শাহ-আলম মুশফিক গংদের উত্তরা প্রাসাদ ষড়যন্ত্র

টিআইএন॥ এককালে কসবা আখাউড়ার উন্নয়ন কান্ডারী বা নয়নের মনি বলে সাধারণ মানুষ মনে করত যাদের তারাই এখন উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনাব মুশফিকুর রহমান সচিব থাকা কালীন সময়ে এলাকার জন্য চেষ্টা করেছেন এমনকি কিছু উন্নয়ন ছাপও দৃশ্যমান রেখেছেন। পরবর্তীতে বিএনপির টিকেটে এমপিও হয়েছেন। কিন্তু এমপি হওয়ার পর আর ভাল কাজ উপহার দিতে পারেন নি। কি করেছেন তিনি, মদ ও SAHALOM MUSFIQগাজা এবং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিয়ে মন্দ কাজের পসরা সাজিয়েছেন। এলাকাকে করেছেন কলঙ্কিত আর নিজে একজন স্যার হিসেবে উপাধি পেয়েছেন ও নিয়েছেন। ব্যক্তি মুশফিক একজন নারী লোভী যা ইসলামী দৃষ্টিতে নাজায়েজ। সেই নাজায়েজ কাজটুকু তিনি কবরে এক পা দেয়া অবস্থায়ও চালিয়ে যাচ্ছেন। যা খোদার কালাম এবং রাসুলের হাদিছ বিরোধী। যার অজ¯্র প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। জনাব মুশফিকুর রহমান আরেকটি কাজ করেছেন যা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন। জ্ঞান, এবং অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও ইন্সষ্টাকটর নিয়োগ দিয়েছেন। নকলের মাধ্যমে অর্জিত সার্টিফিকেটধারী এবং টাকা দিয়ে ক্রয় করা ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট নামধারিরাই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আসন গেড়েছে। দিনের একাংশ এবং রাতের পুরোটা জুড়ে মদ, গাজা ও জোয়ার আসরে লিপ্ত আর কিছুটা সময় মাত্র স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় হাজিরা দিতে যাওয়া ঐ মুশফিকুর রহমান দ্বারা চাকুরী পাওয়া লোকদের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। এই সকল অযোগ্য অদক্ষদের দিয়ে চালাতেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই থেকে অধপতনের শুরু এবং যবনীকাপাত টানার অপেক্ষায় ছিল মাত্র। আজও সেই তারা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষা কার্যক্রম। কি পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা? তারাতো মামলায় জর্জরিত, কেউ বা আবার ঐ বিষয়ের প্রতি কোন জ্ঞান না থাকায় ঠুটু জগন্নাথ সেজে বসে আছেন। সরকারী আমলা হিসেবে সফল হলেও রাজনীতিতে সফলতা দেখাতে পারেননি বরং কলুষিত করেছেন রাজনীতি ও ক্ষমতার এই দুই কে-ই।
অপরদিকে দুইবারের এমপি শাহ আলম; যিনি কিনা আওয়ামী লীগের টিকেটে জয়যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি পুর্বে আওয়ামী লীগকে সমুলে বিনাশ করে দিয়েছেন। গুটিকতেক প্রীয় ভাজন এমনকি অর্থ উপার্জনকারী (কামায়ের পুত) নিজ প্রয়োজনে হাতের মুঠোর রাখতেন আর চিপে মধু বের করে খেতেন। কিন্তু প্রকৃত আওয়ামী লীগকে জন্মেরমত মুছে দিতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। কিন্তু সেইখানেই ঘটল বিপত্তি আর জন অসন্তোষের স্বীকার হয়ে আজ তিনি এলাকা ছাড়া। জনাব শাহ আলম আরো কি করেছেন জানেন, তিনি সরকারী জায়গা নিজের নামে লিখে নিয়ে (নিজ আত্মীয়-স্বজন + হাতের মুঠোর কয়েকজন) বিশাল অট্টালিকা তৈরী করেছেন এমনকি সেই অট্টালিকার পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ীত হয় নাই। সেই শাহ-আলম সেই অবৈধ কাজের অস্তীত্ব এবং ধারাবাহিকতা রক্ষায় এখন মরীয়া। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ এমনকি সাধারণ জনগণের কাছে থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর আর এলাকায় যাওয়ার কোন সুযোগ না পেয়ে ফেসবকু ও গোপন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি তার ইচ্ছামতো সকল কাজ করেছেন…. যা এলাকায় মানুষ ভালভাবে গ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নের্তৃবৃদ্ধ এবং যারা কান্ডারী হিসেবে স্বীকৃত ছিল; দুর্দীনে আওয়ামী লীগকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন সেই সম্মানীত ব্যক্তিদেরকে অপমান অপদস্ত করে মাটি চাপা দিয়েছেন। সেই শাস্তিও তিনি পেয়েছেন। যার জন্য আজ জনবিচ্ছিন্ন এবং ঘরের শত্রু বিভিষণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে জনতার হাতে ধৃত সকল প্রমানসহ তিনি একজন মীরজাফর উপাধি পেয়েছেন।
