ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বুধবার (২২ আগস্ট) ভোরে ঈদগাহ মাঠে ও পুলিশের উপর বোমা হামলা সহ নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন (২৭) ও এজাজ আহমেদ ইকবাল (৩৫) নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাদ্দাম হোসেন পৌর এলাকার মরাপুকুর পাড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র ও এজাজ আহমেদ ইকবাল হাকর গ্রামের মৃত মো: বাবর আলীর পুত্র। সাদ্দাম হোসেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগে রাখা ৮টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়; গত বুধবার ঈদের দিন ভোরে উপজেলার পৌর এলাকার মরাপুকুর পাড় গ্রামের সাদ্দাম হোসেন তাদের নিজ বাড়িতে বসে জামাত-বিএনপির ১০/১২ জন দুস্কৃতিকারী নিয়ে ঈদগাহে মুসল্লী ও পুলিশের উপর বোমা হামলা ঘটিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছিলো বলে গোপন সংবাদে জানতে পারে পুলিশ। খবর পেয়ে তৎক্ষনাত অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্খিতি টের পেয়ে পরিকল্পনাকারী দুস্কৃতিকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাদ্দাম হোসেনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এ ঘটনার সাথে এজাজ আহমেদ ইকবাল জড়িত থাকার কথা জানায়। সাদ্দামের দেয়া তথ্যমতে পুলিশ তার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত একটি জায়গা থেকে ৮টি ককটেল উদ্ধার করে এবং ইকবালকে ওইদিন রাতেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করে পুলিশ এবং তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ জানায় এ মামলা ছাড়াও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ আইনে আরো ৩ টি মামলা ও এজাজ আহমেদ ইকবালের বিরুদ্ধে পেনাল কোড মামলা চলমান রয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক জানান; আসামীরা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠক করছিলো এমন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করলেও টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। সাদ্দাম হোসেনের দেয়া অনুযায়ী অপরজনকে গ্রেফতার ও ককটেল উদ্ধার করা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।