আমাদের দেশের রাজনীতি যুগে যুগে কলূষিত হয়েছে আবার স্ব মহিমা ফিরেও পেয়েছে। ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক রক্ত ঝরাতে হয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, বিশেষ করে জাতিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু কলূষিত হওয়ার জন্য কোন ত্যাগ বা মূল্য দিতে হয়নি। বরং ঐ কলুষিত হওয়ার পিছনে জাতিকে হারাতে হয়েছে তার দিশা এবং আশা ও ভরসার সকল আশ্রয়স্থল। তারপরও পৃথিবীর ধারাবাহিকতায় নিয়তির পরিক্রমায় এগিয়ে যেতে হবে এবং পূর্বেও হয়েছে। সেই পরিক্রমাই আমাদের দেশের রাজনীতি এবং জনসেবা ও দেশ পরিচালনায় এসেছে নতুনত্য এবং জাতিকে উপহার দিয়েছে এক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন উন্নয়ন নির্ভর উন্নত জীবন মানের দিশা। সেই দিশাই এখন লেগেছে হাওয়া, উড়ছে দিগন্ত থেকে দিগন্তের স্পর্শ ছুয়ে নতুন এক সাম্য ও ন্যায় নীতির আদর্শীক সহাবস্থান নির্ভর স্থিতিশীল বাংলাদেশ উপহার দেয়ার প্রত্যয়ে।
এই বাংলাদেশকে অনেকেই সহ্য করতে পারছে না এমনকি এই বাংলাদেশ বিনির্মানে যারা নিয়োজিত তাদের অস্তিত্ব বিলীন করতে প্রায় মরিয়া। এখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত সক্রিয়। সেই চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছে এদেশীয় কিছু ঘুণেধরা পরীক্ষিত দূর্নীতিবাজ কলংকিত এবং জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত দেশ বিরোধী চক্র। এরা সুযোগ পেলেই মাথা চারা দিয়ে উঠে। বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্বে তাদের মাথা গরম থাকে কিভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার মসনদ দখল করতে পারে। কিন্তু কখনো কখনো তাদের চক্রান্ত সফল হয়েছেও বটে। আবার কখনো কখনো হয় নাই। না হওয়ার পিছনের রহস্য হলো আমাদের সাধারণের সচেতনতা এবং ঐক্য ও প্রতিরোধ। যখন সফল হয়েছে তখন আমাদেরকে ঘুমের ঘুরে বেহুশ বানিয়ে তারা ক্ষমতার মসনদে বসেছে। তবে জাতি বেশীদিন তাদেরকে সহ্য করেনি অথবা সুযোগ দেয়নি।
এইতো তাদেরই সেই পরাক্রমাই গঠিত হচ্ছে নতুন জোট। ঐ জোটে কে আছে আর কেইবা থাকবে তার সবই এখন খোলাসা। কিন্তু শুধুকি জোট বেধেই তারা ক্ষান্ত? না বড় এবং ভয়ানক এক চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। তবে ঐ চক্রান্তে জনগণ নেই; তবে রয়েছে তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাসী এবং ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়ানো ভুভুক্ষ মানুষগুলো। যাদের বিবেক বোধ অনেক আগেই অষাঢ় হয়ে গিয়েছে। বাংলার অসহায় মানুষদের পুজি করেই তাদের জীবন মান এবং আগামীর পরিকল্পনা। রক্তচোষা ঐ মানুষগুলো যদি একবার ক্ষমতার স্বাদ পায় তাহলে এই দেশের বারোটা বাজানো এবং তাদের আখের ঘুচানোর মহোৎসব পরিচালনায় নিভে যাবে বাংলার আকাশের উদিয়মান সূর্য্যরে লেলিখান দ্বিপশিখা।
