কসবায় আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাটে বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের অবস্থান ধর্মঘট

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ভারত-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাটে গত রোববার বাংলাদেশী দোকান মালিকরা তাদের দোকান না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সাথে হাটের মূল ফটকের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষনা দিয়েছেন। গত রোববার ২৯ জুলাই ভারতের ক্রেতাদের হাটে প্রবেশ করতে না দেয়ায় বিক্রেতারা এ ঘোষণা দেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশী দোকান মালিকরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও খোজঁ নিয়ে জানা গেছে; কসবা সীমান্ত হাটে বাংলাদেশী ২৫টি ও ভারতের ২৫টি দোকান বসে। গত রোববার ২৯ জুলাই সীমান্ত হাটে ভারতীয় কোন ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়নি সে দেশের বিএসএফ। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা কোন মালামাল বিক্রি করতে পারেননি। অথচ বাংলাদেশী ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভীড়। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বর্ডার হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সীমান্ত হাটের বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মোস্তাফা হারুন বলেন; কসবা সীমান্ত হাটে আজ রোববার বাংলাদেশী কোন বিক্রেতা মালামাল নিয়ে যাবে না। হাটের বাইরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করবে বাংলাদেশী সব ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন; সীমান্ত হাটে গত রোববার ভারতের মাত্র ২৫/৩০ জন ক্রেতা এসেছে। সেখানে বাংলাদেশী দোকান ২৫টি। বিক্রেতারা কোন বিক্রয় না করতে পেরে খালী হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। অথচয় ভারতীয় বিক্রেতারা প্রতি হাটের দিন প্রত্যেকটি দোকান মালিক ৭০/৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। তিনি আরো বলেন; ওই দিন হাটের বাহিরে ভারতে অনেক ক্রেতা ছিলেন। কিন্তু বিএসএফ তাদেরকে হাটে আসতে দেননি।
হাটের পোষাক ব্যবসায়ী মো. অলিউল্লাহ সরকার বলেন; হাট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী বিক্রেতারা কিছু বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু গত রোববার হঠাৎ করে ভারতীয় বিএসএস ওই দেশের ক্রেতাদের হাটে আসতে দেননি। এ কারনে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হয়েছে। এ ছাড়াও  দুই দেশের মানুষের মিলন মেলার জন্য এ হাট নির্মাণ করা হয়েছিল। সে উদ্দেশ্যে ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহিদুর রহমান বলেন; বিজিবি শুধু বর্ডার হাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি বলেন; নিয়ম অনুযায়ী সীমান্তের ৫ কিলোমিটারের অধিবাসীরা সেখানে কেনাকাটা করবেন। অন্য এলাকার কেউ আসতে পারবে না। এ হিসাবে ভারতের লোকজন কম আসছেন ।
কসবা সীমান্ত হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা ইসলাম বলেন; বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা বিষয়টি লিখিত ভাবে অবহিত করিয়েছেন। অভিযোগটি হাটের পরিচালনা কমিটির সভাপতিেেক অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন; বিষয়টি নিয়ে ভারতের সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.