প্রতিটি গ্রাম শহর হবেঃ পাবনার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাআ॥ পাবনায় স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। কারণ নৌকা দেয়। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আপনারা যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রতিটি গ্রামকে নগরের মতো উন্নয়ন করে দেব। শহরে উন্নীত করব। প্রত্যেক গ্রামে প্রতিটি জনগোষ্ঠী নগরের সুবিধা পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। আপনাদের যে ওয়াদা দিয়েছি নিশ্চয়ই তা পূরণ করব। নিশ্চয়ই এদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ হবে।Pabna jonosove pm
শনিবার পাবনা জেলার সরকারী পুলিশ লাইনস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমুদ্রে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এরা দেশকে ধ্বংস করতে জানে, দেশকে কিছু দিতে জানে না। এরা এতিমের টাকা মেরে খায়। আপনারা জানেন এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার বিষয়ে পবিত্র কোরান শরীফেও নিষেধ আছে। পবিত্র ধর্মে বলা আছে, এতিমের টাকা এতিমদের মাঝে যথাযথভাবে বণ্টন করে দাও। কিন্তু খালেদা জিয়ারা এতিমের জন্য আনা টাকা এতিমদের দেয়নি। নিজেরা আত্মসাত করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাত করে দায়প্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন। আমরা তাকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারও করিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষকে দিতে জানে। আর ওরা জানে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ। পাবনায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে নিহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে তো প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা প্রতিটা সময় কাজে লাগিয়েছি মানুষের উন্নয়নের জন্য। মানুষের কল্যাণের জন্য।
পাবনাবাসীকে ৪৯টি প্রকল্প উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমাদের কাছে চাইতে হবে না, আওয়ামী লীগ জানে মানুষের কীভাবে উন্নয়ন হবে। নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আজকে আমি সব হারিয়েছি, শুধু আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবা চাইতেন এই বাংলার মানুষ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন, আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আগামী নির্বাচনে আপনারা যদি আবারও নৌকায় ভোট দেন তাহলে ক্ষমতায় আসব। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উত্তাল জনসভায় উপস্থিত মানুষের নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন কী না হাত তুলে দেখাতে বললে পাবনাবাসী দুই হাত তুলে শেখ হাসিনার প্রতি তাদের সমর্থন জানান।
জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে ওয়াদা আপনাদের কাছে করেছি, সে ওয়াদা আমরা নিশ্চয়ই পূরণ করব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে সকালে হেলিকপ্টারযোগে ঈশ^রদী অবতরণ শেষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের ২য় ইউনিটের ফাস্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধনী করেন। এরপর তিনি দুপুর ৩ টা ৫৩ মিনিটে পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠের জনসভাস্থলে উপস্থিত হন। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকেই আসতে থাকে। প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে বেলা ১২ টার মধ্যেই পুলিশ লাইন্স মাঠ মানুষে উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বেলা যতই বাড়তে থাকে মানুষের স্রোতে ততই উপচে পড়ছিল। দুপুর ২টার সময় জনসভার মাঠে মিছিলের স্রোতে জায়গা না পাওয়ায় রাস্তার ওপর অবস্থান নিতে থাকে। এরপর রাস্তাতেও জায়গা না পেয়ে প্রিয় নেত্রীকে দেখতে আসা হাজার হাজার মানুষ কদমতলা, লাইব্রেরি বাজার, জেলা স্কুল সড়ক ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে মাইকে বক্তব্য শোনেন। তীব্র জনস্রোতে সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ জনসভার লোকসমাগম ২০১৩ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। সে জনসভায় যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল এবার যেন তাও ছাপিয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জে হাজার হাজার মানুষ গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকতে না পেরে ৪ কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন। শহরের অলি-গলি যেখানেই তাকাই যেন মিছিল আর মিছিল। মানুষ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নেচে-গেয়ে পুলিশ লাইন্স মাঠের দিকে আসতে থাকে। ২ টার মধ্যেই শহরের দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। পাবনার স্মরণকালের ইতিহাসে এমন জনসমুদ্র আর মানুষ দেখেনি বলেও অনেকে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ, কারো কাছে ভিক্ষা করে চলব না। জাতির পিতা বলেছিলেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, দাবিয়ে রাখতে পারবে না। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবই। তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজের সকলেই তো আর চাকরি পাবে না। কর্মসংস্থান লাগবে। তার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। বিনা জামানতে ৩ লাখ টাকা তারা ঋণ নিতে পারবে। এ জন্য কারও দাবি করতে হয়নি। আওয়ামী লীগ দিতে জানে। জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ এখন দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের যুবসমাজ যাতে বিপথে না যায় সেজন্য অভিভাবক-শিক্ষক-আলেম-ওলামা ও সমাজের সচেতন মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান করে যাচ্ছি। আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই। সকলের কাছে এজন্য আমার আবেদন থাকবে। মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ শুধু পরিবার নয়, একটা দেশকে ধ্বংস করে দেয়। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন আপনার ছেলেমেয়ে কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে। কেউ যেন এই জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের দিকে না যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের কাজ আমরা করব।
