চক্রান্ত আছে এবং থাকবে। আর এই চক্রান্তের নবজাল চ্ছেদ করেই এগিয়ে যেতে হবে নতুন এক ভোরের প্রত্যাশায়। চক্রান্ত নিয়ে যারা এগিয়ে যাচ্ছে তারা কিন্তু চিহ্নিত এবং তাদের সঙ্গে নতুন করে অতি গোপনে যারা যুক্ত হচ্ছে তার মিডিয়ার কল্যানে আজ দিবালোকের মত প্রকাশিত। এই ক্ষেত্রে মিডিয়ার প্রশংসা প্রাপ্য। চক্রান্তকারীদের কি উদ্দেশ্য এবং কেন তারা চক্রান্ত করে তাও সকলের জানা। তবে চক্রান্তের নতুন কৌশলটুকুই শুধু অজানা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৌশল পাল্টিয়ে নতুন ফন্দি এটে কায্য সিদ্দি করতে ব্যস্ত এখন সকল চক্রান্তকারীরা। দেশীয় এবং বিদেশী চক্রান্তের আতাতে যেন কোন বড় ধরণের বিস্ফোরণ না ঘটে সেই দিকেই নজর রাখা এখন সকলের কর্তব্য।
সকল চক্রান্তের জাল ছিন্ন করার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। সেই জনগণ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকার এবং এর প্রাশাসন যন্ত্রও পারদর্শী এবং পরিক্ষিত। তারপরও বলতে হয় অতি আত্মবিশ^াসী হয়ে যেন অবচেতন মনের আনমনে ভাব বাস্তবে পরিলক্ষিত না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ বা দায়িত্বটুকু দৃঢ়তার সঙ্গে আন্তরিকভাবে বিশ^স্ততার মাপকাঠিতে রেখে সকল প্রলোভনের উদ্ধে উঠে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কি পেলাম আর কি হারালাম এই বিষয়টি বিবেচনায় না এনে বরং কি দিতে পারলাম এবং কি পারলাম না তার হিসেব কষে এগিয়ে যেতে হবে। কোথাও থামার সুযোগ নেই। থামলেই শেষ। আর এই শেষ হলো আমার মা, আমার দেশ, প্রীয় মার্তৃভুমি এই সুজলা সুফলা সোনার বাংলা, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এই দেশটাকে শেষ শব্দের বা উচ্চারণের সাথে আর যুক্ত করা যাবে না বরং এগিয়ে নিতে হবে দ্রুত থেকে দ্রুতলয়ে।
আমাদের দেশে যত চক্রান্তকারীরই আভিভাব হয়েছে তারা কিন্তু আজ বিচারের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বিচার কার্যকরের স্বাদ গ্রহণ কওে যাচ্ছে। আমাদের অতিত থেকে শিক্ষারও কমতি নেই কিন্তু বলতে লজ্ঝা হয় যে, সেই অতিত থেকে কেউ আর এখন শিক্ষা নিয়ে এগুয়না। বরং অতিত এবং বর্তমানকে ভুলে গিয়ে ভবিষ্যৎকে নিয়ে টানাটানি শুরুর শেষ পর্যন্ত দৌড়াতে ব্যস্ত। তবে সেই রেস বা দৌড়ে পড়াজিত হওয়ার দৃষ্টান্ত আজ সমাজের কাছে অজ¯্র। কারণ ডিজিটাল এই যুগে আর কোন সুযোগ নেই মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার। সকল কিছুই আজ প্রকাশিত হয়ে যায় অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে। তবে মিথ্যার প্রসার সাময়িকভাবে বেশী হলেও এর স্থায়ীত্ব এখন খুবই স্বল্প। স্বত্ত্বের স্থায়ীত্ব দিনকে দিন দীর্ঘায়ীত হচ্ছে এবং আগামী দিনের কল্যাণে খোদার প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফল ঘটে বাস্তবে স্থায়ী রুপ লাভ করছে।
