কসবায় সিআইডি সোর্স হারুন হত্যা সিআইডি দারোগা আলী আজ্জম সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

রুবেল আহাম্মদ, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ কসবায় সিআইডি সোর্স হারুন হত্যার বিচার চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা বেগম গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত সূত্রে জানা যায়, সিআইডির একজন দারোগা সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলা আমলে নিয়ে কসবা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রকাশ গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর হারুনের মৃতদেহ সীমান্তবর্তী চকবস্তা গ্রামে রেল লাইনের পাশে পড়ে আছে খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ সনাক্ত করে। রাত ১১টায় আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা সিআইডির দারোগা (কুমিল্লায় কর্মরত) আলী আজ্জম সহ কতিপয় চোরাকারবারী সান্টিং ইঞ্জিনের সাথে লেগে সোর্স হারুন নিহত হয়েছে এমন ঘটনার কথা প্রচার করে। সিআইডি দারোগা আলী আজ্জম স্থানীয় স্াংবাদিকদের এটিএন, এনটিভি সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে দ্রুত সংবাদ দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্ত লাশের অবস্থা দেখে নিহতের স্ত্রী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীরা ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় হারুন মারা যায়নি এটা নিশ্চিত হয়। রেলওয়ে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টেও দেখা যায় মাথার পিছনে একটি গভীর জখম ও পেটে থেতলানো দাগ। নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান; তার স্বামীর সাথে ভূমি দস্যুদের সাথে বিরোধ রয়েছে। এ সকল ভূমি দস্যুরা মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এরা তার স্বামীর ধ্বজনগরের বাড়ির জায়গা এবং কসবা পৌর এলাকার তার বাপের বাড়ির জমি জবরদখল করে রেখেছে।
এদের সাথে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। হাসিনা বেগম জানায়,সিআইডি’র দারোগা আলী আজ্জম তার স্বামীকে কসবার বাড়ি থেকে খবর দিয়ে নিয়ে আসামীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। পরে হারুনের মৃতদেহ সীমান্তবর্তী চকবস্তা এলাকায় রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে সান্টিং ইঞ্জিনের সাথে ধাক্কা লেগেছে বলে প্রচার করে যার কোনো প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী নেই। এদিকে সান্টিং ইঞ্জিনের চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় তার ইঞ্জিনের সাথে কোনো মানুষের ধাক্কা লাগেনি। বিষয়টি বানোয়াট গল্প। ব্রাহ্মবাড়িয়া সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট বের হতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। হারুন হত্যা মামলার বর্নিত আসামীরা হলো: সিআইডি’র দারোগা আলী আজ্জম (৪৫), বাছির মিয়া (৩০), সুমন (৩৪), কামাল মিয়া (৪৫), ইউসুফ মিয়া (৪৫), মোখলেস (৫২), মোছলেম মিয়া ( ৫০), আউয়াল ( ৫৬), জাহিদুল ইসলাম (৪০), শাহ আলম (৪০) সহ আরো ৩/৪ অজ্ঞাত আসামী। জানা যায় মামলার সকল আসামীই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানায়; আসামীদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার স্বামী হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.