। তবে কিছু সাজানো ছক বা খেলাও সংবাদ মাধ্যমে জনগণের সামনে আসে। এরকমই একটি হলো এই নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যটি। আসলে পরিস্থিতি এবং সময়ই বলে দিবে কি করতে হবে বা হবে না। অথবা সময় এবং পরিস্থিতির বিবেচনায়ই গতিশীল সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। তবে বক্তব্য বা মিডিয়ার খবর নিয়ে আগামী নির্বাচনের ছককষা একেবারেই অথর্ব কাজ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে নিজের অবস্থান জানালেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার পুরো নির্বাচন কমিশনের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা।
গত (৮ তারিখ) রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত। বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতোয়েন করা হয়েছিল।
“আমি ব্যক্তিগতভাবে একবারও বলিনি যে সেনা মোতায়েন হবে না। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। ইসির আরো পাঁচজন সদস্য আছেন, তারা মিলেই এটা সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সিইসি বলেন, তিনি জাতীয় নির্বাচনে সেনা চাইলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে নন। “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে আমি একদম মনে করি না।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সিইসি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে কথা কবে।