আসছে আগামী নির্বাচনের উর্বর ও উষ্ণতম সময়। এই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন চমক দেখাতে পারে এবং বিগত দিনে পেরেছেও বটে। তবে সকল চমকের পিছনেই রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারেসমেটিক গুণ ও তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরী ঔরসজাত সন্তান বাঙ্গালীর গর্ব ও অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয় এর আন্তর্জাতিক জ্ঞান। আওয়ামী লীগ বার বার পার পেয়েছে কারো না কারো জৌলুসে। যেমন শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা যিনি বাংলার গন্ডি পেরিয়ে এবং বিশ্ব নের্তৃত্বের সুউচ্চ শিখরে আরোহন করে বিশ্ব মানবতার মা হিসেবে সৎ ও কর্মঠ এবং সিদ্ধান্তে ধীরস্থীর ও সময়ের গতিতে দ্রুতবুদ্ধী ও কার্যকলাপে অগ্রগামী। এবারও আওয়ামী লীগের সমর্থক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কর্মী ও সমর্থকে পুর্ণ আওয়ামী লীগকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দলীয় নেতাদের একটু কৃপন কৃপন ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেখানে দলীয় প্রধান সকল দিকে চোখ কান খোলা রেখে দলের ঐক্য এবং জোটের ঐক্য এমনকি আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং দলকে শক্তিশালী করে যাচ্ছে সেখানে নেতাদের এই আলসেমী এবং একগুয়েমিতে কিছুটা পিছুটান পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এখনই সময় দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের স্বতস্ফুর্তভাবে কাজে লাগানোর। এই কাজটুকু করতে পারলেই দেশের এই সর্ববৃহৎ দলটির বিজয় ঠেকানোর কোন শক্তি পৃথিবীর বুকে মাথাচারা দিয়ে উঠেনি এবং উঠতে পারবেও না। যেহেতু দেশের রাজনীতির বাজারে এখন একমাত্র দল আওয়ামী লীগ। আর কোন দলের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। আর অবশিষ্ট যেটুকু রয়েছে তাও আবার ঘুনে ধরে বাতাসে উড়ে যাচ্ছে। ছাগলের তিন বাচ্ছার তৃতীয়টার দশায় রয়েছে দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের মেধা ও বুদ্ধী এবং দল পরিচালনায় ঘুণে ধরে খেয়ে শেষ পর্যায়ে নিয়ে ঠেকিয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগই একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্ধন্ধী আওয়ামী লীগ এই দৃশ্যমান অবস্থার অবসায়ন করা যুগের দাবী এবং দেশবাসী দলের সর্বোচ্চ পর্যায় ও তৃণমূল পর্যায়ের দাবী।
কোন কালেই বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার বিহীন দলীয় ঐ নাজুক অবস্থার উন্নতি সম্ভব হয়নি। আর এখনও সম্ভব নয়। তাই ঐ অবস্থায় আর ফিরে যাক তা কেউই চায় না। সেই কারণে দলের নেতা এবং দল দ্বারা সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর চোখ রাঙ্গানো এমনকি মামলা ও হামলার স্বীকারে দলের তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থক ও কর্মীদের রেহাই দেয়ার এখনই সময়। কারণ ঐ সকল লোকেরাই দলের প্রাণ ভোমরা। ওরাই বিপদে এমনকি ঝুকিপূর্ণসময়ে দলের হাল ধরতে এমনকি কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হতে এগিয়ে আসে। কোন বাধাই তখন তাদের কাছে বাধা বলে মনে হয় না। ঐ সকল লোকেরা আসলে সাদা মনেরও হয়। তাদের চাওয়া-পাওয়া খুবই সামান্য। শুধু সন্মœান এবং দলীয় ফোরামে কথা বলার সুযোগ চাওয়াটুকুই। ঐ সকল লোকদের জন্য কষ্ট হয়…এইজন্য যে, নিজের দল ক্ষমতায় অথচ তারা জেল, হামলা এবং মামলায় জর্জরীত। যদি দল ক্ষমতায় না থাকে তাহলে কি পরিণতি হবে ঐ মানুষগুলোর। আমার অনুরোধ এই নির্বাচনের আগেই দলীয় লোকদের মামলাগুলি প্রত্যাহার করে ঐক্য এবং একই পরিবারের সদস্য হিসেবে আগামী বিজয়ের অংশীদ্বার হতে উদ্বুদ্ধ করুন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি পরিবার আর এই পরিবারের কান্ডারী এবং রক্ষক হলেন আমাদের আশা ও ভরসার স্থল জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই পরিবারের সদস্যদের ছোট খাট অপরাধ বা কারো প্ররোচণায় নিরীহ এবং অভিমানী সদস্যদের উপর ক্ষেপাটে ভাবে থেকে বের হয়ে ক্ষমা করে রেহাই দিলে আগামী দিনের ঐক্য সুদৃঢ় এবং মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে দলের জয় সুনিশ্চিত হবে। আমার অনুরোধ নেতা, এমপি, মন্ত্রী এবং সরকার ও দল দ্বারা উপকারভোগী লোকদের কাছে; আপনারা সদয় হউন এবং দলের ঐ লোকদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থকদের বুকে আগলে রেখে দেশ গঠনে এবং সরকার পরিচালনায় ভুমিকা রাখতে সাহায্য করুন। আপনার ভালবাসা এবং ক্ষমা তাদেরকে দিতে পারে নতুন জীবনের স্বাদ এবং নতুনদের দেখাতে পারে আশার আলো।
পাকিস্থানে নির্বাচন হয়েছে এবং দেখা গেছে নতুন এক ছক যা কালো মেঘের ন্যায় আবির্ভূত হয়েছে আমাদের সামনে। সুতরাং আমাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ব মোড়লের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে তাই দলের মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তীক্ষ্ণ ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ক্ষমতা নিয়ে পরখ করতে হবে। কথায় আছে দশে মিলে করি কাজ হারি যেতে নাহি লাজ… দশের লাঠি একের বোঝা। একজনের উপর দায়িত্ব না দিয়ে সকলেই আমরা দায়িত্ব নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করি এবং আগামীর ভাগ্যাকাশে সোনালী সূর্য্যরে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখি।
সংবাদ মাধ্যম এবং বিদেশী বিশেষঞ্জের বিশ্লেষণ পড়ে হতাশ না হয়ে বরং আনন্দ পাই কিন্তু সেই আনন্দ ধরে রাখার জন্য নিজের ভুমিকা পালনে সচেষ্ট থেকে সন্তুষ্টি অর্জনে এগিয়ে যায়। আর সময়টা এখন এগিয়ে যাওয়ারই। আগামী দিনে দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে এবং স্থীতিশীলতা ও সম্পৃতি বজায় রাখতে হবে; তাই এখনই আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে এই অগ্রযাত্রা সম্ভব হবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ঐক্য সুদৃঢ় করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধশক্তির সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলাও ঐ তৃণমুল কর্মী ও সমর্থক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত একত্র হয়ে একসঙ্গে মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই সফলতা সুনিশ্চিত।