বিজলির আলোয় নিভে গেছে রাতের পিদিম

Bijlir alo neva galoপ্রশান্তি ডেক্স॥ জাফর ওয়াজেদ হায় আমাদের গ্রামগুলো আর গ্রাম নেই। রাতের আলোর রোশনাইয়ে হারিয়ে গিয়েছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। জোনাকিরা আর জ্বলে না নিভু নিভু অন্ধকার ঠেলে ভীরু ভীরু ডানা মেলে। কুপি বাতির আলোয় হেঁসেলে আর হয় না রান্না। লণ্ঠন হাতে হাটুরেরা হয় না ঘরমুখো। অন্ধকার রাস্তায় ভরা বর্ষায় কাদামাটিতে পিছলে পড়ার ঘটনা আর শোনা যায় না। অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে এঘর থেকে ওঘরে যাবার দিনরাত ফুরিয়ে গেছে বহু আগে। হ্যারিকেনের আলোয় শিক্ষার্থীর রাত জেগে পড়াশোনার দৃশ্যপট গেছে বদলে। কেরোসিনের জন্য হাপিত্যেশ করতে হয় না আর। জমিতে সেচের জন্য পুরনো পন্থা হয় না অবলম্বন করা। গ্রামের প্রায় ঘরে টিভি। টিভি মানেই ডিস সংযোগ, মোবাইলের ব্যাটারি রিচাজের জন্য ধকল পোহানো গেছে বন্ধ হয়ে। হয় না অন্যের দ্বারস্থ হতে। শ্যাওড়া বা তেঁতুলগাছে ভূতেরা আর নড়ে চড়ে ওঠে না রাত্রি অন্ধকারের আড়ালে। মোমবাতির আলোয় প্রার্থনা গৃহে উপাসনারত মানুষের পুরনো দৃশ্যপট বদলে গেছে। আসলে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বদলে গেছে তার গ্রাম-গঞ্জ শহর-নগর। রাতের অন্ধকারে জানালার ফাঁক গলে চাঁদের আলো এসে লুটোপুটি খাবার সেই দৃশ্য কোথায় যে হারিয়ে গেছে। গ্রামীণ জীবন মূলত বদলে গেছে গত এক দশকেই। আলোর মশাল দিকে দিকে জ্বলে ওঠে রাতের অন্ধকার ভেদ করে। গ্রামগুলো শুধু নয়, মফস্বল শহর কিংবা খোদ রাজধানী যেন গেয়ে ওঠে, ‘আলো আমার আলো ওগো আলো ভুবন ভরা/ আলো নয়নভরা আমার আলো হৃদয় হরা।’ আসলেই আলোকিত হয়ে উঠেছে সবকিছু। আলোময় জীবন এসে ঘুচিয়ে দিয়ে গেছে অন্ধকারের সব কারসাজি। পিদিম জ্বলা রাতের বেলা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমন পাওয়া যায় না কুপির বাতির আলোর শিখায় কেঁপে ওঠা মাটি বা বেড়ার ঘরগুলোর চারপাশ। সবাই যেন বুঝি আজ আলোর পথযাত্রী। ঘুচিয়ে দিতে চায় জমকালো রাত্রি। অন্ধকার এসে ছেয়ে ফেলে না চারধার। আঁধারে জ্বালাতে হয় না আর নিশিথের প্রদীপ বাতি। ‘জ্বালাইয়া চান্দের বাতি, জেগে রবো সারারাতি’ বলে শচীন কর্তার গান দূর বিস্মৃত বুঝি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। আলোকের এই ঝর্ণাধারায় রাঙিয়ে দিতে ঘরে ঘরে আজ বিজলি বাতি। এনে দিয়েছে আলোময় জীবনে প্রশান্তির বাতাবরণ। এক দশক আগেও জোনাক জ্বলা সাঁঝের বেলার যে দৃশ্যরূপ প্রতিভাত হতো, তা আজ কেবলই স্মৃতি। যদিও স্মৃতি সততই সুখের। কিন্তু সুখের অপর পিঠেও রয়েছে বেদনার ভার। রেড়ির তেলে সলতে ভিজিয়ে বাতি জ্বালানো- সে কবেকার কথা। কারও মনেও আসে না। আসার কথাও নয়। কারণ এমন দৃশ্য প্রত্যক্ষকারীরা আর নেই ইহলোকে। শুধু সাহিত্যে তার বর্ণনা মেলে। সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে দেয়ার সেই জীবন আজ দূরঅস্ত ক্রমশ। সুনসান আলোয় রেঙে উঠছে রাতের জীবন।
বিজলি বাতি চমকে উঠছে আজ প্রত্যন্ত এলাকায়ও। ‘বিদ্যুতের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো’ স্লোগান যেন মূর্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশে। প্রতি ঘর ভরে গেছে বিদ্যুতের আলোয়। বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় আলোকিত আজ দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে। সেকালের কাব্যে ও গদ্যে লণ্ঠন, কুপি, প্রদীপ, পিদিম, পিলসুজ উঠে এসেছে নানাভাবে। জীবনযাপনের অংশ ছিল এসব। পূর্ণিমার চাঁদ যেন আজ প্রতি ঘরে ভরে দিতে চায় আলোয় বিজলি বাতি হয়ে। আকাশে যে খেলা হতো বিদ্যুতের, সেই বিদ্যুত মানুষের হাতের মুঠোয় এসে অবশেষে দীর্ঘস্থায়ী আলোর মালায় সাজিয়ে নেয় নিজেকেই। এই বিদ্যুতের আলো এসে গ্রাম বাংলার সহস্র বছরের রূপটাকেই একেবারে অমূল পাল্টে দিতে উদগ্রীব। তাই দেখা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম মুন্নিয়ারচর এলাকার জীবন হয়ে গেছে অন্যরকম। গত বছরের ডিসেম্বরে এই চর বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় এসেছে। মূল ভূখ থেকে বিচ্ছিন্ন এই চরের একশটিরও বেশি পরিবার ও ষাটটির মতো দোকান খুব কম খরচে সৌরবিদ্যুত ব্যবহার করতে পারছে। এই চরাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে বিদ্যুত। এই চরের বাসিন্দারা বলেছেনও, ‘সন্ধ্য নামার সঙ্গে সঙ্গে এখানে মানুষের জীবনও নিস্তেজ, নিস্তরঙ্গ ও অন্ধকার হয়ে যেত। গোটা দেশ ও বিশ্বভুবন থেকে তারা কার্যত ছিল বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুতহীন জীবনের গতি ছিল শ্লথ। কর্মহীনতার অসহনীয় মুহূর্তগুলো পীড়ন দিত। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার যে জীবন ছিল এই বাংলায়, সে জীবন এখন কেবলই রূপকথা যেন। বরং সেদিন যেন আর ফিরে না আসে সেই ভাবনায় জারিত মানুষ আজ। মুন্নিয়ার চরের মানুষের জীবনের গতি ও আবেগ। এখন সন্ধ্যার পরও গৃহস্থালির কাজ করতে পারে কোন ঝামেলাই ছাড়া। ছেলেমেয়েরা নিভু নিভু কুপির আলোয় আর পড়াশোনা করে না স্বল্প সময় ধরে। এখন অনেক রাত জেগে তারা বিদ্যার্জন করে। টেলিভিশন দেখে। মোবাইল ফোনগুলো চার্জ করার ক্ষেত্রেও পোহাতে হয় না ঝকমারি। ঘরে বসেই তা সম্পন্ন করতে পারে। কোন কোন বাড়িতে রাত জেগে তাঁত বুনে তাঁতিরা। বিদ্যুতের আলোয় সুতো চেনা খুব সহজ হয়ে গেছে তাদের জন্য। কুমিল্লার চান্দিনার গ্রামগুলোতে দশ-বারো বছর আগে কেবলই দেখা গেছে বিদ্যুতের খাম্বা। কিন্তু বিদ্যুতের তার আর সংযোজিত হয়নি। সেই ‘খাম্বা কাহিনী’ বিস্তুত হয়েছে ‘তিন উদ্দিনের’ দুই বছরের শাসনকালে। তাদের আগে ছিল যারা শাসন ক্ষমতায়, তাদেরই চালু করা হাওয়া ভবনের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘খাম্বা’ বসানোর নামে অঢেল টাকার দুর্নীতি হয়ে গেছে। দুর্নীতির নায়কের নামই তো প্রচলিত ছিল ‘খাম্বা মামুন।’ এই দুর্নীতির দায়ে কারাগারে কাটে তার আলো-আঁধারির জীবন। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুতহীনতার বিপরীতে বিদ্যুতের মায়াডোরে বেঁধেছেন দেশের মানুষকে। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছানোর প্রাণান্তকর প্রয়াস চলছে। বিদ্যুতবিহীন কোন ঘরবাড়ি যেন আর না থাকে। সেই স্বপ্ন পূরণের দিনরাত যেন সমাগত। বিদ্যুতে দেশ হয়ে উঠছে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নয় বছরের বাংলাদেশে বিদ্যুতের আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। এ সময়ে বিদ্যুতের গ্রাহক বেড়েছে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ হারে। যা আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। এতে বিশ্বে দ্রুত বিদ্যুত সংযোগ প্রদানকারী শীর্ষ বিশটি দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। অর্থাৎ এই সময়ে দেশের প্রায় চল্লিশ শতাংশ মানুষের পরিবার প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি দেশের প্রায় নব্বই শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছে। বর্তমানে দেশের নব্বই ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নতুন এক কোটি ৮০ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুত সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ২০০৯ সালে সারাদেশে এক কোটি আট লাখ গ্রাহক বিদ্যুত পেত, যা ২০১৮ সালে এসে বেড়ে দুই কোটি ৮৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০৫ সালে বাংলাদেশের ছয় কোটি ৩৪ লাখ মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পেতেন। যা আবার নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। ‘লোডশেডিং’-এর মাত্রা এতই তীব্র ছিল যে, গ্রামাঞ্চলে প্রায়শই বিদ্যুতের দেখা মিলত না। গত তেরো বছরে এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল তথা আট বছরে বিদ্যুতের আওতায় এসেছেন চার কোটি ত্রিশ লাখ মানুষ। এর আগের আট বছরে তথা ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৯৭ লাখ। গত এক দশকে শহরে বিদ্যুতের পরিধি বেড়েছে। ২০১৮ সালে শহরের প্রায় সব মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০০৫ সালে ছিল যা পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি। ওই সময়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ মাত্র পেত বিদ্যুত সুবিধা। এক হিসেবে দেখা গেছে, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিদ্যুত ছিল মাত্র এক হাজার ছয় শ’ মেগাওয়াট। চারদিকে হাহাকার। এক বেলা থাকে তো অপর বেলায় লোডশেডিং। দেশের অধিকাংশ মানুষের ঘরে আলো ছিল না। জীবনের গতি তাই ছিল শ্লথ। গ্রীষ্মে কষ্টকর অবস্থা পাড়ি দিতে হয়েছে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে। মানুষ দেখেছে কেবলই বিদ্যুতেরই নীলাখেলা। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম আইন করে বেসরকারী খাতে বিদ্যুত উৎপাদন চালু করেন এবং বেসরকারী খাতকে উন্মুক্ত করে দেন। ফলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ১৬০০ থেকে বিদ্যুত উৎপাদন চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই সঙ্গে জেনারেটরের উপর সব ধরনের কর বাতিল করেন। শিল্প কারখানার মালিকদের নিজদের বিদ্যুত উৎপাদনের সুযোগ করে দেন। সেই বিদ্যুত আশপাশে বিক্রি করার জন্য গ্রিড লাইন ভাড়া দেয়ার ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ২০০১ সাল থেকে দেশকে বিদ্যুতবিহীন ভুতুড়ে অবস্থায় নিয়ে যেতে অপচেষ্টা চালায়। শেখ হাসিনা যে পরিমাণ বিদ্যুত রেখে গিয়েছিলেন তা কমে তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়ে গেছে। পাঁচ বছরে কোন দেশ এভাবে পিছিয়ে যেতে পারে, ভাবা যায় না। কেবলই খাম্বা দেখা গেছে, আলোর ঝলকানি আর মিলেনি। গত দশ বছরে শেখ হাসিনা ‘লোড শেডিং’ শব্দটি মুছে দিতে পেরেছেন। সাংবাদিকতার জীবনে এই শব্দটি বহুবার লিখতে হয়েছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে মানুষকে। ১৯৯১ সালে বিএনপির শাসনামলে কখন বিদ্যুত আসবে, আর কখন যাবে সে নিয়ে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তায় কাটাত মানুষ। তখন একমাত্র টিভি কেন্দ্র ছিল বিটিভি। সাপ্তাহিক নাটক ও বাংলা সিনেমার দর্শক ছিল প্রচুর। নাটক বা সিনেমা চলাকালে বিদ্যুতের চলে যাওয়া ছিল নিত্যনৈমত্তিক। দর্শক তিতিবিরক্ত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতেন। বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় মিছিল বের হতো। বিদ্যুত কেন্দ্রে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নাটক শেষ হওয়ার আগে বিদ্যুত ফিরে এলে ঘরে ঘরে হৈ চৈ পড়ে যেত, ‘এসেছে এসেছে’ বলে গলা হাঁকাত কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা। কী কঠিন দুঃসহ অবস্থা পাড়ি দিতে হয়েছে এদেশের শহরবাসীকে। শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের জীবন থেকে হাতপাখা, টানা পাখাকে স্মৃতিতে পরিণত করেছেন। অন্তহীন অন্ধকার থেকে মানুষকে তুলে এনেছেন আলোকময় জগতে। দেশ আজ বিদ্যুতের আলোয় উদ্ভাসিত। বিদ্যুত উৎপাদনে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। মংলা, পায়রা, মাতারবাড়ি, বরগুনাতে তৈরি হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র। সরকারী-বেসরকারীভাবে গত এক দশকে বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। কতিপয় সুশীল নামধারী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ বিরোধী। বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট নিশানবাড়িয়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে আইসোটোপ ইলেকট্রোফিকেশন কোম্পানি নির্মিত বিদ্যুত কেন্দ্র। বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামে পরিচালিত প্রকল্পটি ২০২২ সাল থেকে উৎপাদনে যাবে। তাতে শুরু হলে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদিত হবে। কিন্তু এই প্রকল্প নির্মাণেও আসছে বাধা। সুন্দরবন থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করছে সুশীল নামধারীরা। তারা চায় না দেশের ঘরে ঘরে জ্বলুক বিদ্যুতের আলো। চায় মানুষ থাকুক অন্ধকারে; অনগ্রসরতায় হোক নিমজ্জিত। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয় না, তা চীন ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে। আলোর ঝলকানিতে ঝলমল করে উঠুক দেশ। জ্বলুক মানুষের চিত্ত আলোর ইশারায়। আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন হওয়া মানে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে দ্রুত উন্নীত হবে। আলো হাতে শেখ হাসিনা এগিয়ে আসবেন, আর বাংলার প্রতিঘর হয়ে উঠবে আলোয় আলোকিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.