নতুন সরকার আসবে যা নির্বাচনকালীন ছোট সরকার হিসেবে সবার মুখে মুখে মুখরোচক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত নির্বাচনেও এমন সরকার দেখেছিল বাংলার জনগণ এবং প্রত্যক্ষও করেছিল এ সরকারের কাজ। তখন ঐ সরকার ছিল আতুর ঘর হয়ে বেড়ে উঠা সরকার। কিন্তু এবারের সরকার হবে পাকাপোক্ত সরকার। কারণ এক ট্রাম বা পিরিয়ড পার করে নতুন নয় পুরাতন হিসেবেই আগের ট্রার্মের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নিযুক্ত হবে। আর আগের সরকার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে এটাই বাস্তব। এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বা এখতিয়ার যা বিচক্ষণতায় ভরপুর কাজের স্বীকৃতি মিলবে অচিরেই। নতুন পুরানের সমন্বয় হয়ে ঘটিত হবে এই অভিজ্ঞ এবং সংকট উত্তরণের কান্ডারীর মাস্তুল। এই মাস্তুল এবং পালে হাওয়া লাগাবেন মহীয়সী নারী এবং বিশ্বের বিবেক ও বাঙালীর আশ্রয়স্থল জননন্দীনি বিশ্ব মানবতার মা বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা।
যখনই এই দেশে নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসে তখনই চক্রান্তের পালে হাওয়া দোলায় কতিপয় ভেজা বিড়াল প্রকৃতির লোভী শ্রেণী। এই শ্রেণী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় সংমিশ্রনেই হয়। তবে দেশীয় চক্রান্তকারীরা যদিও কোন সুবিধা করতে পারেনি কিন্তু সমস্যায় পানি ও ঘি ঢেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেশের ও দলের এবং সমাজের এমনিক পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। কোন কোন সময় বিদেশীরা ঐ সুযোগে নিজেদের আখের ঘুচিয়ে নিতে পিছপা হন না। তবে যাই হউক এবার এবং গত নির্বাচনের আগে ও পরে বিদেশী লোভাতুর শ্রেণীর তেমন কোন ফায়দা লুটার সুযোগ হয় নি তাই বলে যে, এবারও হবে না তা কিন্তু নয়। ইতোমধ্যে ঐ শ্রেণী তাদের চমক আড়ালে থেকে এমনকি প্রকাশ্যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন।
বিদেশী কুটনৈতিক তৎপরতায় যে জোয়ার ভাটা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে তাতে কিন্তু সামনের দিনের ভয়াবহতার আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে বিচক্ষণতা এবং অর্থ লগ্নি করে যদি ঐ ভয়াবহতা রোধ করা যায় তাহলে ভাল। ঐ ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি করার প্রয়াসে এক শ্রেণীর দেশীয় দেশ বিরুধী চক্র তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার লক্ষে দ্বিগুণ পরিমানে অর্থ লগ্নি করে যাচ্ছে। যা বিভিন্ন দৈনিক এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই প্রকাশিত হওয়াই কি যথেষ্ট? না এই চক্রান্ত প্রতিহত করতে হলে ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা অটুট রাখতে হবে। জনগণ + দল + সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে ঐ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত প্রতিহত হবে।
এই দেশীয় ভুল পথের কিছু রাজনৈতিক দল তাদের মত ও পথ প্রসস্থ করণের হাতিয়ার হিসেবে কিছু বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর মানুষদেরকে আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যবহার করে যাচ্ছে। তবে ভারতের ইতিবাচক সহযোগীতা নির্ভর অক্লান্ত শ্রমের ফসল হলো বাংলাদেশে স্থীতিশীল সরকার। আবারো এই স্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে ভারতের ভুমিকা অনস্বিকার্য্য। কিন্তু সেই ভারতের সঙ্গে দ্বন্ধ বা ভুল বোঝাবোঝির চূড়ান্ত ছক এটেছেন মোড়ল রাজা এবং তাদের দোসররা। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একজন স্বঘোষিত জ্ঞানী এবং ড. সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি ভারত লবিং শুরু করেছেন এবং চীন উপমাতে ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি করাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্রীয় প্রধানের প্রাজ্ঞতায় এযাত্রায় ঐ দূরত্ব কাটিয়ে ওঠে স্বস্তির এক অবস্থান বিরাজমান রাখতে সক্ষম হয়েছেও বটে, তবে আগামীতে আরো নতুন নতুন চক্রান্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুতি নিতে হবে।