৪৯টি প্রকল্প উদ্বোধন করার পর সমাবেশে পাবনাবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের জন্য এত উপহার নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন, আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই উন্নয়ন হয়েছে। কারণ নৌকা দেয়। নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা মাতৃভাষার অধিকার পেয়েছি, নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আবারও নৌকায় ভোট দিন, প্রতিটি গ্রামে আমরা নাগরিক সুবিধা এনে দেব।
পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনীর কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি চালু হলে ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন যেমন হবে, তেমনি কর্মসংস্থানের বিরাট ভূমিকা রাখবে। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ জয় করেছি। ৪০ লাখ বিধবাকে ভাতা দিচ্ছি। ১০ লাখ প্রতিবন্ধীকে ভাতা, ১ কোটি ৪০ লাখ শিশুর বৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে, তাদের মাকেও এ বৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে, বিনা পয়সায় ছেলে- মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে, বিনামূল্যে বইও বিতরণ করা হচ্ছে, কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামে বসে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে, যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, জমি নেই তাদের খাস জমি দেয়া হচ্ছে। যাদের জমি আছে তাদের ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে আমরা ১শ’ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলও ঘোষণা করেছি। তাই আমরা মানুষের কল্যাণে সর্বকালের সর্ববৃহৎ বাজেট ঘোষণা করেছি। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করেছি। গবেষণার মাধ্যমে সব মৌসুমেই তরকারি ফল উৎপাদন করা হচ্ছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও আমরা সফলতা পেয়েছি। আমরা সবদিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আরও এগিয়ে নিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা,দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে দেশকে গড়ে তুলবো।
জনসভায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ্যতার বাহানা করছেন। একাত্তরে যখন সবাই দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে হানাদারদের কাছে আরাম আয়েশে ছিলেন। এখন বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যখন তাঁকে চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তখন খালেদা জিয়া যেতে চাচ্ছেন না। আসলে তার মতলবটা কী দেশের মানুষ ভাল করেই জানে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলু এমপি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাসসুল হক টুকু এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, অধ্যক্ষ মেরিনা জামান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল প্রমূখ।
এক নজরে ৪৯ প্রকল্প ॥ জনসভায় বক্তব্যের আগে ৪৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হচ্ছে- মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা পর্যন্ত রেল চলাচল, পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস, ঈশ্বরদী থানাভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে, সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া, ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর, লক্ষীকুন্ডা, সাঁড়া, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর এবং চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর ওপর নারায়ণপুর সেতু, ভাঙ্গাুড়া উপজেলায় গোমানী নদীর ওপর নৌবাড়িয়া সেতু, ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে, সিটি কলেজ একাডেমিক ভবন, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক ভবন, খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক ভবন; চাটমোহর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, বোনকোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন, সুজানগর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবন, ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভবন, চাটমোহর উপজেলায় গোমানী নদীর ওপর নিমাইচড়া সেতু, চাটমোহর উপজেলায় কাটাখাল সেতু, চাটমোহর উপজেলায় আত্রাই নদীর ওপর আত্রাই সেতু, সুজানগর উপজেলায় ধোলাইখাল সেতু, ভাঙাগুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ^রদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলাসহ সুজানগর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ, জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল, সুজানগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আটঘরিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, চাটমোহর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, বেড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, সুজানগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, পুলিশ লাইন্স মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন, সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়ন ও আটঘরিয়া উপজেলায় হাদল ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাবনা মেডিকেল কলেজের ৬’শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন, সাঁথিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা আদর্শ মহিলা কলেজ একাডেমিক ভবন, সাঁথিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেড়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার ও পানি শোধনাগার নির্মাণ, সাঁথিয়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার নির্মাণ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
খবরঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published.