প্রধানমন্ত্রীকে আল্লামা আহমদ শফীর অভিনন্দন

আওয়ার ইসলাম ॥ কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টাসের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দিয়ে মন্ত্রীসভায় আইন অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীসভা, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমিরে হেফাজত, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক, বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কওমি শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি দেশের লাখো আলেম-ছাত্র সমাজের প্রাণের দাবি ছিলো। দীর্ঘদিন যাবত আমরা এ জন্য চেষ্টা করে আসছি। আজ মন্ত্রীসভায় তা অনুমোদনের মাধ্যমে আমাদের দাবি পূর্ণতা পেলো।sofi hojour
বেফাক চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টাসের (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) সমমর্যাদা দেয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য- এ দুই বিষয়ের মাস্টাসের মর্যাদা পাবে দাওরায়ে হাদিস।
ফলে কওমি শিক্ষার্থিদের খেদমতের পরিধি বৃদ্ধি পেলো। আশা করি, দেশ ও জনগন এর সুফল দেখতে পাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমর্যাদা ঘোষণা করে সরকার। ঐ দিন গণভবনে আলেমদের এক অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন।
পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আলোকেই এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি করে এই সমমান দেয়া হল।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ সমমান দেয়ার লক্ষ্যে বেফাক সভাপতি (পদাধিকার বলে) আল্লামা শফীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। কমিটিতে সরকারের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.