ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় ২ ছিনতাইকারীকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করলেও ৩দিন পর ১ জনকে ছেড়ে দিয়ে অপর জনকে কোর্টে চালান করেছে পুলিশ। জানা যায়, কসবা পৌর এলাকার তারাপুর গ্রামের রিক্সা চালক কবির হোসেন গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধার পর কসবা থেকে ২ যাত্রীকে নিয়ে চন্দ্রপুর গ্রামে যাওয়ার পথে চাপিয়া রেলক্রসিং পার হয়ে ঈদগার পাশে গেলে ওই দুই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী তার গলায় ছুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করে হাত পা বেধে তার ব্যাটারি চালিত রিক্সাটি ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতেই স্থানীয়রা তাকে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
যাত্রীবেশী দুই ছিনতাইকারী রিক্সার যন্ত্রাদি খুলে রাতেই বিক্রীর সময় উপজেলার বায়েক চৌমূহনীতে ওই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বারু মেম্বারসহ এলাকার লোকজন ২ ছিনতাইকারীকে আটক করে এবং কসবা থানায় সোপর্দ করে। আটক দুই ছিনতাইকরী হলো, তেতৈয়া গ্রামের খলিল মিয়ার পুত্র পারভেজ (৩৫) ও মানিক মিয়ার পুত্র বাবু (৩২)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩দিন থানায় আটক রাখার পর পারভেজকে রহস্যজনক ভাবে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে ছেড়ে দেয়। অপরদিকে বাবুকে ১০ সেপ্টেম্বর কোর্টে চালান দেয়া হয়। কবির হোসেন জানায় তার রিক্সাটি নরবরে অবস্থায় সে পেয়েছে। ওয়ার্কশপে রিক্সাটি পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। সে আক্ষেপ করে বলেন, ‘গরীব মানুষ, রিক্সা চালিয়ে ভাত খাই রিক্সা ফেরত পেয়েছি আর কিছু বলতে চাই না। অভিযোগ দিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বাদী কোন অভিযোগ করেনি। তাই একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে অপর জনকে পুরানো মামলায় চালান দেয়া হয়েছে। বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার বারু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।