আমাদের সমাজে মিথ্যার আর এক সংস্করণ হলো গুজব। এই গুজবে কান দেয়ারও প্রবণতা আমাদের বেশী। তবে এই গুজব নামক ধ্বংসাত্মক ব্যাধি থেকেও বের হওয়ার নানা রকম উপায় ও উপকরণ বর্তমানে সমাজ ও পরিবার এমনকি পরিবেশে বিরাজমান। আমরা দেখেছি অল্প সময়ের মাধ্যমে মিথ্যার গুজব রটানো হয় এবং সারা পৃথিবীতে মিডিয়ার মাধ্যমে এর প্রসার লাভ করে। মানুষ এবং অমানুষ উভয় শ্রেণীর হৃদয়পটে ঐ দানবীয় চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলো বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। তবে স্থায়ীত্ব খুবই কম; কারণ পাশাপাশি সত্যের প্রচারও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের উচিত সত্য ও মিথ্যা যাচায়ের সকল মানদন্ডগুলিকে সচল করে বিবেকের পরিচ্ছন্নতা এমনকি উন্নতি সাধণ করানো।
চক্রান্ত কারীদের চক্রান্ততো চলছেই; তারসঙ্গে আবার যুক্ত হচ্ছে নিজেদের সৃষ্টি মতপার্থক্য ও ভিন্ন মতের বিবেদগুলি। এই অবস্থার স্থায়ীত্ব দীর্ঘায়িত হতে দেয়া যাবে না বরং এর রেশ এখনই টেনে ধরতে হবে। নতুবা নতুন করে ঐ চক্রান্তকারীরা সুযোগ পাবে এবং ঐ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকল ভালকিছু এবং অর্জনগুলিকে ধ্বংস করে দিবে। তাই সচেতনতা এবং ঐক্যের সুদৃঢ় ভিত্তির কোন বিকল্প নেই। নিজেরা নিজেরা আর কোন বিভেদে না জড়িয়ে বরং বিভেদ এবং চক্রান্তকে সমুলে উৎপাটনে একযুগে কাজ করতে হবে।
বর্তমানে আরো একটি রোগ নতুন করে আবিস্কার হয়েছে। যা সমাজ ও সংস্কৃতি এবং কর্মপরিবেশ এমনকি উন্নয়ন কর্মকান্ডকে গতিমন্থর করে অন্ধকারে নিজজ্জিত করার শামিল। আমরা আবার এও দেখেছি যে, এই অতিকথনের ফলে শক্রর সুযোগ হয় সময়মত আঘাত করতে বা ঝোপ বুঝে কুপ দিতে। এও আবার দেখেছি এই অতি কথনের জন্য নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে। যা খারাপের পাল্লা ভারি করতেই প্রারঙ্গম। নানন ধরণের অতিকথন এবং এর বাস্তবায়ন কোন কোন সময় বিপদ ডেকে আনে আবার কখনো কখনো অতি কথনের বাস্তবায়ন অসম্ভব এমনকি বাস্তবে এর কোন রূপ নেই। তাই হিতে বিপরীত হয়ে ভালকিছুর প্রত্যাশাকে ভুমেরাং করে দেয়। তাই অতিকথনের অধিপত্য থেকে নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে, দেশকে, দলকে এবং সর্বোপরি সরকারকে রক্ষা করতে হবে। নতুবা বিশ^স্ততা এবং নির্ভরতা এমনকি আন্তরিকতার বিলুপ্তি ঘটবে।
ইদানিং আবার অবাস্তব অতিকথন ও অসম্ভব অনিয়ন্ত্রীত অতিকথনের প্রতিযোগীতা দেখা যাচ্ছে। যার লাগাম না টানলে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিপদসংকুল হুমকি হয়ে দাড়াবে। তাই আমাদের অবস্থান এবং ক্ষমতা ও বাস্তবায়নের চেষ্টা এমনকি ফলাফলের উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞতালব্দ অর্জনগুলি নিয়েই কথা বলা, চলা এবং বাস্তবে চিন্তা ও কাজের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নতুবা আরো বড়ধরণের কোন বিপদ আমাদের সুন্দর আগামী জীবনে জলোচ্ছাসের ন্যায় আঘাত করতে পারে। তাই সকলেই যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হয়ে অগ্রসর হউন এবং চক্রান্ত ও অতিকথন নির্ভরতা ও চর্চার ইতি টানুন।