ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ মিথ্যা মামলা দিয়ে কসবায় জসীম উদ্দিন নামক এক ব্যবসায়ীকে বার বার হয়রানী করছে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য পরিচয়দানকারী মো. মোসাদ্দেক আলী নামক এক ব্যক্তি। মোসাদ্দেক আলী দেশের বিভিন্ন জেলায় আদালতে বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে জসীম উদ্দিন সহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে জসীম উদ্দিন গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মো. জসিম উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে দায়ের করা মামলা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেংগে পড়ে। জসিম বলেন ২০১৩ সালে ঢাকা সিএমএম কোর্টে ফৌজদারী দন্ডবিধি আইনে ১০৭ ধারা তাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করে মোসাদ্দেক। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দিলে জসিম উদ্দিনকে আদালত অব্যাহতি দেন। আমি চিনিনা যে লোকটিকে এমনকি কোনদিন দেখিওনি সে কেন আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে আমি বুঝতে পারছিনা। ২য় মামলাটি ২০১৩ সালে ঢাকা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৭/১১৭ সি। ২০১৪ সালে গাজিপুর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ২৪০ যার টংগী থানা মামলা নং ০৯, তারিখ- ৫/৮/২০১৪ আদালতে ফৌ. দ.বি. ১০০ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করে। খুলনা বাগেরহাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলাটি বাদী মোকাবেলা না করায় মামলাটি খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। একটি মামলায় তার ছেলেকেও আমার সাথে আসামী করেছে। উল্লেখিত মামলার ৪টির মধ্যে ৩টি মামলা থেকে আদালত অব্যাহিত দিয়েছে। জসিম উদ্দিন জানান, একের পর এক মামলার বাদী মোসাদ্দেক আলী কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বারেশ্বর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার পুত্র। মামলায় সে একজন সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত (কর্পোরাল) সদস্য উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগি জসিম উদ্দিন মিথ্যা মামলাজনিত হয়রানী থেকে রেহাই পেতে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্টমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।