প্রশান্তি প্রতিনিধি॥ পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ জির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করলো বাংলাদেশ।
গত বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ফাইভ জির পরীক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সময় ফাইভ জির সর্বোচ্চ গতি পাওয়া গেছে ৪.১৭ জিবিপিএস।
সকাল থেকে এখানে চলছে ফাইভ জি সামিট। সরকারের সহযোগিতায় ফাইভ জি সামিটের আয়োজন করেছে রবি এবং হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের ডিভাইস দিয়ে ফাইভ জি টেস্ট রান করা হয়।
ফাইভ জির সফল পরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি চালু করা হবে।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকবাবে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক সংযোগ চালুর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সরকারের সহযোগিতায় মোবাইল অপারেটর রবিকে সঙ্গে নিয়ে এই ফাইভ-জি সামিটের আয়োজন করে চীনের টেলিকমিউনিকেশন এবং প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।
ফাইভ-জির পরীক্ষা চালাতে হুয়াওয়েকে এক সপ্তাহের জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন-বিটিআরসি।
পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু হলেও এখনই এর সেবা মিলবে না ভোক্তা পর্যায়ে।
জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে টু-জি ইন্টারনেট চালু করে। এর পরের বার এসে থ্রি-জি চালু করে। আর এবার ক্ষমতায় এসে ফোর-জি চালু করেছে। আগামীতে ক্ষমতায় এসে ফাইভ-জি চালু করবে।’
অন্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম দামে ইনন্টারনেট বাংলাদেশ সরকারই দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দশ বছর আগে দেশে ইন্টারনেটের দাম যা ছিল তার ৯৯ শতাংশ কমেছে।’
এসময় তিনি বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগে কানেকটিভিটি যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে তা অন্যদেশের চেয়ে ভালো বলেও মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ফোর-জি সেবা চালু হয়। চার মোবাইল ফোন অপারেটরকে ফোর-জি সেবার লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে দেশে এ সেবার যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিটিআরসির সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং জেনজুন।