ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত শনিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে কালবৈশাখীর তান্ডবে শতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । ঝড়ে গাছের ডাল ভেংগে পড়ায় বিদ্যুতের লাইন ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ইরি-বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। ভেংগেছে উপজেলার শত শত গাছ এবং ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টির কারনে ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ঝড়ে রাস্তায় গাছ ভেংগে পড়ায় কয়েক ঘন্টার জন্য গাড়ি চলাচলও ব্যাহত হয় এবং মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করলে আবার গাড়ি চলাচল শুরু হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে শুরু হয় কালবৈশাখীর এই তান্ডব।
স্থানীয় কৃষি অফিস এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করতে পারেনি। অপরদিকে কসবা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদত হোসেন জানান ঝড়ের সময় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১২/১৩টি স্থানে বড় গাছ ভেংগে পড়ায় পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে শনিবার বিকেল থেকে পুরো উপজেলা ছিলো বিদ্যুৎ বিহীন। তিনি বলেন অনেক স্থানেই কালবৈশাখীর ছোবলে বিদ্যুতের খুটি ভেংগে পড়ে। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় শুধুমাত্র কসবা পৌর শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। উপজেলার গুরুত্বপুর্ন স্থান কুটি, চারগাছ, বায়েক ইউনিয়নের গ্যাসফিল্ড এলাকাসহ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানায় তার এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার এখন খোলা আকাশের নীচে। তাদের ঘরদরজা ঝড়ো হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম জানান; উপজেলার বিনাউটি, কসবা পশ্চিম, কায়েমপুর ও বায়েক ইউনিয়নের ৮১টি পরিবারের ঘরদরজা সম্পুর্ন ভেংগে গেছে। ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পুর্ন ধ্বসে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৬৮টি পরিবারের ঘর দরজা। অপরদিকে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শিলা বৃষ্টির কারনে।