তারেক রহমানের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন স্ত্রী জোবাইদা

ফারুক ভুইয়া॥ গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পর কোটা সংস্কারের আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের পরও নানা অজুহাতে তা পুনরায় শুরু করবার পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে পড়লো এই আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিতকরণের চেষ্টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ।tareq hidden out by jobaida
গত ১১ এপ্রিল ফাঁস হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাসাসের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদের সাথে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক অডিও ফোনকল রেকর্ড।
২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ফোনালাপটিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে আরো সংগঠিত করার নির্দেশ দিতে শোনা যায় তারেক রহমানকে। ফোনে তারেক রহমান মামুনকে অনুরোধ করেন সাদা দল যেনো কোটা সংস্কার আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে মামুনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর তারেক রহমান এই ব্যাপারটি নিয়ে আরও কয়েকজনের সাথে কথা বলবেন বলেও জানান।
কোটা আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভিড়ে ঢুকে শিবির ও ছাত্রদলের লোকজনের তৎপরতার অভিযোগ উঠলেও এতদিন তা কেউ তেমন আমলে নেননি। তবে গত ৮ এপ্রিল গভীর রাতে ভিসির বাসভবনে বর্বরতম হামলা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিল থেকে গত ১০ এপ্রিল রাতে গুলি ছোড়ার ঘটনায় জনমনে সন্দেহ তীব্র হয়।
এদিকে অডিও রেকর্ডটি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই নতুন করে দ্বিধা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ এমনকি আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও। দীর্ঘ সময়ে বিএনপি তাদের কোনো আন্দোলনে জনসমর্থন না পেয়ে কোটা আন্দোলনের মতো জনসমর্থিত আন্দোলনকে তাদের নিজ স্বার্থে ব্যবহারে উদ্দেশ্যে চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে যে অভিযোগ উঠেছিল, তারেক রহমান ও ঢাবির শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস হয়ে পড়ায় তা আরো বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠলো বলে মনে করছেন সমালোচকগণ।
উল্লেখ্য, তারেক ও মামুনের ফোনালাপ ফাঁস হয়ে পড়ার পরদিন গত ১২ এপ্রিল তারেক রহমানের স্ত্রী ড. জোবায়দা রহমান তার ফেসবুক পেজে বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়েই লিখেছেন- ‘আওয়ামী লীগ ছাত্রদের এই নৈতিক দাবি সমর্থন করাকে বলছে ষড়যন্ত্র, আপনার কি মনে হয়। এই স্বীকারোক্তি আবারো প্রমান করে দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পাওয়া বা যাওয়ার আশায় মরীয়া এখনও তারেক জিয়া। জনগণের কোন প্রয়োজন নেই বরং সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি স্থিতির মাধ্যমে পুর্বের ন্যায় আবারো ক্ষমতায় যেতে আগ্রহী এবং মরীয়া।
জনাব রিজবী সাহেবও এই একই সুরে কথা বলে ঐ নিরব নিথর আন্দোলনে উষ্কানীর মদদ এবং পাকি কায়দায় ভিসির বাসায় হামলা ও বর্বর ভাংচুরের মদদদাতা ও স্বাক্ষী এবং হুকুমের আসামী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন বৈকি। কি নৈতিকতা নিয়ে ওনারা বেঁচে আছেন তা জাতীর সঙ্গে আমারও বোধগম্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.