নাজমুল হক সজল, বিশেষ প্রতিনিধি, কসবা॥ কসবায় যত্রতত্র লাইসেন্স বিহিন দোকানে অবৈধভাবে এলপি গ্যাস সহ সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এক কারণে চরশ ঝুকিতে ক্রেতাসহ আশে পাশের এলাকার জনগনসহ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গ্যাস ডিলারসহ সচেতন এলাকাবাসী। সরেজমিনে কসবা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাযায় মুদির দোকান, চায়ের দোকান, ঔষধের দোকান, সেলুন এমনকি রঢ সিমেন্টের দোকানসহ অনিরাপদ স্থানে অগ্নি নিরর্বাপক বা অক্সিজেন ছাড়া লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ভাবে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। এতে পথচারীরা মারাত্মক ঝুকির পাশাপাশি সিলিন্ডার বিসফোরণের আশংকায় ব্যবসায়িদের মাঝে দেখা দিয়েছে সংকা। ব্যবসায়ী পথচারী ও এলাকাবাসী শংঙ্কিত থাকলেও প্রশাসন রয়েছে পুরোপুরি নির্বিকার। ডিলাররা অভিযোগ করেন গ্যাস বিপদ জনক পদার্থ। সংশ্লিষ্ঠ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেহ সিলিন্ডার বিক্রয় করতে পারবে না। বিশেষ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে মালিকদেরকে বা সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের ডিলারদেরকে এগুলো বিক্রির অনুমোধন করে থাকে। অনুসন্ধানে জানাগেছে এদের অধিকাংশ বিশফোরণ অধিদপ্তরের কোন লাইসেন্স নেই। অধিকাংশ দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার বিক্রয়সহ গাড়িতে বহন করায় যে কোন সময় গ্যাস বিশফোরিত হয়ে বড় দরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সচেতন মহল। আরো জানা গেছে উপজেলার অধিকাংশ এলপি গ্যাস ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নেই বিসফোরক লাইসেন্স। সরেজমিনে আরো দেখা গেছে উপজেলা কসবা সদর সহ আড়াইবাড়ি, কুটি, নয়নপুর, গোপীনাথপুর, চারগাছ, মনকাশাইর, সৈয়দাবা ও খাড়েরাসহ বিভিন্ন এলাকায় খুচরা গ্যাস বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। বিস্ফোরক আইন ১৯৮৪ এর এলপি গ্যাস রোলর্স ২০০৪ এর ৬৯ দ্বারায় ২ বিধিতে লাইসেন্স ব্যতীত যে কোন ক্ষেত্রে এলপিভি গ্যাস মজুদ করা যাবে তা উল্লেখ্য আছে। বিধি অনুযায়ী ৮টি গ্যাস পুর্ণ সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধির ৫১ ধারায় বলা আছে আগুন নেভানুর জন্য স্থাপনা বা মজুদ আকারে যথেষ্ট পরিমাণের অগ্নিনির্ভাপক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে ব্যবসায়ী অন্যন্য ২ বছর ও অনাধিক ৫ বছরের জেল সহ ৫০ হাজার টাকা দ-িত হবে এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরো ৬ মাস পর্যন্ত কারাগারের বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকজন ডিলার জানান আইন আছে প্রয়োগ নেই। যে কোন ঘটনার জন্য ডিলাররা দায়ী থাকিবে না। প্রতন্ত্য অঞ্চলে অভিযান না থাকায় অবৈধ ভাবে এলপি গ্যাস বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লাইসেন্স বিহীন দোকানগুলোতে অবৈধ ভাবে গ্যাস বিক্রি বন্ধ করতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।