কেউ কি কোনদিন একটি দৃষ্টান্ত দিতে পারবে ঐ মানুষগুলো দ্বারা বাংলা এবং বাংলার জনগণের কোন উপকার হয়েছে? না হয়নি বরং হয়েছে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উপকার এবং তাদের তৈরী ভদ্রবেশী বুদ্ধিবেশ্যা শ্রেণীর উপকার। কিন্তু সেই উপকারভোগীরা সময়ে সময়ে গা ঝাড়া দিয়ে মাতাচাড়া দিতে চায় কিন্তু আইডে কোলোয় না। তাই নির্বাচন পুর্বে কিছু একটা করার নিমিত্ত্বে দৌঁড়ঝাপ করে। এই ক্ষেত্রে আমাদের ড. ও ডা. দ্বয় এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবার মহামারি সৃষ্টিকারী পর্দার আড়ালের দল জামাত ও স্ব ঘোষিত ড. তারেক জিয়া (যিনি প্রকাশ্যে থেকেও পলাতক); আরো যুক্ত হয়েছে কিছু উপড়ে ফেলা আগাছা; যারা কিনা সকল সময়ের সুযোগ সন্ধানী হিসেবে পরিচিত এবং জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। তবে এবার যে চক্রান্ত বুনেছে তা প্রকারান্তরে প্রকাশ পেয়েছে এবং আগামীতে আরো পাবে।
একজন বিচারপতি যিনি সকলের শ্রদ্ধার অগ্রজে ছিলেন এবং থাকতেন। কিন্তু কালের পরিক্রমাই আজ ঘৃণাতে পর্যবসীত হয়েছেন স্বগুণে। সেই বিচারপতির বিচার করার আমি কেউ নয় তবে তারও একজন বিচারক ছিলেন এবং আছেন। আর ছিলেন ও আছেন বিধায় তিনি তাকে আজ বাস্তবে উপলব্দি করার সুযোগ দিয়েছেন। কুলিল্লা হুম মালিকিল মুলকি … তুতিল মুলকি মিম মানতা শাও। ওয়াতা ইজ্জ মানতাশা বিয়াদিকাল খায়ের… সকালে বাদশা ও বিকেলে ফকিরের কাহিনীতে বাস্তবে রূপদান করে। তবে তিনি যা করেছেন ভাল তার স্বীকৃতী পাবেন আর যা করেছে মন্দ তার প্রাপ্যও পেয়ে যাচ্ছেন। তবে আবারো সুযোগ ছিল সামনে এগিয়ে এসে দেশের কল্যাণের তরে নিজেকে নিয়োজিত করার। কিন্তু তিনিও সেই পুর্বসূরীদের দেখানো ধারাবাহিকতায়ই গ্যা ভাসিয়ে দিলেন। ইদানিং ওনার লিখা একটি বই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তা হতেই পারে। তবে এই বই নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। একজন স্বাধীন মানুষ ভাল ও মন্দ সবই লিখতে পারে এমনকি মিথ্যার আশ্রয়ও নিতে পারে। সুতরাং সময়ের উপর ছেড়ে দিলেই ঐ মিথ্যা বায়োগ্রাফী দুগন্ধে সামিল হবে। আরেকটি কথা হলো ঐ বইতে কি লিখা তা জানার জন্য জাতির কোন আগ্রহ নেই তেমনি আমারও নেই। তবে ফেসবুকে বা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যা জেনেছি তা খুবই দু:খজনক।
তবে ফেসবুকে একটি ইন্টারভিউ দেখেছি; যা দেখে বিচারপতি মহোদয়কে ঘৃণা করতে মন থেকে চেতনা আসছে। নিজে না চাইলেও তার প্রতি ঘৃণা পর্যবসিত হচ্ছে। তিনি একজন শিক্ষীত মানুষ হয়ে যেসকল আনাড়ি কথা বলেছেন তা খুবই বাতুলতা। আমার চার বছরের মেয়েও তার ঐ ইন্টারভিউ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি আভিভুত ঐ চার ও নয় বছরের সন্তানদ্বয় এর জ্ঞান এমনকি আন্তর্জাতিক বিষয়াদির চর্চা দেখে অথবা ঐ বিচারক থেকে অনেক বেশী আইন, কৃষ্টি, কালচার এবং প্রশাসনিক অবস্থা এমনকি ক্ষমতা সম্পর্কে বিচক্ষনতা ও প্রারঙ্গমতায় পারদর্শীতা দেখে। তবে বিচারপতির ভাঙ্গা উচ্চরণের অস্পষ্টতায় ঐ ভিডিউটি একটি হাস্যকর উপাদানে পরিণত হয়েছে মাত্র। তবে ঐ নিলজ্জ্ব মিথ্যাচারের লাইন ওয়ারী জবাব দেয়ার প্রয়োজনে আমার ৪ ও ৯ বছরের সন্তানদ্বয়ের প্রয়োজনীয়তা এমকি তাদেরকে কোথায় পদায়ন করে ঐ জ্ঞানপাপীদের দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া যাবে তাই নিয়ে চিন্তামঘœ এখন। তিনি আইন মন্ত্রীকে জড়িয়ে কিছু বলেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা; আবার প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কিছু বলেছেন তাও মিথ্যা। তিনি ডিজিএফ আই, আর্মী প্রশাসনকে দুষেছেন আবার কারো কারো সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলেছেন কিন্তু পরক্ষণেই তাদেরকেও ক্ষেয় করেছেন। এখানে এডভোকেট আনিছুল হকের উক্তিটিই যথার্থ হয়েছে এই ব্যর্থ ও পরাজিত মানুষটির প্রলাপ বকার মাধ্যমে।
এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, একজন মানুষ ভালও থাকতে পারে এবং খারাপও হতে পারে। তবে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস আর আসৎ সঙ্গে সর্বনাশ এই কথাটি ১০০ভাগ প্রামানিত হয়েছে শ্রদ্ধেয় সিনহা সাহেবের বর্তমান সংলাপ ও বই প্রকাশের মাধমে। তবে তার এই অধপতনের মূলে রয়েছে ড. ও ডা. দ্বয় এবং পন্ডিত মশাই পলাতক সাহেব এমনকি অন্ধকারে নিমজ্জ্বিত জামাতি বুদ্ধি। সবই সেই অন্ধকারের অর্থের দ্বারা ধ্বংস হয়েছে। হয়ত আরো কিছুদিন পরে তিনি চেতনা ফিরে পাবেন এবং হতাশায় কাতরাতে কাতরাতে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অনুশোচনায় নিমঘœ থাকবেন। আমাদের এখন আগামীর জন্য শিক্ষা নেয়া উচিত এই সিনহা নাটক অথবা ঘটনাবহুল বৈচিত্র থেকে। যাতে আর ঐ অবস্থার মুখোমুখি হতে না হয়।
দেশে এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে, ঐ ঘুণেধরা লোকদের পরামর্শ অথবা তাদের দ্বারা রাষ্ট্র চালাতে হবে। তবে তাদেরও শিক্ষা নেয়া উচিত সেই কোমলমতি ছেলে/মেয়েদের আন্দোলন থেকে। তবে এখনও যদি ঐ বুদ্ধিবেশ্যাদের শুভবুদ্ধির উদয় না হয়; তাহলে হয়তো জাতি আরেকটু নিলজ্জ্বভাবেই তাদেরকে একটি শিক্ষা দিতে অগ্রসর হবে। কারন তাদের দ্বারা এই জাতির ভাগ্যকাশে কলঙ্কের তিলক এটেছিল। তাদের লোভের ভোগ্য বস্তুতে এই জাতি বার বার স্বীকারে পরিণত হয়েছিল। যদি বর্তমান সময়ে ঐ মহামানবের দল রাস্তায় নেমে আসে তাহলেই টের পাবে ক্ষমতার লোভের পরিনতি কি হতে পারে। সময় এখনও রয়েছে নিজেদেরকে শোধরিয়ে অতি সাধারণের সঙ্গে মিলে মিশে নিজেদেরকে প্রমান করুন যে, আমরা সংশোধন হয়ে জাতির জন্য কিছু করতে চাই। ক্ষমতার মসনদে নয় বরং জনতার সঙ্গে বসে জনতার মসনদে একটি ভুমিকা ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। যদিও কবরে পা দিয়ে আছেন; তারপরও লোভ সামলাতে না পেরে এই লাফালাফি চালাচ্ছেন; দেশে ও বিদেশে দৌড়াচ্ছেন… কি হবে আর কিইবা করতে পারবেন আপনরা ঐ ক্ষয়িষ্ণু ঘুণে খাওয়া বুদ্ধি দিয়ে? কিছুই হবে না বরং নিজেদেরকে আর নিচে না নামিয়ে মাথা উঁচু করে সকলের শ্রদ্ধার আসনে বসতে চেষ্টা করুন। যদি ক্ষমতার বদল হয় তাহলে তা হবে নতুন প্রজন্মের নতুনদের সংমিশ্রনে। কিন্তু সেই পরিবর্তনের কোন প্রয়োজন নেয়। এই ধারাবাহিকতাকে সহায়তা করুন যাতে আগামীর সার্বিক লক্ষ্য অর্জিত হয়।
আসুন আমরা সকলে মিলেমিশে এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই আগামীর তরে বর্তমানের ধারাবাহিকতায়। সময় এখন আমাদের, সময় এখন নতুনের এবং উন্নয়নের। সময়ের পরিক্রমায় অন্ধকারের কলুষিত দানবের দল এখন পরাভূত। দেশকে এগিয়ে নেয়া সকলেরই দায়িত্ব। ক্ষমতায় যাওয়া নয় বরং স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ সেবায় এগিয়ে যাওয়ায় সময়ের দাবি। মহান খোদা যদি কাউকে ক্ষমতায় রাখেন অথবা কাউকে বসান তাহলে আমাদের কেন মাথাব্যাথা। বরং খোদার দেয়া প্রতিটি দায়িত্ব পালনে সহায়তাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।