প্রশান্তি ডেক্স॥ অর্থমন্ত্রীর কড়া জবাব বা না সত্ত্বেও অবসরের বয়সসীমা বাড়ছে। সরকারের গনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে এই খবরের নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বাড়তে যাচ্ছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার সুপারিশ করে। তবে সূত্র জানিয়েছে ৩৫ নয় সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২ বছর বাড়িয়ে ৩২ করা হতে পারে। তবে একইসঙ্গে অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। দুটি বিষয়েই সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সংসদীয় কমিটি চাকরির বয়স এন্ট্রি লেভেলে ৩৫ ও এক্সিট লেভেলে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাব পুরোপুরি রক্ষা করা যাবে কি না সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত উভয় দিকে দুই বছর করে বাড়ানো হতে পারে। তবে অবসরের বয়স বাড়াতে গেলে ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী আইন সংশোধন করতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিগগির চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো সংক্রান্ত সার্কুলার জারির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। আর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬০ বছর। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে। আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। তারপর যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত যাচ্ছে রাষ্ট্রপতির হাতে। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সম্পূর্ণ বাতিল করার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে গুরুতর আইনি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপিল বিভাগ ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের জন্য রায় প্রদান করেছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পক্ষ থেকে আপিল করা হয়নি। এমতাবস্থায় কি করণীয় সে বিষয়ে কোটা বাতিল ও সংরক্ষণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত সচিব কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরামর্শ চেয়ে গত ১৬ আগস্ট চিঠি প্রেরণ করেন। ২০ আগস্ট ফিরতি চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মতামতটি রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের জন্য প্রেরণের পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সচিব কমিটির সভাপতি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে করণীয় কি হবে সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স চাওয়া হবে। রেফারেন্সটি প্রস্তুত করবে আইন মন্ত্রণালয়। আইন সচিব দেশে ফিরলেই রাষ্ট্রপতির কাছে রেফারেন্স পাঠানো হবে।