প্রশান্তি ডেক্স। । নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ৩৭ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। গত রোববার ঢাকার দুটি আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এখন পুলিশ নতুন কোনো মামলায় গ্রেফতার না দেখালে ঈদুল আজহার আগেই মুক্তি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আসামি ইফতেখার আহম্মেদের এবং ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈনউদ্দিন সিদ্দিকী ৩৭ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। জামিন পাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২২ জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইষ্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথ ইস্ট ও ব্র্যাকের শিক্ষার্থী। জামিন পাওয়া বাকিরা হলেন ধানমন্ডি থানার একটি ভাঙচুর মামলায় আসামি। এদের মধ্যে বাড্ডা থানার মামলায় জামিন পাওয়া ১৪ ছাত্র হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান। অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলায় জামিন পাওয়া আট ছাত্র হলেন- আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান। রোববার সকালে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আটক ছাত্রদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাছে ছাত্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় শহিদ রমিজউদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে গেলেও বেসরকারি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ইষ্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথ ইস্ট ও ব্র্যাকের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
৭ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। পরে ৯ আগস্ট আসামিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।