তাজুল ইসলাম॥ আজব দুনিয়ায় এখন সবাই পয়সার পুজারি হয়ে সৃষ্টিকর্তার আদেশ ও নিষেধ প্রায় ভুলিয়া গিয়াছে। ফেরত যাবার সময় হয়েছে তবু পয়সার পুজা বন্ধ হয়নি এমনকি বিভিন্ন সমস্যার বেড়াজাল সৃষ্টি করা বন্ধ করেনি। প্রতি সপ্তাহে পত্রিকা বিলির জন্য পোষ্ট অফিস ব্যবহার করা হয় এবং সেই লক্ষ্যে ডিএ নাম্বার নিয়ে অর্ধেক খরচে (এক টাকায়) পত্রিকা পাঠানো হয়। কিন্তু বিধিবাম হলো পোষ্ট অফিস এবং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। মাঝে মাঝে সিল মারতে অনিহা এবং টাকা চেয়ে বসা। টাকা না দিলেই তৈরী হয় ঝামেলা… পত্রিকা সময়মত গ্রাহকের কাছে না পৌছানো। অর্ধেক সিল মারা আর অর্ধেক ফেলে দেয়া। আরও কতকি?
এই নিয়মের বেড়াজালে এখন সর্বশান্ত বা দিশেহারা গ্রাহক ও পরিবেশক বা প্রকাশক/ সম্পাদক। মাঝে মাঝে বিলির ক্ষেত্রেও ঘটে বিপত্তি। ডাক পিয়ন সাহেবরা পত্রিকা ঠিকভাবে গ্রাহকের ঠিকানায় পৌছান না। গ্রাহকের অভিযোগ তারা পত্রিকা সময়মত পায় না। কি করলে পাবে এরও কোন হদিছ মিলেনাই। মাঝে মাঝে গ্রাহক থেকে অনেক সংবাদ আসে যে, তারা পত্রিকটি রাস্তায় পেয়েছে। ডাক পিয়নের কাছ থেকে নয়। অনেকে বলে পোষ্ট মাষ্টার সাহেব বা ডাক পিয়স সাহেবতো জানেনই না পত্রিকা সম্পর্কে। এখন আমরা কোথায় যাব?
দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরো সচেতন হওয়া ডাক বিভাগের প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এখন ফরজে আইন হয়ে দাড়িয়েছে। নতুবা অধিক সুনামের অধিকারী আমাদের ডাক বিভাগ ডিজিটাল ছোয়ায় ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে।
সময় এখন ভাবার এবং প্রেরকের সন্তষ্টি এমনকি প্রাপকের অধিকার সুরক্ষা করার। তাই দয়া করে ঐতিহ্যবাহী ডাক বিভাগের সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে দায়িত্ব সচেতন হউন এবং আমাদের গর্ব ও বিশ্বাসকে শক্তি ও সাহস এবং নিশ্চয়তায় রূপদান করুন।