সদ্য জাতিসংঘে নালিশ এবং আমেরীকায় লবিং নিয়োগসহ নানান বিষয় মিডিয়ার মাধ্যমে জনসম্মক্ষে এসেছে। তাই চিন্তা করতে হবে ঐ বিষয়গুলি নিয়ে। ইদানিং দেখা যায় কূটনীতিক তার কুটনীতি ছেড়ে অন্য দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এবং নিলর্জ্জ্বভাবে সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনাও করছে। সেই আলোচনায় আবার বিরুধী দলের উপাধিও পাচ্ছে। তাই সাবধান হয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এগিয়ে যেতে হবে। বোকার স্বর্গে বসবাস করার সময় এখন আর নেই। চিন্তা ও কাজের সমন্বয় এবং মেধার উর্বর বিচক্ষণতা দেখানোর সময় এখনই।
বিভিন্ন মহলের হুমকি ও ধমকি যে, ছোট সরকার আসলে সরকার পতনের বাশি বাজাবে এবং চূড়ান্ত রূপ আন্দোলন ঘটিয়ে সরকার খটাঁবে। এইসব যদিও মিথ্যা গুজব তারপরও সজাগ থেকে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগুতে হবে। জাতীয় ঐক্য, বিশ দলীয় জোট, এমনকি দেশী বিদেশী ঐক্য সবই প্রতিহত করতে হবে নিরব ও ঠান্ডা মাথার বুদ্ধি দিয়ে। আগামী একশ বছরের পরিকল্পনার ন্যায় সকল কুটকৌশল পরাজিত করে এগিয়ে যেতে হবে। আইন, আদালত এবং সরকার ও দল আরো আন্তরিক হয়ে দলীয় সমর্থক থেকে শুরু করে শুভাকাংখী পর্যন্ত প্রত্যেককে কাজে লাগাতে হবে; মাঠে নামাতে হতে ঐ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায়। নতুবা আগামীর উন্নয়ন ধুলিসাৎ হতে পারে। দেশীয় জনতা এবং দলীয় আমেজ ও সরকারের সকল শাখা প্রশাখাগুলি যদি সঠিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে তাহলে আর কোন শক্তিই ছোবল মেরে সফল হতে পারবে না। তবে আমাদের ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সকল প্রতিবদ্ধকতা দূর করে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়।
দলীয় লোক বা সমর্থক যারা দলীয় ক্ষমতাসীনের করা মামলার স্বীকারে পরিণত তাদের এখনই মামলা প্রত্যাহার করে দলীয় ঐক্যে আগামীর মজবুত ভিত্তির গাথুনী হিসেবে কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয়া ফরজে আইন হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। যারা মামলা হামলা ও শত নির্যাতনে দলের কান্ডারী বা দলের প্রতি বিশ্বস্ত তাদেরকে কাজে লাগিয়ে শক্তির বলয় বাড়ানো সময়ের দাবি। আশা করি দলের সকলই একই ঐক্যের ছায়াতলে হাজির হয়ে বৃহত্তর কল্যাণের তরে নিবেদিত হবে।
ইদানিং দেশীয় চক্রান্তের চেয়ে বিদেশী চক্রান্তই বেশী প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। কথায় আছে বিদেশী চক্রান্তের ফসল হিসেবে জামাত এবং বিএনপি আজ ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে। আর শেষটুকু শেষ করে আবার যেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐ অবস্থান নিতে না পারে কতিপয় মাথা মোটা মানুষের কল্যাণের তরে, তার দিকে নজর দিতে হবে। নতুবা ঐ মাথামোটা মানুষগুলি ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহত ক্ষতি সাধিত করে দেশকে নিমজ্জ্বিত করবে অন্ধকারের গহ্বরে। আসুন সাজাগ থাকি নতুন নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন নিয়ে। সকল ষঢ়যন্ত্র প্রতিহতে প্রস্তুতি নিই। নির্বাচন কালীন সরকার এবং সংবিধান সমুন্নত রাখতে এমনকি উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রত্যেকে নিজ নিজ ভুমিকা পালন করি।