কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ সারাদেশে মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে দীর্ঘদিন ধরে। র্যাব পুলিশের অভিযানে সারাদেশে বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাশয়ী হলেও কসবায় মাদকের গডফাদারদের ধরার বিষয়ে পুলিশী তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক না থাকায় অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা। গত দুদিনে ১৮৬ কেজি গাজা সহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মৃনাল দেবনাথের সাথে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা রয়েছে। ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশী অভিযানে ২/৪টি মাদকের চালান ধরা পড়লেও অধিকাংশ সময়ে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন শহরে পাচার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়; গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গত শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের কামালপুর নামক স্থানে তল্লাশী চালিয়ে মাইক্রোবাসে ভর্তি ১৮০ কেজি গাজা সহ ৩ মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে উপজেলার কামালপুর গ্রামের জাকির হোসেন (২৫), নরসিংদী জেলার রায়পুরা গ্রামের সিয়াম (২৩), কুমিল্লার দেবিদ্বারের রিপন (৩০)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও গত শুক্রবার বিকেলে কসবা পৌর এলাকা থেকে ৬ কেজি গাজা সহ পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামের ইসমাইল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকার মাদকের গডফাদারদের বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক জানান; এলাকার অধিকাংশ গডফাদার গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপন করেছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন উদ্ধার হওয়া ১৮০ কেজি গাজার প্রকৃত মালিক উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের রাজভল্লবপুর গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর পুত্র রুহুল আমিন। তাকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।