সান্তাহার প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম স্টেশন সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনটি। এটি রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরদিকের পার্শ্ববর্তী বিখ্যাত একটি জংশন স্টেশন। বর্তমানে এটি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। অবিভক্ত ভারতের উত্তরবঙ্গ ও আসাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে সান্তাহারকে সংযুক্ত করে পূর্বদিকে বগুড়া হয়ে দিনাজপুর, রংপুর ও লালমনিরহাটে যাওয়ার আরো একটি রেললাইন (মিটারগেজ) নির্মিত হলে ‘সান্তাহার স্টেশন’ সান্তাহার জংশন স্টেশনে পরিণত হয়। ত্রিমুখী রেলের সংযোগস্থল এবং নওগাঁ ও বগুড়া এ দুই জেলার মোহনায় অবস্থিত স্টেশনটি নানাদিক দিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এই স্টেশন থেকে সরকারের আয় উল্লেখ করার মতো। কিন্তু বিপুল পরিমাণ আয় হওয়া সত্ত্বেও জনবল সংকট, স্টেশনের বাউন্ডারি ওয়াল না থাকা, পানি সমস্যা ইত্যাদি কারণে সান্তাহার জংশন স্টেশনটি তার পুরনো ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
স্টেশনের ১ হতে ৪নং প্লাটফরমের টিনশেডগুলো ফুটো হয়ে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়েছে। বহুদিন আগে শেডের টিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ স্থানেই বৃষ্টির পানি পড়ে স্টেশন নোংরা হয়ে যায়। পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেক স্টেশন আধুনিক এবং উন্নত হলেও প্রসিদ্ধ সান্তাহার জংশন স্টেশনে আধুনিকতা আজও স্পর্শ করেনি। উত্তরাঞ্চলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী যাতায়াত করে। স্টেশনটির উপর দিয়ে আন্তঃনগর, মেইল, সাধারণ মেইল, মালামাল গাড়িসহ প্রায় ৩০টি ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে। স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় সান্তাহার জংশন স্টেশনটি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং জনবল সংকট থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাংক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছে না।