সর্বপ্রথম শুকরিয়া জানাই সৃষ্টিকর্তা খোদা তায়ালাকে। একমাস ১৫দিন পর আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা এবং ভালবাসার কারণে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ঘেরাকলে ঘূর্ণায়মান ছিলাম। নিজের তৈরী ফাঁদে নিজেই পা দিয়েছিলাম। সরকার আমার, দল আমার এবং ক্ষমতায় থাকার ক্ষেত্রে অনুঘটকদের একজনও আমি। তারপরও আইনের নিরপেক্ষতায় আটক ছিলাম ১১৫দিন। বড় বোনের শাসনের বেড়াজালে আটক থেকে ফিরে এলাম যাদের সহযোগীতায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং অনুগত।
সর্বপ্রথমে স্মরণ করি আমার অভিভাবক জনাব আনিছুল হক এমপি এবং তার এপিএস, আমার বড় বোন লোনা আপা এবং বেসিস এর সকল মেম্বারগণকে, বন্ধু মোস্তফা জব্বার, দেলোয়ার হোসনে ফারুক, বড় ভাই শামিম আহসান (সাবেক বেসিস প্রেসিডেন্ট), জাহাঙ্গির ভাই (সুধা সদন ইনচার্জ), এহসানুল করিম ভাই (প্রধান মন্ত্রীর প্রেস সচিব), যুগ্ম সচিব- তাজুল ইসলাম ভাই, এসপি-ড: ইকবাল, বড় ভাই এডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, দুলাল ভাই, মামুন ভাই, সৈকত কাকা, চৌধুরী কামাল ভাই, স্নেহের শেখ কামাল সুমন, কেন্ট স্কট, জ্যাকব থমাস, ফিলিপ, জেফসহ আমার অফিস সহকর্মী এবং গ্রামের সকল মানুষ:- কামাল ভাই, ইকবাল ভাই, শাখাওয়াত ভাই, ছোট ভাই বেদন, মুন্না, বাচ্চু কাকা, রোফন কাকা, বন্ধু শিপন সহ আরো অনেকে, আমার প্রীয় দাদা পিয়ার আলী (সিএ), শ্রদ্ধেয় দাদা এডভোকেট আবু আমজাদ (সাবেক ডেপুটি এটর্নী জেনারেল), বুড়ি ফুফু, হাক্কানী ভাই, আজহার ভাই, ছোট ভাই জুয়েল (মেয়র), রিমন, মনির, নিজাম, আবদুল্লাহ, হানিফ ভাই, সফিকুল ভাই, সুলেমান ভাই, ভজন দা, নেপাল দা, মিজান মামা, বন্ধু সফিক, বাবুল ভাই, সোহাগ মামা, বাবুসহ এলাকার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি এবং বিনম্রভাবে বলছি আমি আপনাদের সম্মানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। আমার দ্বারা কোন অবমূল্যায়ন বা অবক্ষয় হবে না এটা আমার ওয়াদা। আমি সচেষ্ট থাকব পাশে থেকে ভাল কাজে একসঙ্গে সার্বিক দিক দিয়ে অগ্রসর হতে। আমি আগেও আপনাদের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি ভবিষ্যতেও ওয়াদাবদ্ধভাবে থাকব। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে সেবার কাজে আপনাদের পাশে থাকতে পারি।
সর্বোপরি আমার পরিবার, ভাই, বোন আত্মীয় স্বজনদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং দায়িত্ববান ও যতœশীল হয়ে আগামী দিনে দায়িত্ব পালনের সহযোগীতা কামনা করি। যে ঝড় ও ঝঞ্জা বয়ে গেছে তা কাটিয়ে উঠে আগামী নতুন দিন ও সুর্য এবং মঙ্গল বার্তা বহনে সক্রিয় হব। সকলেই দোয়া করবেন যেন পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণের তরে বাকি জীবন ব্যায় করতে পারি।
অনাকাঙ্খিতভাবে কারো মনে কোন দু:খ দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন এবং আমি সকলের প্রতি ক্ষমাশীল ভালবাসা প্রদর্শন করি এবং করব। এই ক্ষমা চাওয়া ও মনের না বলা কথা প্রকাশ করতে পেরে দায় ও ভারমুক্ত হলাম। নি:শ্চিন্তে আগামির গন্তব্যে পৌঁছতে খোদার পরে সকলের সহযোগীতা কামনা করি।
আল্লাহকে শুকরিয়া জানাই যে, আমার অভিভাবকের অভিমান শেষে আমার সুযোগ হয়েছে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়ের ইফতার পার্টিতে অংশ গ্রহণ করার। গত বছর এই দিনে মন্ত্রীমহোদয়ের সঙ্গে ছিলাম এবং এই বছরও খোদার ইচ্ছায় এবং সকলের ভালবাসায় আমি মন্ত্রীমহোদয়ের সঙ্গে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হতে পেরেছি। আল্লাহ চাহেতু আগামী দিনে একসঙ্গে নির্বাচন করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকায় আমাদের শেষ ভরসা এবং আশ্রয়স্থল ও বিশ্ব মানবতার মা শেখ হাসিনার কাছে ফিরে আসব। সবাই দোয়া করবেন এই কাজে যেন সক্রিয় থেকে মন্ত্রী মহোদয়ের মনোবাসনা পুরণে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারি।
ধন্যবাদ জানাই বন্ধু শ্যামুয়ূলকে কারণ তিনি আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং অভয় দিয়েছিলেন। আজ আবার তার সঙ্গে কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ করলাম। কারা মহা পরিদর্শক শ্রদ্ধেয় জনাব ইফতেখার ভাই এবং ডিআইজি বজলুর রশিদ ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি বড় ভাই আসাদুজ্জামান কামাল (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ভাইয়ের ভালবাসা ও স্বভাবসুলব কুশল বিনিময়ে মুগ্ধ হলাম। যাক সবই আল্লাহর দেয়া উপহার। সবাই বলে এখন নাকি আমার জেলপ্রীতি হয়েছে…::: যাই হোক সবই আল্লাহর ইচ্ছা এবং আশরাফুল মাকলুকাত এর ভালবাসার নিদর্শন।
আমি অনেকের নাম এই মুহুত্বে আমার লিখায় উল্লেখ করতে পারি নাই তাই তাদের সকলের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি বর্তমানে অসুস্থ্য এবং ডাক্তারের চিকিৎসায় রয়েছি। দোয়া করবেন যাতে সুস্থ্য হয়ে আপনাদের মাঝে স্ব শরীরে এবং লিখার মাধ্যমে ফিরে আসতে পারি।
জয় হউক আমাদের সকলের এবং দীর্ঘজীবি হউক আমাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী ও দেশ পরিচালনায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।