প্রশান্তি ডেক্স॥ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা মেনে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগেও যদি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করা হয় তাহলে সেটাও গ্রহণ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি। বিএনপির একটি নিভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, অক্টোবরে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করে নেওয়ার জন্য আন্দোলনের ছক তৈরি করছে বিএনপি। তবে বিগত দিনের মত এবারও আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপির এবার বাঁচা-মরার লড়াই। হয়, ক্ষমতাসীনদেন কাছে মাথা নত করে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যেতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটা এখনও বলার সময় আসেনি। কারণ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখায় কী বলা হবে, তা শোনার পরে আমরা দলে আলোচনা করবো। এরপর আমরা আমাদের মতামত দেবো। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে ডাকা হলে আপনারা যাবেন কী না- এই প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রস্তাব দেয়ার পরে এ বিষয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামের মিটিংয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। অক্টোবর মাসে সম্ভাবনা বেশি। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, তারা (সরকার) আমাদের কোন শর্তই মানছে না। আর আদৌ নির্বাচন হবে কী হবে না- সে বিষয়টিও বলা যাচ্ছে না।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক প্রভাবশালী সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী যাবে না- এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করে করছে নির্বাচন কমিশন। সুতরাং সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।