এই দুজনই একই কুকর্ম করে যাচ্ছেন। কসবা-আখাউড়ার জনগণের ভাগ্য নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলেছেন। তারা এই এলাকার মাটিকে কুলষিত করে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন। তারা উভয়েই মাদক ব্যবসা করে এবং কমিশন বাণিজ্য করে কসবা-আখাউড়ায় কলঙ্কজনক এক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলেন। শাহ আলম সাহেব আগে স্বর্ণের ব্যবসা করতেন (কেউ কেউ বলে স্বর্ণ চোরাকারবারী)। সেই সাবেক দুই সংসদ সদস্য মশফিকুর রহমান এবং এ্যাড.শাহ আলম তারা গত ৮এপ্রিল উত্তরায় শাহ আলমের নিজ ভবনে মধুর মিলন করেন! তারা গোপন ষড়যন্ত্রের জন্য ঐক্য এবং সন্ধি স্থাপন করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ঘন্টা এই মিলনমেলা চলে যা নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ এবং আগামী দিনের জন্য ভয়ঙ্করও বটে। তাদের এই মিলনমেলায় পূর্বাঞ্চলের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং পশ্চিমাঞ্চলের আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তারা দুজনে মিলে আগামী দিনে আওয়ামী লীগের সকল উন্নয়ন কাজকে বাধাগ্রস্থ করা এমনকি আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে এক হয়েছেন। ঘরের শত্রু ভিবিষন হিসেবে নতুন করে আর্ভিবূত হয়েছেন মীর জাফর এর ভুমিকায় জনাব শাহ- আলম। কিন্তু বিএনপির প্রার্থী জনাব মুশফীক সাহেব এই মীরফাজরী কার্যক্রমকে হাতে নিয়েছেন যাতে তার বিজয় সুনিশ্চিত হয়।
দূর্নীতিবাজদের মধুর এই মিলনে এক মহা ষড়যন্ত্রের ইংগিত বহন করে। যেমনে করে শাহ আলম এমপি থাকাবস্থায় জনাব এ বি ছিদ্দিক সাহেবকে পরাজিত করে নিজের পছন্দের মানুষটি জাতীয় পার্টির হওয়া সত্তেও আওয়ামী মনোনয়ন পাইয়ে দেয়। শুধু তাই নয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যম তাকে পরাজিত করে । স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করা দুর্দীনে কসবা আখাউড়ার আওয়ামী লীগের কান্ডারী এবি সিদ্দিক সাহেব জনতার ভোটে জয়ী হয় এবং জনাব শাহ আলম এম পি ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোট গায়েব করে এমনকি নষ্ট করে জনাব বকুল (জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য আওয়ামী লিগার হওয়া ব্যক্তিকে) জয়ী ঘোষনা করান। যার জন্য সেই থেকে এলাকার মানুষ শাহ আলমকে আর সহ্য করতে পারেনি। নতুন করে জামায়াত এবং বিএনপির সঙ্গে জনাব শাহ আলমের ঐক্য এবং সন্ধি কসবা-আখাউড়ার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে আবার কিসের অশান্তির বীজ বপনের পরিকল্পনা? এই জনপদের মানুষের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে বাঁধাগ্রস্থ করার জন্যই কি এই মিলনমেলা? জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোন অধিকার তাদের নেই। সাবেক দুই দুর্নীতিবাজ এমপি মুশফিকুর রহমান আওয়ামী লীগে নাকি শাহ আলম বিএনপিতে যোগ দিচ্ছে এওতো ভাবার বিষয়? তবে শাহআলম বিএনপির ষড়যন্ত্রে তৈল ও ঘী ঢেলে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর আশায় ফন্দি আটছেন। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি এই আতাত করা খেলা শান্তিপ্রিয় কসবা-আখাউড়াবাসী কোনকালেই এবং কোনভাবেই মেনে নেবেনা বলে জানা যায়। সাধারণ জনগণ ও আওয়ামী লীগ এবং সমমনা দলগুলোর নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলাপ কালে এ ধারনাই পাওয়া যায়। সকলেই একযোগে বলেন আমাদের শান্তিরাজ এবং আদর্শীক নেতা আনিছুল হক। সুতরাং এখানে দল মত ও স্বার্থের দ্বন্ধের কোন সুযোগ নেই। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন এবং নির্বাচন যতবার নির্বাচন করবেন ততদিন আমরা দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে উনাকে আমাদের প্রয়োজনে জয়যুক্ত করব। বাকি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত এবং মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাব।
পরিশেষে আমাদের জরিপের আঙ্গিকে আমি দৃঢ়তার সাথে বলে দিতে চাই কোন ষড়যন্ত্রই এখন আর ধোপে টিকবেনা। জনগণের নিখাদ ভালোবাসার জায়গায় কোন নীলনকশা আবাস গড়তে পারবেনা। আপনাদের ষড়যন্ত্রের জাল যতই মজবুত হোকনা কেন জনগণের ভালোবাসার চেয়ে দৃঢ় নয়। কোন ষড়যন্ত্র হলে একবিন্দুও ছাড় দিবেনা এলাকার সকল জনগণ। কথা দিলাম সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়ে আগামী সংখ্যায় আরো বিশদ প্রমানসহ ছাপাবো; যা আপনাদের অজানা নয় তারপরও দেশবাসীকে জানানো উচিত বলে একটি কথা রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখন চিহ্নিত এবং তারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে উন্নয়ন, ন্যায় ও সততার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে। তাই রোধকল্পে আমাদের প্রতিবেদন এবং জালাময়ী লিখা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.